আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

‘আনুশকা হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনের হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশপ্রধান এ কথা বলেন।

ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণসভা শেষে ড. বেনজির আহমেদ বলেন, 'এ ঘটনার পর আমরা আনুশকার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশপ্রধান বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হতে ময়না তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।

এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বেনজির আহমেদ বলেন, কলম সৈনিকরা (সাংবাদিকরা) দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তারা জাতিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেন লেখনীর মাধ্যমে। সাংবাদিক ও পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।

আনুশকা হত্যা মামলার তদারকি কর্মকর্তা রাজধানীর রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে মেয়েটির বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; যার দ্বারা সে ধর্ষণের শিকার হতে পারে। তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তাও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরে বলা যাবে। পুলিশ ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত করছে। সেক্ষেত্রে কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তবে এই ইস্যুকে সামনে এনে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করার চেষ্টা করেন, সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিনিয়র সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে আনুশকা নুর আমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আনুশকার বন্ধু দিহানকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। বন্ধুর ডাকে আনুশকা তার কলাবাগানের বাসায় যায়। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হতে পারে। এ সময় তার শরীর দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো।


আরও খবর



পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে: আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্যদিয়েই নিরসন হবে।

পরিমণি কাণ্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণ হওয়ায় কারণেই সাকলাইনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনও তালা লাগানো থাকে না। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে এটা আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্যদিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।

এর আগে তিনি চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।

পরে তিনি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা

আরও খবর



এমপি আনার হত্যা: আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর দায় স্বীকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে চারজনই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অপর আসামি মিন্টু আট দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) সাত দিনের রিমান্ড চলাকালীন বাবুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বাবু ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ৬ জুন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে বাবুকে আটক করে ঢাকার ডিবির একটি দল। পরে ৯ জুন বাবুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডি থেকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এদিন (১৩ জুন) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলিস্তি রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। দুই দফায় তাদের ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা তিনজনই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন।

১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ। এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি।

এছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে, এজাহারে উল্লেখ করেন ডরিন।


আরও খবর



নবাবগঞ্জে ৫ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আন্তজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আটককৃত ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যরা হলেন, ফরিদপুর জেলার সালথা থানার সুরুপদিয়া এলাকার মো. ইউসুফ মাতবরের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম(২০) খলিল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৩), মো. ওহাব শেখের ছেলে বাবুল শেখ (৩৬), রশিদ মাতবরের ছেলে সৈয়দ আলী মাতবর(২৭), মো. খোরশেদ মাতবরের স্ত্রী কমলা বেগম(৫৫)। গ্রেফকৃত বাবুল শেখের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার সালথা থানায় মামলা আছে।

গত ৪ মে রাতে নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের বড় গোল্লা এলাকায় চার্লস জনির বসত বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত করে। পরবর্তী সময়ে চার্লস জনির মামলার ভিত্তিতে নবাবগঞ্জ থানা পলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ওই ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহারকৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম এ বিষয়ে বলেন, আটককৃত ডাকাতগণ একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। এরা দিনের বেলা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকেন। রাতে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে।

নিউজ ট্যাগ: ডাকাত

আরও খবর



আন্তঃদেশীয় মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ শুক্রবার থেকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহায় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা এবং শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার সময় ঢাকা ও খুলনা থেকে ভারতের কলকাতাগামী এই ট্রেন দুটি বন্ধ থাকবে।

সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২২ জুন (৯ দিন) এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২০ জুন (৫ দিন) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে গত ১২ জুন থেকে ৯ দিনের জন্য চলাচল বন্ধ হয়েছে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেসের।

আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস বা বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। ১৪ জুন রাত ১২টার পর থেকে ঈদের পরের দিন সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।


আরও খবর



সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরো বিশ্বই এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় বিদেশি ফান্ডিং কমে এসেছে। আমাদের এখন শ্যাম ও কুল দুটিই রক্ষা করে চলতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ে দেরি করছে। এটা আমাদের ভোগাচ্ছে। পুরো বিশ্বই এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে। সবাই ব্যয় সংকোচন করছে। বড় বড় দেশগুলো বিশ্বযুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে। আমরাও এর শিকার হচ্ছি। এ কারণে বড় বড় প্রকল্পগুলো অনেকটা স্লো হয়ে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশ অর্থ সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। সারা বিশ্বে অর্থ সংকট কবে শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।

এ সময় কাদের বলেন, ইদানিং বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও দায় আছে। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা ইজিবাইকগুলোকে মহাসড়কে চলতে দিচ্ছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে একটি মোটরসাইকেলে দুজন এবং হেলমেট পরার বাধ্যবাধকতা থাকায় দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। এটা শুধু শহর নয়, মফস্বল ও‌ গ্রামেও মানছে। নো‌ হেলমেট, নো‌ ফুয়েল কার্যকর করায় এটা সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের অনেক জেলায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব রাস্তা‌ মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কগুলো শিগগিরই সংস্কার ও মেরামত করা হবে। এ ছাড়া এসব কাজের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।


আরও খবর