আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

আপনার প্রতীক্ষায় জাদিপাই ঝর্ণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাদিপাই ঝর্ণাকে বলা হয় ঝর্ণার রানি। বাংলাদেশের আকর্ষণীয় ঝর্ণাগুলোর একটি জাদিপাই ঝর্ণা। আকৃতিতে দেশের সবচেয়ে বড় না হলেও গঠন আর অবস্থানের ভিত্তিতে এ ঝর্ণা অনন্য, অপরূপা। উঁচু পাহাড় আর চার দিকে সবুজের সমারোহ।  কেওক্রাডং, জংছিয়া ও জাদিপাই তিন পাহাড়ি ঝিরি একসঙ্গে মিলিত হয়ে জাদিপাই ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে কালো পাথর বেয়ে স্বচ্ছ পানির ধারা নিচে নেমে আসে। ঝর্ণাটি পরে মিলিত হয়েছে সাঙ্গু নদীর সঙ্গে।

জাদিপাই ঝর্ণা ভ্রমণে কখন যাবেন: জাদিপাই ঝর্ণা সারা বছরই কম-বেশি পানি থাকে, তবে বর্ষাকালে গেলে ভালো পানি পাওয়া যাবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তাই এখন গেলেও ঝর্ণার যৌবন দেখতে পাবেন।

জাদিপাই ঝর্ণা ভ্রমণে কীভাবে যাবেন: প্রথমে আপনাকে বান্দরবান শহরে যেতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ছেড়ে যায়। যেমন, শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, সৌদিয়া, এস আলম, ডলফিনের যেকোনো একটি বাসে চড়ে আপনি বান্দরবানের যেতে পারেন। রাত ৯-১০ টায় অথবা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, কলাবাগান, সায়দাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে বাসগুলো বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। নন এসি বাসে জন প্রতি ভাড়া ৯০০ টাকা। এসি ১৪০০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকেও বান্দরবান যেতে পারেন। বদ্দারহাট থেকে বান্দারবানের উদ্দেশে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস যায়। এসব বাসে জনপ্রতি ৪২০ টাকা ভাড়া রাখা হয়। এবার আপনাকে বান্দরবান থেকে চান্দের গাড়িতে বা লোকাল বাসে করে যেতে হবে রুমা। রুমা বাজারে অবশ্যই বিকাল ৪ টার মধ্যে পৌঁছতে হবে। ৪টার পরে সেনাবাহিনী কোনো চান্দের গাড়ি বগা লেকের উদ্দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয় না।

জাদিপাই ঝর্ণার পথে ট্রেকিং: বান্দরাবন থেকে রুমা উপজেলার সদরে যেতে লোকাল বাসে খরচ হবে জন প্রতি ১৮০ টাকা। পুরো চাঁন্দের গাড়ি বা জিপ ভাড়া করলে ৪০০০ টাকা। রুমা থেকে বগালেক পুরো জিপ ভাড়া করলে ২৭০০ টাকা।  রুমা বাজার থেকে গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক। গাইড না নিলে সেনাবাহিনীর অনুমতি দেবে না। প্রতিদিনের গাইড খরচ ৭০০ টাকা। গাইডের খাওয়া থাকা নিজেদের বহন করতে হবে। বগা লেক থেকে হেঁটে কেওক্রাডং, তারপরে পাসিং পাড়া, পাসিং পাড়া থেকে পায়ে হেঁটে জাদিপাই ঝর্ণা যেতে হবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, কেওক্রাডংয়ের পর থেকে সাধারণ পর্যটকদের যাওয়ার নিষেধ। অবশ্য বিশেষ অনুমতি থাকলে যেতে পারবেন। বান্দরবান থেকে থানচি হয়েও জাদিপাই যাওয়া যাবে। এ জন্য বান্দরবান শহর থেকে চাঁন্দের গাড়ি বা লোকাল বাসে যেতে হবে থানচি। থানচি থেকে চাঁন্দের গাড়ি বা জিপ নিয়ে বাক্লাই ক্যাম্পের ঠিক আগে নেমে যেতে হবে। কারণ, জাদিপাই একটা অফট্রেইল।

সাধারণ পর্যটকদের তমাতুঙ্গীর পর যাওয়ার অনুমতি নেই। তবে কেউ কেউ লুকিয়ে বাক্লাই ক্যাম্প পর্যন্ত যায়। তারপর বাক্লাই পাড়া থেকে ৪-৫ ঘন্টা ট্রেকিং করলেই উদ্যমী জাদিপাই পাড়া (নতুন জাদিপাই পাড়া) পৌঁছে যাবেন। উদ্যমী জাদিপাই পাড়া থেকে ১ ঘন্টা ট্রেক করলেই জাদিপাই ঝর্ণায় পৌঁছে যাবেন।

