আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রভাব নেই চালের বাজারে

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অস্থিতিশীল চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করতে পারবে মাত্র ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে।

সরকারের প্রত্যাশা এবার বাজারেরও চালের দাম কমবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছে, বাজারে এর প্রভাব পড়তে কমপেক্ষ এক সপ্তাহ লাগবে। নতুন আমদানি করা চাল বাজারে না এলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশ রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলম বাবু বলেন, চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া উচিৎ ছিল। কারণ ডলার ও ডিজেলের দাম বাড়ায় এখন আমদানিতেও খরচও বেশি। আমদানি চাল বাজারে আসতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও বাড্ডা-রামপুরার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা প্রতিকেজি। ২৮-২৯ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা (মান ভেদে) কেজিতে। নাজির বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। আর চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। বাসমতি, আতপচাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

বাজারে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছে সরকারের বাজার মনিটরিং প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির তথ্য মতে, মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বাজারে সবচেয়ে মোট চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। অর্থাৎ এ সপ্তাহে মোটা চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে গত এক মাসের হিসাবে দাম বেড়েছে ৮ টাকার মতো।  আর পাইজাম চালও কেজি প্রতি ১ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও আগে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া সরু নাজির চাল এ সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মেসার্স শাহানা স্টোরের মনোয়ার হোসেন বলেন, চালের দাম খুব বেশি কমার সম্ভবনা নেই। যদিও কমে তবে, অল্পকিছু কমবে। কারণ এ বছর বন্যায় অনেক ধান নষ্ট হয়েছে। ফলে কৃষকদের কাছ থেকে ধান বেশি দামে কিনতে হয়েছে। খুচরা বিক্রেতা মেসার্স মনির এন্টারপ্রাইজের মইনুল হক বলেন, এক সপ্তাহ আগের চাল এনেছি। প্রতিটি বস্তায় (৫০ কেজি) ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। চালের দাম বাড়ানো কিংবা শুল্ক বাড়ানোর কোনো হুজুগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই দাম বাড়ে। আর শুল্ক কিংবা দাম কমানোর নির্দেশনার পর আমাদের সেই মাল আসতে আসতে এক থেকে দুই সপ্তাহ কিংবা এক মাসও পার হয়ে যায়। তারপর সাধারণ মানুষ পায়। সুতরাং চালের দাম কমতে সময় লাগবে।

উত্তর বাড্ডার মেসার্স আনোয়ার স্টোরের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আগের দামেই মিল থেকে আজকেও চাল এসেছে। চালের দাম এখনো বাড়তি। কমার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। তিনি বলেন, আমদানি চাল বাজারে আসতে এক থেকে দেড় সপ্তাহ লাগবে। দাম কমলেও এক দুই টাকা কমতে পারে। তার চেয়ে বেশি কমবে না। মহাখালীর ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের রাইসুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দাম বাড়ার সময় দ্রুত বাড়ে। আর কমার সময় আস্তে আস্তে কমে। মহাখালী কঁচাবাজারে চাল কিনতে আসা রোপল চক্রবর্তী বলেন, চালের দাম আগুন। ৬০ টাকা কেজির নিচে কোনো চাল নেই। ৫২ টাকার ২৮ চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। পাইজাম চাল কিনেছি ৬০ টাকা কেজিতে। এই চালের ভাত গলার ভেতরে যায় না। তারপরও কিনতে বাধ্য হয়েছি।

উল্লেখ্য, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রবিবার আমদানি শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে। পাশাপাশি রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এর আগে গত ২৪ জুন চালের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। এখন আরও ৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। নতুন আদেশ অনুযায়ী চাল আমদানিতে এখন রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, আগাম আয়কর ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ৫ শতাংশসহ মোট ১৫.২৫ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হবে। এই আদেশ অটোমেটেড চাল ছাড়া সব ধরনের চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

নিউজ ট্যাগ: চালের দাম চাল

আরও খবর



রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে কাঁচাবাজারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি বলেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার জন্মদাতা বাবা। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মামলা করে। পুলিশ কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।


আরও খবর



এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার পর সারাদেশে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

রবিবার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

ফলাফল জানা যাবে যেভাবে

এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ফলাফল পাবে, তা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীকে ফলাফল দেখতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এর মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ- SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর