আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

আইসের ভয়াবহতা শিউরে ওঠার মতো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আইস। ইংরেজি শব্দ। অর্থ বরফ। এই আইস দেখতে বরফের মতো হলেও আসলে বরফ নয়। এটি এখন মাদকের সর্বশেষ সংস্করণ। এক ভয়ংকর মাদকের নাম আইস। আবার এর পরিচিতি রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নামে। অভিজাত শ্রেণির কাছে স্কোর, কেউ বলেন, স্টাফ। কারও কাছে আবার সাদা নামে পরিচিত। তবে গোপন যোগাযোগের সময় অনেকেই ডাকেন বরফ নামে। স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণহীন বলে বহির্বিশ্বে পরিচিত ক্রিস্টাল মেথ হিসাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদক হিসাবে আইসের ভয়াবহতা শিউরে ওঠার মতো। এটি ইয়াবার চেয়ে শতগুণ শক্তিশালী। আইসের জালে একবার জড়ালে একমাত্র মৃত্যুই হতে পারে মুক্তির উপায়। কারণ একবার আইসসেবনে অন্তত ৩০টি ইয়াবাসেবনের চাইতেও বেশি ক্ষতি হয়। এ কারণে আইসে আসক্ত হওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ব্যক্তির কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

শতগুণ ভয়ংকর: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়াবা ও আইসের মূল উপাদান একই। মিথাইল অ্যামফিটামিন বা মেথা অ্যামফিটামিন। বড় আকারের একটি ইয়াবায় অ্যামফিটামিনের সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ থেকে ১৫ শতাংশ। কিন্তু আইসে অ্যামফিটামিন থাকে ৯৬ শতাংশ বা তারও বেশি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, মিথাইল অ্যামফিটামিন একধরনের স্টিমুলেটিং এজেন্ট। এটি মানবদেহের কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেমকে ক্ষণিকের জন্য আন্দোলিত করে তোলে। ফলে সেবনকারী প্রফুল্লতা অনুভব করেন। চারপাশের সবকিছু তার কাছে রঙিন মনে হয়। কিন্তু নেশার ঘোর কেটে গেলে শুরু হয় প্রতিক্রিয়া। মাদকাসক্ত ব্যক্তি ক্রমশ বিমর্ষ হয়ে পড়েন। গায়ের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। টানা কয়েক মাস আইসসেবনের ফলে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস ড্যামেজ হয়ে যায়। তখন কেবলই মৃত্যুর হাতছানি।

জেনেশুনে বিষপান: আইস ব্যয়বহুল নেশা। এক গ্রাম আইসের বাজারমূল্য ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলে স্বাভাবিকভাবে আইসের ব্যবহার হচ্ছে ধনাঢ্য শ্রেণির মধ্যে। এখন পর্যন্ত আইস-সংশ্লিষ্টতায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই কোটিপতির সন্তান। কেউ কেউ নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেও নাম লিখেয়েছেন নেশার জগতে।

সূত্র বলছে, গত বছর ৬ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার হন আফিফ আফতাব খান সুহৃদ নামের এক ধনাঢ্য যুবক। অভিজানের সময় সৃহৃদ কথা বলছিলেন ইংরেজিতে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি উচ্চতর ডিগ্রিধারী। স্ত্রীও উচ্চশিক্ষিত এবং রাজধানীর একটি নামকরা কলেজের অধ্যাপক। বাবা ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। পরিবারের অন্য সদস্যদের সবাই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। দুই ভগ্নীপতির একজন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য এবং অপরজন একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। ঢাকায় একাধিক বাড়ি এবং ফ্ল্যাট ছাড়াও তাদের পরিবারের রয়েছে অঢেল সম্পদ। সুহৃদ ছাড়াও আইসসহ গ্রেফতার হন বাড্ডার হোসেন মার্কেটের মালিকের ছেলে রহিত। তিনি মালয়েশিয়া থেকে উচ্চতর ডিগ্রিধারী। ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার হন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইভান।