বান্দরবান থেকে থানচি লোকাল বাসে জন প্রতি ২২০ টাকা। চান্দের গাড়ি বা জিপ ভাড়া ৬০০০ টাকা। থানচি থেকে বাক্লাই ক্যাম্প পর্যন্ত চাঁন্দের গাড়ির ভাড়া ২৫০০ টাকা। উদ্যমী জাদিপাই পাড়া থেকে লোকাল গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক। গাইড খরচ ৫০০ টাকা।

জাদিপাই ঝর্ণা ভ্রমণে খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা: বগালেক ও কেওক্রাডংয়ের খাওয়া-থাকার সুব্যবস্থা আছে। জন প্রতি ১৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজের খাবার পাওয়া যায়। আছে থাকার ব্যবস্থাও। জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে থাকতে পারবেন। এক রুমে ৬-৭ জন করে থাকা যায়। এছাড়াও উদ্যমী জাদিপাই পাড়া বা পুরানো জাদিপাই পাড়ায় ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

ঝর্ণা ভ্রমণে সঙ্গে যা নিতেই হবে: অবশ্যই ভালো মানের ট্রেকিং ব্যাগ নিতে হবে। যা দীর্ঘক্ষণ ট্রেকিংয়েও পিঠ ঘামাবে না।  কোমড়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করবে না। সঙ্গে রেইন কভার ও বড় পলিথিন নেবেন।  এড়াও ট্রেকিং প্যান্ট, ট্রেকিং স্যান্ডেল, শুকনা খাবার,  হ্যান্ড গ্লাভস, হেড ল্যাম্প,  টি শার্ট ২/৩ টি, হাফ প্যান্ট, ট্রাউজার, ট্রেকিং পোল, মোজা ১/২ জোড়া, টুথ ব্রাশ, পেস্ট, সাবান, গামছা, পানির বোতল, প্রাথমিক ওষুধ, স্যালাইন, গ্লুকোজ, মশার জন্য ওডোমস ক্রিম, এনআইডি/স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি ২ টা ও পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে নেবেন।

নিউজ ট্যাগ: জাদিপাই ঝর্ণা

আরও খবর



চট্টগ্রামে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ বছর চার দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে পাসের হার।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর যে সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪৫০। অর্থাৎ, পাসের হার বাড়লেও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এএমএম মুজিবুর রহমান।

এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১১টায় ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৩ জন ছাত্র ও পাঁচ হাজার ৭৫০ জন ছাত্রী।

গতবছর ছাত্র পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিল পাঁচ হাজার চারজন। ছাত্রী ছয় হাজার ৪৪৬ জন।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৩ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮৪ দশমিক ১১ শতাংশ।

এবারের পরীক্ষায় এক হাজার ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৯টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৩ হাজার ৫৮১ জন ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। তিন বিভাগেই বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।


আরও খবর



ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনও তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লো মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।

তিনি বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।


আরও খবর



লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তবে এটি ব্যক্তিগত সফর বা অবকাশ যাপনের জন্য নয়। তারা যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য লিফট কিনতে।

আজ শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৯ মে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঢাবির একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই ভবনগুলোর জন্য ১৭টি লিফটের প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করতে চারজনের একটি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক সীতেশ। অন্য তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান।

অধ্যাপক সীতেশের সহকর্মীরা জানান, তিনি একজন বিখ্যাত মেডিসিনাল কেমিস্ট ও স্বীকৃত গবেষক। ফার্মাসি এবং ওষুধের ফিল্ডে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। যন্ত্রকৌশল বিষয়ে তার জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও লিফট কেনার জন্য তার ভ্রমণ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কনে ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে।

একাধিক পিপিআর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করার খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে প্রাক টেন্ডার প্রস্তাবে বিদেশ যাওয়া-আসা এবং সেখানে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই লিফটের দাম নির্ধারণ করা হয়। ফলে আদতে এই ব্যয় ক্রেতাই বহন করছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তেহরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনও দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে। আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে।


আরও খবর



ঢাকার বিষাক্ত বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকার বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকারী শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহন এসব রাসায়নিক উপাদানের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী। বিশ্বের ২৭টি স্থানের বাতাস নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।'

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।


আরও খবর