আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ, শঙ্কায় নিপুণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক ঘোষণার মাধ্যমে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এরপর আর সেভাবে সমিতিতে দেখা যায়নি জায়েদকে। গত ১৯ এপ্রিলে মিশা সওদাগর ও ডিপজল পরিষদের জেতার পর শোনা যাচ্ছিল সমিতিতে সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ। অবশেষে সেটাই হয়েছে।

জায়েদ খানের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছে সমিতির বর্তমান কমিটি। গেল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব জানান, জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপনেও বিষয়টি জানিয়েছে শিল্পী সমিতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশা সওদাগর বলেন, সর্বসম্মতিক্রমেই জায়েদ খানের পদটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমিতির নতুন মুখপাত্র করা হয়েছে অভিনেতা রুবেল ও ডি এ তায়েবকে। এ কারণে বিষয়টি প্রথমে জানিয়েছেন তায়েব।

এর আগে ২০২৩ সালে জানানো হয়েছিল, কোনো রূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। এ কারণে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিপুণের এমন সিদ্ধান্তকে দ্বৈতনীতি বলে অ্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।

জায়েদ এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভাশেষে ডিএ তায়েব বলেন, নিপুণের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।


আরও খবর



অরিত্রীর আত্মহত্যা: ফের পেছাল মামলার রায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচারক ছুটিতে থাকায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার রায় আবারও পিছিয়ে যাচ্ছে। মামলার দুই আসামি হলেন- ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। তারা জামিনে আছেন।

আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় আজ রায় ঘোষণা হচ্ছে না।

ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করবেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল বলেন, স্যার (বিচারক) ছুটিতে থাকায় আজ রায় হচ্ছে না। তবে ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করবেন।

গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ ও ৯ এপ্রিলও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা ঘোষণা হয়নি। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী।

এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী। আত্মহত্যার পর তার সহপাঠীরা বিক্ষোভে নামে। ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় অরিত্রীর শিক্ষকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও পরে তারা জামিন পান।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর বাবা লেখেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাদের অপমান করে। ওই অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

নিউজ ট্যাগ: অরিত্রী অধিকারী

আরও খবর



টানা বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সিলেট মহানগরের অধিকাংশ এলাকা। এসব এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও খাবারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে নতুন করে ৬ হাজার পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। সবমিলিয়ে এখন ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গতকাল রোববার রাতের টানা কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে ও সুরমা নদীর পানি উপচে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। বাদ যায়নি সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও। চিকিৎসাকেন্দ্রটির বিভিন্ন ভবনের নিচতলা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড.মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ভোররাত থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে হাসপাতাল ভবনের নিচতলার প্রায় প্রতিটি কক্ষে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী এবং চিকিৎসা দিতে আসা চিকিৎসক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সিলেটের নদ নদীর ৪টি পয়েন্টর পানি বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার রাত ও সোমবার সকালে ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে নগরের উপশহর, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, তেরোরতন, সাদারপাড়, সোবহানীঘাট, যতরপুর, কুশিঘাট, তালতলা, জামতলা, মণিপুরি রাজবাড়ি সহ অনেকে এলাকা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা থেকে নামতে শুরু করে পানি। তবে এখনো পানিবন্দি উপশহরে মানুষ।

উপশহর এলাকার বাসিন্দারা জানান, অনেকের বাসার নিচের হাঁটু পর্যন্ত পানি। কোনো ঘরের মধ্যে বিদ্যুত নেই, গ্যাস নেই, খাবার নেই। কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে না।

এদিকে, উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, সোমবার বেলা ১২টার তথ্যমতে, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি দিয়ে পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টার ২০০ মি.মি এর বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে। এছাড়া মৌসুমি বায়ুর সিলেটের দিকে চলে এসেছে, যার ফলে সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টি আরোও বাড়তে পারে।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন সহ ১৪ উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। এসব উপজেলার ৫৫৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই হয়েছে ১হাজার ৪শ মানুষের।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, গতকাল রবিবার রাত থেকে টানা বর্ষণে প্রায় ২৮ টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এরফলে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। নগরীর প্লাবিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন নগর ভবন কতৃর্পক্ষের।

ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বন্যায় প্লাবিত হয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর মাধ্যমে বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি ও আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ মখলিছুর রহমান কামারন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, হমায়ুন কবির সুহিন, জয়নাল আবেদীনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রোষ্টার ডিউটি পালন করবেন সিসিকের কর্মকর্তাগণ। জরুরি সেবায় কন্ট্রোলরুম যোগাযোগের ফোন নম্বর (০১৯৫৮২৮৪৮০০) ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সোমবার মধ্যরাত থেকে টানাবর্ষণ হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে আরও কয়েকটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডে এরও ১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর প্লাবিত এলাকাগুলোতে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে। আজ রাতে ওইসব এলাকায় রান্না করা খাবার দেওয়া হবে। নগরীর সকল ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলরদের সাথে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে নগর ভবন।

তিনি আরও জানান, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নগরীর ছড়াখাল পানি ভরে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল ওয়ার্ড সমূহে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সিসিক। আশ্রয় কেন্দ্রসহ ত্রাণ সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সিসিক কতৃর্পক্ষ।

