আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

আন্তঃদেশীয় মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ শুক্রবার থেকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহায় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা এবং শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার সময় ঢাকা ও খুলনা থেকে ভারতের কলকাতাগামী এই ট্রেন দুটি বন্ধ থাকবে।

সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২২ জুন (৯ দিন) এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২০ জুন (৫ দিন) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে গত ১২ জুন থেকে ৯ দিনের জন্য চলাচল বন্ধ হয়েছে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেসের।

আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস বা বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। ১৪ জুন রাত ১২টার পর থেকে ঈদের পরের দিন সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: চূড়ান্ত ফলে বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৪২টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) সাতটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।

পাঁচটি আসন পেয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)- সিপিআই (এম), ওয়াইএসআরসিপি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আম আদমি পার্টি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) তিনটি করে আসন পেয়েছে।

কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট) (লিবারেশন)সিপিআই (এমএল) (এল), জনতা দল-জেডি (এস), জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি), জনসেনা পার্টি (জেএনপি) ও ভিসিকে দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর তথ্যমতে, ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স–এনডিএ জোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৬টি। অপর দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মোট আসনসংখ্যা হয়েছে ২০১টি। যে আসনটির ফল এখনো ঘোষণা হয়নি, সেটিতে এগিয়ে আছে শারদ পাওয়ারের এনসিপিএসপি। এই দলটিও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছে। আসনটি তারা পেলে বিরোধী এই জোটের আসন সংখ্যা হবে ২০২টি।

এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। সেবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। এবার বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সে ক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।

লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সে ক্ষেত্রে বিজেপি তার জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে। তবে জোটসঙ্গীদের মধ্যে বেশি আসন পাওয়া দলগুলো বিরোধী শিবিরে গেলে চিত্র ভিন্ন হতে পারে।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।


আরও খবর



মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে ২৪৫০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা এবং কারিগরির জন্য ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। সে হিসেবে নতুন অর্থবছরে ২ হাজার ৪৫০ কোটি বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। যা চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৫৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির হার ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ সৃজনের লক্ষ্যে দেশের ১৬০টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান সরঞ্জামাদি এবং ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিগত কয়েক বছরে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ যা ২০২২ সালে ১৮.১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩টি নতুন মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে এবং ৪৯৫টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন করা হয়েছে।


আরও খবর



কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে এমপি আনারের হাড় উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে কলকাতার সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম। তবে হাড়গুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। রোববার সকালে এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (৭ জুন) এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শনিবার তাকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালত।

শনিবার সারারাত ধরে সিয়াম হোসেনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিআইডির কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন সিআইডিকে বেশ কিছু তথ্য জানান। রোববার সকালে সিয়াম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাগজোলা খালে আসেন সিআইডি কর্মকর্তারা। যে স্থানে এমপি আনারের দেহাংশ ফেলা হয় সেই স্থানটি দেখিয়ে দেন সিয়াম হোসেন। তারপর সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন সদস্যের দল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে তল্লাশি অভিযান চালান।

তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়। হাড়গুলো উদ্ধার করে ফরেনসিক টেস্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে সিআইডি। তবে সেই হাড়গুলো মানুষের না অন্য কিছুর তা জানা যাবে, ফরেনসিক পরীক্ষার পর।

সিয়ামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা।), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে গত ২৮ মে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তবে সেগুলো এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ।


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: কেন বাদ পড়লেন আহমাদিনেজাদ?

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের পর নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে ইরান। আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয়জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সেই তালিকায় নেই সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছিলেন আহমাদিনেজাদ। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন তিনি।

ইরানের সাবেক কট্টরপন্থি এই প্রেসিডেন্টকে মনোনয়ন দেয়নি দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৭ ও ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রার্থিতার আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে দুবারই অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।

গত ২ জুন প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধনের কথা জানান আহমাদিনেজাদ। তবে বিশ্লেষকরা সে সময় মত দিয়েছিলেন, গার্ডিয়ান কাউন্সিল খুব সম্ভবত তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। কারণ হিসেবে তারা দেখান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস সেনাদলের সাবেক সদস্য আহমাদিনেজাদ প্রথম ২০০৫ আলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে মেয়াদ পূর্তির পর পদ ছেড়ে দেন।

২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সে সময় আহমাদিনেজাদের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের নেতৃত্বে সেই বিদ্রোহ দমন করা হয়।

সে সময়য় এই রক্তাক্ত দমনপীড়ন অভিযানে অসংখ্য মানুষ নিহত হন ও হাজারো বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদের শেষের দিকে এসে খামেনির সমালোচনায় মুখর হন আহমাদিনেজাদ।

২০১৬ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে সতর্ক করে বলেন, তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেশের স্বার্থপরিপন্থি। এরপর ২০১৭ সালে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়নি গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৮ সালে আহমাদিনেজাদ খামেনির সরাসরি সমালোচনা করেন, যা ইরানে খুবই বিরল। তিনি তাকে চিঠি পাঠিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান। ইরানের সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খামেনির একছত্র আধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আহমাদিনেজাদ। এরপর থেকেই খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।

ইরানের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছয়জন প্রার্থী। তারা হলেন, পার্লামেন্টের রক্ষণশীল স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, অতি রক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জলিলি, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ফাউন্ডেশনের অতি রক্ষণশীল প্রধান আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি। এ ছাড়াও রক্ষণশীল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদিকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শুধু একজন সংস্কারপন্থি প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন। তিনি হলেন, ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।


আরও খবর



মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিঠাপানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান মন্ত্রী।

মো. আব্দুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

মন্ত্রী জানান, দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে দ্বিতীয়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে তৃতীয়। গত দুই বছরে দেশের মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদন ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। চীনের উৎপাদন ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। এ কারণে দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদনে চীনকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ।

মাছ চাষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে। মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশীয় প্রজাতির মাছের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে, অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশকে ছেয়ে ফেলেছে। কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের রেণু পোনা পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। আমরা দেশে কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু উৎপাদনকারীরা কোর্টে রিট করেছে। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।

মাছ রফতানির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা মাছ রফতানি করছি। তবে ভবিষ্যতে রফতানি আয় বৃদ্ধির জন্য আরও নিরাপদভাবে মাছ প্রসেসিংয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর।


আরও খবর