ঢাকায় আইস ছড়িয়ে পড়ার একেবারে শুরুর দিকে একাধিক অভিযানে নেতৃত্ব দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আইস হচ্ছে পার্টি ড্রাগ। এটি সব সময় কয়েকজন মিলে গ্রুপে সেবন করা হয়। ফলে হাই সোসাইটির পার্টি সংস্কৃতির মধ্যে আইস সহজেই ঢুকে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, আইস সেবনে বেশি পরিমাণে এনার্জি পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া বিদেশি সিনেমা ও সিরিয়াল দেখেও অনেকে আইসের মতো ভয়াবহ নেশার জগতে পা বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে ব্রেকিং ব্যাড নামের একটি বিদেশি সিরিয়াল দেখে আইসসেবনে প্রলুব্ধ হচ্ছে অনেকে।

অ্যাপস গ্রুপে কেনাবেচা: সূত্র বলছে, আইস পার্টি অনুষ্ঠিত হয় কঠোর গোপনীয়তায়। বিশেষ লিংক ছাড়া আইস পার্টিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। অর্থাৎ বন্ধুর পরিচিত বন্ধু এবং তার বন্ধু-এভাবে বাছাই করা লোক নিয়ে আসর বসে। গোপনীয়তা বজায় রাখতে পার্টির স্থান, টাইম প্রভৃতি সম্পর্কে কথাবার্তা হয় অ্যাপচ্যাট নামের বিশেষ অ্যাপে। এতে যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কেউ গ্রেফতার হলেও চক্রের অন্য সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় না।

এছাড়া আইসের বেচাকেনা হচ্ছে টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীতে আইস পার্টির আয়োজন হচ্ছে অভিজাত এলাকা গুলশান, ধানমন্ডি ও বারিধারায়। এছাড়া ভাটারা এলাকার একটি বৃহৎ আবাসিক এলাকায় বসছে আইস পার্টি। মাদকসেবনের কার্যক্রম শুরু হয় গভীর রাতে, চলে শেষ রাত অবধি। আইস পার্টি করতে গভীর রাতে অনেকে গাড়িবহর নিয়ে ছুটছেন ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস রোডে।

সূত্র বলছে, রাজধানীতে আইস চক্রে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। কেউ কেউ আছেন শোবিজ জগতের গ্ল্যামার গার্ল। এর মধ্যে গুলশান এলাকায় আইসের প্রধান ডিলার হিসাবে জাবির খান নামের এক ধনাঢ্য যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের গুলশান সার্কেলের পরিদর্শক সামসুল কবির যুগান্তরকে বলেন, জাবির খানকে ধরতে পারলে রাজধানীর আইস নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাকে ধরতে ইতোমধ্যে কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তিনি পলাতক। তবে অচিরেই তিনি ধরা পড়বেন।

সূত্র বলছে, প্রযুক্তির সহায়তায় কথোপকথনের সূত্র ধরে রাজধানীতে আইস চক্রের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ইয়াসির, রাসেল ও উর্মিলা নামের এক তরুণীকে। এছাড়া গুলশানের আইস পার্টিতে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন তরুণীর ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে আজমিন সারিকা, পুনম, ম্যাকরনা আলম, আমান এশা ও ইডেন ডি সিলভা অন্যতম। আইস পার্টির গডফাদারের ভূমিকায় আছেন গুলশানের বাসিন্দা জায়েদ। এছাড়া রাজধানীর উত্তরা এলাকায় প্রাইভেট আইস পার্টির আয়োজক হিসাবে নারকোটিক্সের নজরদারিতে আছেন এক শ্রীলংকান তরুণী। অন্তত ৬ মাস তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। জান্নাত ওরফে ইমু নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মাধ্যমে আইস নেটওয়ার্ক চালাচ্ছেন তিনি।

লুফে নিচ্ছে ইয়াবার বাজার: দিনদিন আইসের বিস্তার বাড়ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইসপ্রবণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইস ছড়াচ্ছে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। বনানী এলাকার কয়েকটি সিসা লাউঞ্জ আইস পার্টির পিকআপ পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বনানীর আল গিসিনো, ঢাকা ক্যাফে, টিজিএস এবং কিউডিএস সিসা লাউঞ্জে আড্ডা শেষে আইস পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, দেশে ব্যবহৃত মাদকের ৪৫ শতাংশ ইয়াবার দখলে। বাকিটা হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন নেশা উপকরণ। তবে ধীরে ধীরে ইয়াবার বাজার চলে যাচ্ছে আইসের দখলে। এক বছরের মধ্যে হয়তো ইয়াবার বাজার পুরোটাই আইসের দখলে চলে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুমনুর রহমান বলেন, মাদক হিসাবে আইস হালের ক্রেজ। মাদক বিস্তারের ক্রমধারা বিশ্লেষণ করলে সহজেই বোঝা যায় অল্পদিনের মধ্যেই হয়তো এটি ইয়াবার স্থলাভিষিক্ত হবে। কারণ একসময় দেশে হেরোইনের বিস্তার ছিল। এরপর মহা ধুমধামে আসে ফেনসিডিল। ফেনসিডিলের চাপে হেরোইনের বাজার কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। আবার ইয়াবার বিস্তার শুরু হলে ফেনসিডিলের বাজার সীমিত হয়ে পড়ে।

বর্তমানে আইসের বিস্তার বাড়ছে। একপর্যায়ে হয়তো ইয়াবার বাজার পুরোটাই আইসের দখলে চলে যাবে। এজন্য এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে। আইসের ক্রমবর্ধমান বিস্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের (ঢাকা) সহকারী পরিচালক রিফাত হোসেন বলেন, মাদকের জগতে নেশাগ্রস্তরা নিত্যনতুন মাদকের সন্ধান করে। কারণ একটি মাদক নিতে নিতে দেহে সহনশীলতা তৈরি হয়। তখন পুরোনো মাদকে নেশা হয় না। এ কারণে আগে যারা দীর্ঘদিন ইয়াবা নিতেন, এখন তাদের অনেকেই আইসের দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া ধানাঢ্য শ্রেণির অনেকেই ক্রেজ সৃষ্টির জন্য আইসের দিকে ঝুঁকছে। অভিজাত শ্রেণির কেউ কেউ আবার বিকৃত রুচি থেকেও জড়িয়ে পড়ছেন আইসের নেশায়।

নিউজ ট্যাগ: আইস মাদক আইস

আরও খবর



ভারতের লোকসভা নির্বাচন: চলছে ৫ম দফার ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ছয়টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে আজ।

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরই রয়েছে সাতটি আসন। লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশার ৩৫টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হচ্ছে আজ। সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সাত দফায় লোকসভা ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এদিন মোট ৬ রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

এর মধ্যে বিহারের ৫টি আসন, ঝাড়খণ্ডের ৩টি আসন, মহারাষ্ট্রের ১৩টি আসন, ওড়িশার ৫টি আসন, উত্তর প্রদেশের ১৪টি আসন এবং পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসন রয়েছে। এছাড়া ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখের আসনেও ভোট হবে।

এদিকে আজ ভাগ্যপরীক্ষা হবে রাহুল গান্ধী, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, পীযূষ গয়াল, চিরাগ পাসওয়ান, ওমর আবদুল্লাহ সহ একাধিক নেতার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই দফায় ৬৯৫ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এছাড়া পঞ্চম দফায় মোট ৮২ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সকাল পৌনে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছান তিনি।

এরপর প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার আগুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া ও শুকুর মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির। আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে লিলু মিয়া নামে আরেকজনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার আগুয়া বাজারে সিএনজি ষ্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে বদির মিয়া ও সিএনজি চালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টির জের ধরে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।

তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিলু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ঘটনাস্থলে আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর