আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

আকবর-মিরাজের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ চট্টগ্রামের

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা চট্টগ্রাম ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রান করে অলআউট হয়েছে।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি বিকেল ৫টায় গড়ায়। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার উইল জ্যাকস ও জাকির হাসান মিলেন ৩.৪ ওভারে ৩১ রান তোলেন। তবে এরপরই ছন্দপতন শুরু হয় দলটির ব্যাটিংয়ে। চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম ধাক্কা আসে মারমুখী মেজাজে থাকা উইল জ্যাকসের বিদায়ে। শহিদুলের করা চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে উইল জ্যাকস ধরা পড়েন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের হাতে। আউট হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ৯ বলে ১৬ রান। 

৪৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা শুরু করেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন আর মেহেদি মিরাজ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১০ বলে ১০ রান করা আফিফ হোসেনকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মঈন আলী। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানভীর ইসলাম। ৫০ রানে নেই ৫ উইকেট। ম্যাচের এই পর্যায়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আকবর আলী আর মিরাজ। 

১৩তম ওভারে চট্টগ্রামের স্কোর তিন অংক ছাড়ায়। ৪০ বলে ৬১ রানের চমৎকার এই জুটি ভাঙে আকবর আলীর বিদায়ে। আবু হায়দারের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে আকবরের সংগ্রহ ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৩। উইকেটে আসেন বেনি হাওয়েল। কিন্তু বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েও তিনি রান-আউট হয়ে যান ৩ রানে। ৩৮ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলা মিরাজকেও ফেরান শহীদুল। তার তৃতীয় শিকার ৯ বলে ১৫ করা মৃত্যুঞ্জয়। শেষ ওভারের প্রথম বলে নাসুম আহমেদকে (০) মোস্তাফিজ এলবিডাব্লিউ করে দিলে ১৪৮ রানে অল-আউট হয় চট্টগ্রাম। 

কুমিল্লার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলী আর শহীদুল।

নিউজ ট্যাগ: বিপিএল-২০২২

আরও খবর



খুলে দেওয়া হচ্ছে বেনজীরের রিসোর্ট: আয় যাবে সরকারি কোষাগারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জ সদরে অবস্থিত আলোচিত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। দর্শনার্থীরা আগামীকাল থেকে ওই পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড চালু থাকলেও বন্ধ থাকবে কটেজ। ফলে অবকাশযাপন করতে পারবেন না কোনো দর্শনার্থী।

এদিকে পুলিশ, আনসার ও সাভানা ইকো রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা রিসোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে আনসার ভিডিপি ও রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন। আগামীকাল সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করবে জেলা প্রশাসন।

পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব এবং গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হবে। এতে দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কের বিভিন্ন রাইড খুলে দেওয়া হলেও কটেজ বন্ধ থাকবে। আর এ পার্ক থেকে সকল আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জমা হবে। পার্কের নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্য মোতায়েনের জন্য আবেদন জানানো হবে। আশা করি সকাল থেকেই  পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ইতোমধ্যে রিসোর্টের নিরাপত্তার জন্য আনসার ও সাভানার নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্বে আছেন।

ক্রোক আদেশের পর পার্কটি চালু থাকলেও গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে পার্কটি নিয়ন্ত্রণে নেয় জেলা প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।

অন্যদিকে ১২ জুন রাতে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের তিনটি কম্পিউটারের সিপিইউ ও একটি মনিটর চুরি হয়। পরদিন ১৩ জুন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পার্কের ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন।

এছাড়া গত ৭ জুন রাতে গোপনে পার্ক থেকে ধরা ৫৯০ কেজি মাছ বিক্রি করার সময় হাতেহাতে জব্দ করে দুদক। পরে মাছ বিক্রি করে ৮৩ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জুন দুপুরে গোপনে মাছ বিক্রির দায়ে পার্কের মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের গোপালগঞ্জে উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।


আরও খবর



শনিবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার তৃতীয়বারের মতো শপথ নেবেন। কংগ্রেস নেতা এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর মোদি একমাত্র ব্যক্তি, যিনি তৃতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন।

এনডিটিভির খবর অনুসারে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিতে বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর তিনি সরকার গঠনের দাবি জানাবেন।  

২০১৪ সালে ২৮২টি এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন পাওয়া মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি এবার ২৪০টি আসন পেয়েছে, যা সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চেয়ে ৩২টি আসন কম।

ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে নিরঙ্কুশ তথা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য বিজেপির প্রয়োজন ছিল ২৭২টি আসন। তবে দলটির এনডিএ জোটের শরিকেরা বাড়তি আসন পেয়েছে।

খবর অনুসারে, নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সদস্যরা ৫৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন। সরকার গঠনে বিজেপিকে এখন এই শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে।

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর লোকসভা আসনে কংগ্রেসের অজয় রাইকে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে তিনবারের সংসদ সদস্য হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ ৬ সপ্তাহের ভোটগ্রহণ শেষ গতকাল ফলাফল ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু বুধবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে তারা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন। লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার এক দিন পরই এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সব কটি বুথফেরত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছিল যে এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় দল বিজেপি এককভাবে ৩০০টির বেশি আসন পাবে।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে: আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্যদিয়েই নিরসন হবে।

পরিমণি কাণ্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণ হওয়ায় কারণেই সাকলাইনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনও তালা লাগানো থাকে না। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে এটা আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্যদিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।

এর আগে তিনি চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।

পরে তিনি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা

আরও খবর



যাদের জরায়ু নেই তাদের জ্ঞান দেওয়ারও প্রয়োজন নেই: রিচা চড্ডা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কল্কির সাংবাদিক সম্মেলনে কালো বডিকন ড্রেসের সঙ্গে হাই হিলে নজর কেড়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। ভক্তরা দীপিকার লুকের কদর করলেও নিন্দুকেরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হাই হিল পরাকে মোটেই সমর্থন করেননি। সমালোচকরা দীপিকার হাই হিল নিয়ে রীতিমতো যেন বিচারসভা বসিয়ে ফেলেছেন। এই রকম পরিস্থিতিতে দীপিকার পাশে দাঁড়ালেন আরেক অন্তঃসত্ত্বা রিচা চড্ডা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিগ স্ক্রিনে মুক্তি পাবে অশ্বিনী নাগ পরিচালিত বহু প্রতিক্ষীত সিনেমা কল্কি। প্রথমবার এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় জুটি বাঁধছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস ও বলিউডের গ্ল্যাম ডল দীপিকা পাড়ুকোন। এছাড়া, এই সিনেমায় রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়সহ আরও অনেকেই।

শেষ মুহূর্তে সিনেমার প্রচারে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন প্রভাস, অমিতাভ ও দীপিকা। কালো বডিকন ড্রেসে স্পষ্ট ছিল দীপিকার বেবি বাম্প। বলা ভালো প্রেগন্যান্সির ছয় মাস পর প্রথমবার বেবি বাম্প প্রদর্শন করলেন তিনি। সেই সঙ্গে নজর কেড়েছিল দীপিকার পেন্সিল হিল। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকরা একেবারে বিচারসভা বসিয়ে দিয়েছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই রকম হিল পরা উচিত নয় বলেও দীপিকার সমালোচনা করেছেন অনেকে। দীপিকাকে নিয়ে নেটিজেনদের সমালোচনার জবাব কড়াভাবে দিয়েছেন রিচা চড্ডা।

দীপিকা বা রণবীর এই প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি। কিন্তু, রিচা চড্ডা একেবারে চাঁচা-ছোলা ভাষায় জবাব দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, নো ইউট্রাস নো জ্ঞান। অর্থাৎ যাদের জরায়ু নেই তাদের জ্ঞান দেওয়ারও প্রয়োজন নেই

প্রসঙ্গত, দীপিকার হিল পরা নিয়ে একজন নেটিজেন একটি রিল শেয়ার করেন। সেখানে দীপিকাকে সমর্থন করে তিনি লেখেন, দীপিকা বাচ্চা মেয়ে নয় যে ড্রেসিং সেন্স নিয়ে ওর কারও মতামত লাগবে। দীপিকা নিজের ভালোটা বোঝেন কোন জিনিস তাকে আরাম দেবে। তাই তৃতীয় ব্যক্তির পরামর্শের প্রয়োজন নেই। ওই রিল ভিডিওর নীচেই রিচ চড্ডার মন্তব্য, নো ইউট্রাস নো জ্ঞান

গত ১৯ জুন সন্ধ্যায় কল্কির প্রচারে হাই হিলসহ কালো বডিকন ড্রেসে যেন প্রেগন্যান্সি গ্লো ফুটে উঠেছিল। তবে, ছয় মাসের গর্ভবতী এই ধরনের হাই হিল পরায় প্রচুর সমালোচিতও হয়েছেন দীপিকা। কেউ লিখেছেন, গর্ভাবস্থায় এমন হাই হিল সত্যিই বিপজ্জনক। কারও মতে, যতই সুন্দর দেখতে হোক না কেন, এই সময়ে এমন হাই হিল পরা একেবারে উচিত নয়। কেউ লিখেছেন, গর্ভাবস্থায় কে এমন হাই হিল পরে?

কিছুদিন আগেও অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সেই সময় গর্ভবতী স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন রণবীর সিং।


আরও খবর



কাবার চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন শায়খ আব্দুল ওয়াহাব আল শাইবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

নতুন করে পবিত্র কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি। গতকাল সোমবার (২৪ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পবিত্র কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) ইন্তেকাল করেন পবিত্র কাবাঘরের চাবি রক্ষক ড. শায়খ সালেহ আল শাইবা। তার ইন্তেকালের পর কাবাঘরের নতুন অভিভাবক মনোনীত করা হয়েছে ৭৮ বছর বয়সী শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে।

তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিখ্যাত সাহাবি উসমান বিন তালহা রা.-এর ১১০তম উত্তরসূরি।

শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে পবিত্র কাবার চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে বিশিষ্ট ব্যক্তি, অভিজাত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতির অনুসরণে তার হাতে কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। এখন থেকে তিনিই পবিত্র এই ঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।

কাবার চাবির দায়িত্ব গ্রহণের সময় শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি তার উপর রাখা আস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পবিত্র কাবা ঘরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং মুসলিম বিশ্বের সেবায় তার পূর্বসূরিদের মতো অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন। আল-শাইবা পরিবার বংশ পরম্পরায় পবিত্র কাবা রক্ষার সম্মানিত দায়িত্ব পালন করছে। যা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে তাদের সম্মানিত করেছে।

প্রসঙ্গত, জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শায়বা গোত্রের কাছে থাকত। মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ সা. নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন।

এসময় তিনি বলে দেন, এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, একেবারে কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।

সেই ধারা এখনো চলমান। উসমান ইবনে তালহা রা.-এর বংশধরেরা পর্যায়ক্রমে চাবি বহন করে আসছেন। তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন। তারাই কাবার দরজা খুলে দেন।

এ পর্যন্ত অসংখ্যবার কাবার তালা-চাবি পরিবর্তন করা হয়েছে। কাবাঘরের চাবি একটি বিশেষ ব্যাগে রাখা হয়। এই ব্যাগটি পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ নির্মাণ কারখানায় বানানো হয়। কাবাঘরের চাবি কখনো হারায়নি। তবে বহু বছর পূর্বে এক ব্যক্তি এই চাবি চুরি করেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে কাবাঘরের চাবি ফেরত নেয়া হয়। আব্বাসী, আইয়ুবী, মামলুক ও ওসমানিয়া যুগে কয়েকবার কাবাঘর মেরামত করা হয়েছে। তখন প্রয়োজনমতো নতুন তালা-চাবিও বানানো হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর সর্বশেষ কাবাঘরের চাবি পরিবর্তন করা হয়। এখনো ওই তালা-চাবি ব্যবহার করা হচ্ছে।


আরও খবর