আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

আফগানদের ধসিয়ে দিয়ে বড় জয় নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এবার আর অঘটন ঘটাতে পারলো না আফগানিস্তান। বল হাতে একটা সময় কিউইদের চাপে রেখেছিলেন রশিদ-ফারুকিরা। তবে সেই চাপ সামলে ঠিকই বড় পুঁজি গড়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।

আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়ায় ২৮৯ রানের লক্ষ্য। একশর আগে (৯৭ রানে) ৪ আর ১০৭ রানের মধ্যে ৫ হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আফগানরা। সেখান থেকে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি। ৩৪.৪ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় হাসমতউল্লাহর দল।

আফগানিস্তানকে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে নিউজিল্যান্ড। টানা চার ম্যাচ জিতেছে তারা।

চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে রহমত শাহ আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ছাড়া আফগান ব্যাটারদের আর কেউ লড়াইও করতে পারেননি। রহমত শাহ ৩৬ আর ওমরজাই করেন ২৭ রান।

নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার আর লুকি ফার্গুসন নেন ৩টি করে উইকেট। এর আগে তিন হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ২৮৮ রানের বড় পুঁজিই দাঁড় করিয়েছিল কিউইরা। চেন্নাইয়ে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় আফগানিস্তান।

উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ রান তোলেন ডেভন কনওয়ে আর উইল ইয়ং। কওনয়েকে (১৮ বলে ২০) এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। এরপর রাচিন রাবিন্দ্র আর উইল ইয়ং মিলে গড়েন ৮৩ বলে ৭৯ রানের জুটি। ২১তম ওভারে জোড়া শিকার করেন আফগান পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

ওভারের দ্বিতীয় বলে রাচিনকে (৪১ বলে ৩২) বোল্ড আর শেষ বলে হাফসেঞ্চুরিয়ান ইয়ংকে (৬৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫৪) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ওমরজাই। পরের ওভারে রশিদ খানের আঘাত। ড্যারেল মিচেল (১) মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরানকে। ১ উইকেটে ১০৯ থেকে ৪ উইকেটে ১১০ রানে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড।

সেখান থেকে টম লাথাম আর গ্লেন ফিলিপসের ১৫৩ বলে ১৪৪ রানের লড়াইয়ে ফেরা জুটি। লাথাম-ফিলিপস দুজনই পান হাফসেঞ্চুরি। ফিলিপস ৮০ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৭১ আর লাথাম ৭৪ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় করেন ৬৮ রান।

শেষদিকে মার্ক চ্যাপম্যান ১২ বলে ২৫ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলে দেন। শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তোলে কিউইরা। আফগানিস্তানের নাভিন উল হক আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই নেন দুটি করে উইকেট।


আরও খবর



তাপমাত্রা কমাতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিলেন হিট অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

নগরীর ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এবার তা তাপপ্রবাহ কমিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বুশরা আফরিন বলেন, নগরে বনায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের প্রয়োজন। তবে তার জন্য এখন কিছু না করে বসে থাকার মানে নেই। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য। একই সঙ্গে কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বলেন, গত এক বছরে আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ, তারা অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। এসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে এবং এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরসহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি এবং এনজিওর সঙ্গে আমরা শিগগিরই যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।

জানা গেছে, নিষ্প্রাণ প্রকৃতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। কৃত্রিম বৃষ্টি-র দেখা মিলবে প্রতিদিনই। তীব্র দাবদাহে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা কৃত্রিম বৃষ্টির দেখা পাবে নগরবাসী। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিরদেখা মিলবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর তাপপ্রবাহ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির তৈরির জন্য ব্যবহার করছে বড় বড় জলকামান। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬-১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট উপলক্ষে ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট হবে

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সদর, তেতুলিয়া ও আটোয়ারী; ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর, নীলফামারী জেলার ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুর জেলার কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁ জেলার ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোর জেলার সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জ জেলার সদর(ইভিএম), কাজিপুর (ইভিএম) ও বেলকুচি (ইভিএম); পাবনা জেলার সাঁথিয়া (ইভিএম) , সুজানগর (ইভিএম) ও বেড়া (ইভিএম)।

খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলার সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ জেলার সদর ও কালীগঞ্জ; যশোর জেলার মনিরামপুর (ইভিএম) ও কেশবপুর (ইভিএম); মাগুরা জেলার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইল জেলার কালিয়া; বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুর জেলার সদর (ইভিএম), নাজিরপুর (ইভিএম) ও ইন্দুরকানী (ইভিএম)।

ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গীপাড়া; নারায়নগঞ্জ জেলার সদর ও বন্দর; গাজীপুর জেলার সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর (ইভিএম) ও হরিরামপুর (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন, মধুখালী ও সদর; মাদারীপুর জেলার সদর, শিবচর ও রাজৈর, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া (ইভিএম) ও ভেদরগঞ্জ (ইভিএম)। নরসিংহী জেলার সদর ও পলাশ, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুর জেলার সদর (ইভিএম) ও সরিষাবাড়ি (ইভিএম); শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা; সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ ও বানিাচং।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট ও মেঘনা; চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর (ইভিএম) ও মতলব দক্ষিণ (ইভিএম); ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া(ইভিএম) , সদর (ইভিএম) ও মহেশখালী (ইভিএম); খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, থানছি ও আলীকদম।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: প্রচারণায় জমজমাট জৈন্তাপুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মাইকিং আর বাড়িতে বাড়িতে কুশল বিনিময়ের মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী তৎপরতা।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দিতায় থাকলেও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমদ ও হোসেন আহমদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তাই এ পদে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী (আনারস), আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী লীগনেতা আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু (কাপ-পিরিচ), ইসমাইল আলী আশিক (দোয়াত কলম) প্রতিক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভোটারদের মতে, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতিকের ইসমাইল আলী আশিকের নাম তেমন আলোচিত না হলেও ফ্রন্টলাইনে রয়েছেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী। তার সাথে আলোচনায় আছেন কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্থী আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে কথা হয় ভোটারদের সাথেও। আলুবাগানের রিসোর্ট ব্যবসায়ী রাজু আহমদ, আসামপাড়া মানিক চৌধুরী হরিপুরের বাসিন্দা শামসুদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী। কারণ, তিনি জনগণের জন্য মাঠেঘাঠে সবসময় তাকে পাওয়া যায়। তাই আমরা আসন্ন নির্বাচনে তাকে আনারস প্রতিকে ভোট দিবো।

ছাতারখাই দরবস্ত এলাকার আব্দুস ছালাম বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু ভাইকে কাপ পিরিচ প্রতিকে ভোট দিবো। বিপদে-আপদে আমরা তাকে পাশে পাই।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপরাপর প্রার্থীদের মতো বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় শুরু থেকেই প্রচারণায় নজর কাড়ছেন  লিয়াকত আলী। ইতিমধ্যে তার আনারস প্রতিকের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থী বা প্রতিক না থাকলেও দলের পরীক্ষিত কর্মি এম লিয়াকত আলীর পক্ষে প্রকাশ্যে ও আড়ালে কাজ করছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাাজর ৯৮১ জন। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

এনটিআরসিএর ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। এরমধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ের ২৯ হাাজর ৫১৯ জন, স্কুল পর্যায়ের ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ের ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন। এ পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থী তার নিবন্ধন পরীক্ষার রোল ও ব্যাচ নম্বর ব্যবহার করে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। এছাড়া টেলিটকের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে ফলাফল এসএমএস করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদজননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের কথা একেবারেই বলি না।

শনিবার (৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আজ শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল; সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা মাঠে থেকে দেখেছি। সেদিন বৃহত্তর কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদেরই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদজননী জাহানারা ইমাম।

এই জাদুঘরে সরকারি উদ্যোগ ব্যাপকভাবে লোকসমাগম হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আনার ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামস ঘাতক-দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেটা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা কিছুটা হলেও হয়, কিন্তু রাজাকারদের আলোচনা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদজননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের মা হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন শহীদজননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা একাত্তরের দিনগুলি বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফ ইমাম জামি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর