আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

২০৫০ সালের মধ্যে ৫ বছর বাড়বে গড় আয়ু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০৫০ সালের মধ্যে মানুষের গড় আয়ু ৫ বছর বাড়বে। এর সঙ্গে মোটা হওয়া ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগও বাড়বে।

সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়, একদিকে যেমন গড় আয়ু বাড়ার বিষয়ে ভালো খবর দেওয়া হয়েছে, তেমনি কয়েকটি রোগ বাড়বে ও মানুষকে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই রোগের মধ্যে অন্যতম হলো মোটা হওয়া ও উচ্চ রক্তচাপ।

প্রতিবেদনটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে ভবিষ্যতের জীবনযাপনের অনেকটাই পরিবর্তন হবে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড অ্যাডিকশনের প্রধান গবেষক ও বৈজ্ঞানিক লিয়ানে ওং জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে আসক্তি ও মোটা হওয়ার প্রবণতা দুইই বাড়বে।

গবেষকদলের মতে, বিশ্বজুড়েই মানুষের আয়ু বাড়বে। পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ দশমিক এক থেকে ৭৬ দশমিক দুই হবে ও নারীদের গড় আয়ু ৭৬ দশমিক দুই থেকে ৮০ দশমিক পাঁচ হবে। গবেষক সংস্থার ডিরেক্টর ক্রিস মারে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আয়ের দেশ ও কম আয়ের দেশের মধ্যে বৈষম্য থাকবে, তবে ব্যবধান কমবে। সাব সাহারান-আফ্রিকায় মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

গবেষকরা বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার ফলেই আয়ু বাড়বে। কোভিড ১৯, সংক্রামক রোগ, মাতৃত্বকালীন রোগ, বাচ্চাদের রোগ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটানোর জন্য নেওয়া উদ্য়োগের ফলে আগামী তিন দশকে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।

গবেষকরা এটাও দেখেছেন, ২০০০ সাল থেকে উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, মোটা হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বায়ুদূষণ, ধূমপানের প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আনোয়ারা-পটিয়া ক্রসিং এলাকায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অভিযানে ১৮টি গাড়িকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭টি গাড়িকে ডাম্পিং করা হয়।

সোমবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিআরটিএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আনোয়ারা-পটিয়া ক্রসিং এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত ১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী, চট্ট মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক ফাহাদ শিকদার, জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আব্দুল মতিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী। অভিযানের সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

বিআরটিএ জানায়, ফিটনেসবিহীন, রুট পারমিটবিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালনাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৮টি গাড়িকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও কাগজপত্র (ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট) দীর্ঘদিন হালনাগাদ না থাকায় ১টি বাস ও ১টি অ্যাম্বুলেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ডাম্পিং করা হয়।


আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



এমপি আনার হত্যা: ১৪ দিনের রিমান্ডে সিয়াম

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ঝিনাইদহ -৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেনকে ১৪ দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত।

শনিবার (৮ জুন) ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে তাকে তোলা হলে এই আদেশ দেন বিচারক।

এদিন মামলাটি ওঠে আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারক সংগীতা লেট-এর এজলাসে। বিচারক সিআইডি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, আসামিকে কত দিনের হেফাজতে চাইছেন তারা। জবাবে সিআইডি জানায়, ১৪ দিনের হেফাজত দিলে তাদের তদন্তে অগ্রগতি আসবে। এ কথা শুনে সিয়ামকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

গেলো শুক্রবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য-প্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মন্দাক্রান্তা মুখার্জি জানান, এমপি আনারের মরদেহের টুকরোর সন্ধান, হত্যায় কী কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো উদ্ধারসহ তদন্তে গতি আনতেই সিয়ামকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল সিআইডি। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। সিয়ামের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারা যুক্ত করা হবে বলেও জানান সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর।

এর আগে, অনেক নাটকের পর শুক্রবার (৭ জুন) রাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি জানায়, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিআইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ভোলা জেলার বুরহাদ উদ্দিন গ্ৰামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সিয়াম। তার বয়স ৩৩ বছর বয়স। সিয়ামের বাবার নাম আলাউদ্দিন বালি। ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর বনগাঁর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সিয়াম। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

এ নিয়ে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীনের দুই সহযোগী সিয়াম হোসেন ও জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করলো সিআইডি।


আরও খবর



মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া, আছেন সিসিইউতে

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে আবার। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এর আগে গত ১ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। সেসময় তার চিকিৎসায় নিয়োজিত বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন পর ২ মে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফেরেন তিনি।

এর আগে ৩০ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বাসায় ফেরেন তিনি।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।


আরও খবর



উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রিমুখী গোলাগুলি, নিহত ১

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীদের দুপক্ষ এবং পুলিশের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল। বুধবার (১২ জুন) ভোর ৬ টায় উখিয়ার ঘোনার পাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর।

নিহত আব্দুল মোনাফ (২৬) এই ব্লকের বাসিন্দা আজিম উল্লাহের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল মোনাফ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।

আমির জাফর বলেন, সকালে উখিয়ার ঘোনার পাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীদের দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আরসা সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে।

ত্রিমুখী গোলাগুলির এক পর্যায়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিদেশি একটি পিস্তল। পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এডিআইজি বলেন, কি কারণে আরসা সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আমির জাফর।


আরও খবর