আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম
বঙ্গবাজারে আগুন

আজও কোথাও কোথাও জ্বলছে আগুন, বের হচ্ছে ধোঁয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের মূল আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ২৮ ঘণ্টা পর এখনো জ্বলছে আগুন, উঠছে ধোঁয়া। এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬ টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে বঙ্গবাজারে। এখনো কোথাও কোথাও জ্বলছে সেই আগুন। উঠছে কালো ধোঁয়া। তা নিভাতে পানি ছিটাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও। আর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানের অংশ দেখতে সকাল থেকেই আসছেন ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া মার্কেটে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

দেখা গেছে, বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া মার্কেটে আজও কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে। একাধিক স্থানে উঠেছে ধোঁয়া। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছে। জীবনের শেষ সম্বল হারানো হাজারো ব্যবসায়ীরা ঘুরে ঘুরে তা দেখছেন আর স্মৃতিচারণ করছেন।

আরও পড়ুন>> নিয়ন্ত্রণে এসেছে বঙ্গবাজারের আগুন: ফায়ার সার্ভিস

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ বলেন, আমাদের চারটা দোকান ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার আর কিছুই করার নেই। সামনে ঈদ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিল একদিনেই সব শেষ হয়ে গেলো।

আরও পড়ুন>> দোকান মালিকদের বাধায়ভাঙা যায়নি ঝুঁকিপূর্ণ বঙ্গবাজার: তাপস

ব্যবসায়ী মেহেদী বলেন, ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকার গার্মেন্টসের মালামাল ছিল দোকানে। সব পুড়ে গেছে।বঙ্গবাজারে আজও কোথাও কোথাও জ্বলছে আগুনএনাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দুইটা দোকানে তার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছি।

আরও পড়ুন>> বঙ্গবাজারে আগুন : ফায়ারসার্ভিসের তিন সদস্যসহ আহত ৭

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। আগুন নেভাতে সকাল থেকে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। এরপর সেখানে নির্বাপণ কাজে যোগ দেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যসহ র্যাব, বিজিবি ও ওয়াসার সদস্যরা।

বঙ্গবাজারে আজও কোথাও কোথাও জ্বলছে আগুনঅন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডে কারো প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মার্কেটের অধিকাংশ দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের অনেকে জানিয়েছেন, তারা ঈদ সামনে রেখে ঋণ ও ধারদেনা করে দোকানে নতুন মালামাল তুলেছিলেন। আগুন লাগার ঘটনায় তাদের অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

আরও পড়ুন>> বাতাসের কারণে ছড়িয়েপড়ছে বঙ্গবাজারের আগুন

নিউজ ট্যাগ: বঙ্গবাজারে আগুন

আরও খবর



বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৬.৭৫ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য তুলে ধরেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে কিছুটা চাপের সম্মুখীন হলেও প্রাজ্ঞ ও সঠিক নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও গতিধারা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মধ্যমেয়াদে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে পৌঁছাবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট। দেশের ইতিহাসে বিশাল এ প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।


আরও খবর



অভিযানের আগেই সরানো হয় সাদিক অ্যাগ্রোর গরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডের জন্য আলোচিত মোহাম্মদপুর এলাকার সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’–এ উচ্ছেদ অভিযান চালাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি বলছে, সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে।

এদিকে অভিযানের খবরে সাদিক অ্যাগ্রো থেকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গরু। গত রাত থেকেই গরু সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন খামারের মালিক। 

আজ সকাল ১০টার দিক থেকে সাদিক অ্যাগ্রোর সামনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তায় এবং খালের জায়গায় থাকা বেশ কিছু স্থাপনা ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়েছে তারা। এসব জায়গায় রাখা বেশ কিছু গরু-ছাগল সেখানে নেই। গত রাতেই এসব পশুকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম জানান, অভিযান হবে এই খবর শোনার পর থেকেই সাদিক অ্যাগ্রোর বেশ কিছু গরু-ছাগল গত রাতে সরিয়ে নিতে দেখেছি।

এ ছাড়া রাস্তার ওপরে তাদের প্যান্ডেল করা ছিল, অস্থায়ী স্থাপনা ছিল, সেগুলো তারা সরিয়ে নিয়েছে।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান, এখানে যে একটা খাল ছিল; অবৈধ দখলের কারণে এটি আর দেখা যায় না। এটি অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। অভিযান চলবে এমন খবরে সাদিক অ্যাগ্রোসহ আশপাশের অস্থায়ী অন্যান্য স্থাপনাও নিজেরা কিছুটা সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে।

গত কোরবানির ঈদের আগ থেকে সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ রাস্তাসহ আশপাশে গরু বিক্রির প্যান্ডেলসহ অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলেছিল। সেগুলো তারা সরিয়ে নিচ্ছে।

গরু, স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া বা দখলকৃত জায়গায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি সাদিক অ্যাগ্রোর কেউ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সাদিক অ্যাগ্রো খালের জায়গা দখল করে খামার গড়ে তুলেছে। এর আগে তাদের কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ভাঙনের কবলে সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উচ্চ জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মনুষ্যসৃষ্ট দূষণসহ নানা ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাদাবন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্যকে। ফলে অনিরাপদ হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি মৃত হরিণ ও চারটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবন বন বিভাগের মতে, বন্যপ্রাণী মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ গহীন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বন এলাকায় বন বিভাগের কর্মীরা যেতে পারেনি।

তাদের মতে, গত ২৬ মে ভোরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর অংশে ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এতে বহু হরিণ সাগরে ভেসে গেছে। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওগুলো পচে-গলে পানিতে মিশে গেছে। উদ্ধার করা মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত-সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীর চর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী-খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি বাঘ ও ২৭টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তিনটি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খতিয়ান নেই।

বনজীবীরা জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের যেসব জায়গা উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ সেখানে পানি উঠেছিল ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা পুরো সুন্দরবন লবণপানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ আজিজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এখন যে অভিঘাত হচ্ছে, এগুলো ধীরে ধীরে বাড়বে। উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও আমরা যে অসুবিধাগুলো দেখছি, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সুন্দরবন। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়ী হয়ে দুবলারচর, কটকা পর্যন্ত অনেক এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এটা সুন্দরবনের জন্য দৃশ্যমান ক্ষতি হচ্ছে। ঐ অঞ্চলে ভেঙে গিয়ে বন কমে যাচ্ছে। তবে সুন্দরবনের বলেশ্বরের দিকে কিছু কিছু চর জাগছে। সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় গত ১০-১২ বছর ধরে ভাঙন অনেক বেশি হচ্ছে। এই ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে এই ক্ষতি বাড়ছে। হয়তো এখন ক্ষতিটা অত নজরে আসছে না; নজরে আসে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখি, দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবন জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে থাকা এবারই প্রথম দেখা গেল। জলবায়ুর যে অভিঘাতগুলো আনপ্রেডিক্টেবল (অপ্রত্যাশিত)। যা আমরা আগে থেকে প্রেডিক্ট (প্রত্যাশা) করতে পারি না। ফলে বাঘ ও বন্যপ্রাণীসহ জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ লবণাক্ততা বাড়ছে।

সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আগের তুলনায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এবার উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। স্বাভাবিক জোয়ারের সময় এখন পানি অনেক উঁচু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সুন্দরবন একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লোনাপানিতে প্লাবিত ছিল, যা আমরা আগে ধারণাও করতে পারিনি। সুন্দরবনে এবারের দুর্যোগ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৮

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি। এ বছর হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৮৩ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০৯টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৪১টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় ছয়জন ও জেদ্দায় দুইজন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।‌ এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪১ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবার পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।


আরও খবর



চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ১৭ জুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। শুক্রবার (৭ জুন) রাতে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এর আগে, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে শুক্রবার রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকে বসে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

এদিকে, সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৬ জুন দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

উল্লেখ্য, জিলহজ আত্মত্যাগের মাস। মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এ মাসেই নিজের প্রিয় সন্তান ইসমাইলকে (আ.)-কোরবানির মাধ্যমে প্রভুপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যদিও আল্লাহর বিশেষ রহমতে ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি হয়েছে।


আরও খবর