ইতিমধ্যে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৫ নং ওয়ার্ডে কিশোরী মোহন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, বসন্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, মওদুদ আহমের বাসায় আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। ১৩ নং ওয়ার্ড মির্জা জাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২৪ নং ওয়ার্ড তেররতন স্কুল, ওমর শাহ স্কুল ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউসেফ ঘাসিটুলা স্কুল, জালালাবাদ মডেল স্কুল, মঈনুদ্দিন মহিলা কলেজ, কানিশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কাউন্সিলর তাদের নিজ বাস ভবনে পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয় প্রদান করছেন। ইতিমধ্যে মহানগরীতে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী আবস্থায় রয়েছেন।

সাজলু লস্কর আরও জানান, কাউন্সিলরদের দেয়া তথ্যমতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।


আরও খবর



মিসরের সঙ্গে গাজার পুরো সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিলো ইসরায়েল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড ও মিসর সীমান্তের মধ্যকার কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সীমান্ত বরাবর অবস্থিত এই এলাকাটি একটি বাফার জোন এবং এটি ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত।

এই অঞ্চলটি দখলে নেওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ পেল ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ড এবং মিসরের মধ্যে সীমান্ত বরাবর অবস্থিত একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী বুধবার জানিয়েছে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করল ইসরায়েল।

বুধবার রাতে ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরু ফিলাডেলফি করিডোরের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। মিসর এবং গাজার মধ্যে অবস্থিত এই বাফার জোনটি ১৯৭৯ সালের ইসরায়েল এবং মিসরের মধ্যে শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, আমাদের বাহিনী ফিলাডেলফি করিডোরের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেখানে তারা এমন বিশটির মতো টানেল খুঁজে পেয়েছে যা হামাস অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করতো।

যদিও মিসরীয় টেলিভিশনে একটি সোর্সকে উদ্ধৃত করে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে।

মূলত ইসরায়েলের ঘোষণাটি এমন সময় এলো যখন মিসরের সাথে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র এই করিডোরকে হামাসের লাইফ লাইন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার দাবি, এই পথে হামাস নিয়মিত গাজা উপত্যকায় অস্ত্র আনার কাজ করে। তিনি বলেন, সৈন্যরা অনুসন্ধান করে দেখছে .... এবং ওই এলাকার টানেলগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করার কাজ করছে।

যদিও সবগুলো টানেল মিসরের সাথে গিয়ে যুক্ত হয়েছে কি না তা তিনি নিশ্চিত নন বলে ওই মুখপাত্র পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এদিকে মিসরের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে আল কাহেরা নিউজ বলেছে রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধকে প্রলম্বিত করা এবং ফিলিস্তিনি শহর রাফাতে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য ইসরায়েল এসব অভিযোগ ব্যবহার করছে।

প্রসঙ্গত, তিন সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি সেনারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর আগে চলতি সপ্তাহে রাফার কাছে সীমান্ত এলাকায় মিসর ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় এক মিসরীয় সৈন্যের মৃত্যু হয়।

মিসর ফিলিস্তিনের শক্তিশালী সমর্থক এবং গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।

উল্লেখ্য, ফিলাডেলফি করিডোর একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা মাত্র একশ মিটার প্রশস্ত। আর মিসর সীমান্ত থেকে গাজার দিকে ১৩ কিলোমিটারের মতো। মিসর এর আগে বলেছে, তারা আন্তঃসীমান্ত (উভয় সীমান্তের সাথে সংযুক্ত) টানেলগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে এগুলোর মাধ্যমে অস্ত্র চোরাচালান অসম্ভব।


আরও খবর



মেহেরপুর ক্লিনিক মালিকে এক বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী বাজারের করবী ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুতকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামিম এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডিতকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা হাড়াভঙ্গা গ্রামের আরিফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে ডেলিভারির জন্য ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ ডাক্তার না থাকা স্বত্ত্বেও রোগিকে বিভিন্ন তালবাহানা করে ভর্তি রাখে। এতে গর্ভের সন্তান মারা যায়। দুপুরে করবী ক্লিনিকে চিকিৎসক এসে সিজারিয়ানের পর ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করে।

বিষয়টি জানার পর গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সুপ্রভা রাণী ঘটনাস্থলে যান। ওই দম্পতি কোন অভিযোগ না করলেও ক্লিনিকে নানা অবস্থাপনার কারণে ক্লিনিক মালিক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুতকে এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম নাদির হোসেন শামিম জানান, এই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ি অভিযান চালানো হয়। এসময় অব্যবস্থাপনার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ক্লিনিক মালিককে উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: মেহেরপুর

আরও খবর



ডিম পেঁয়াজ আলুর দামে নাভিশ্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অত্যন্ত চড়া। এই তিন পণ্য ছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই কমবেশি বাড়তি। যে কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দ্রব্যমূল্যের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যে কারণে বাজারেও বাজেটের কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি।

এদিন বাজারে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর একটি ডিমের দাম নেওয়া হচ্ছে ১৪ টাকা। এ দাম প্রায় বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ।

বাজারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সবজি আলু। গত বছর থেকে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি। এখন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েকদিন আগেও ৫০ টাকা ছিল।

মালিবাগ বাজারের আলু বিক্রেতা মজনু মিয়া বলেন, এ বছর আর আলুর দাম কমবে না, বরং দিন দিন আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। কারণ কোল্ড স্টোরেজ থেকেই আলু প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে, যা পাইকারি বাজারে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ভারত থেকে আমদানির সুযোগ থাকলেও দেশে প্রতিদিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৭০ টাকা ছিল।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। যে কারণে হু হু করে দাম বাড়ছে। ঈদের আগে দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকলেও ওই দেশ ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। শুল্ক-করসহ এ পেঁয়াজ দেশে আনতে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা খরচ হয়। যে কারণে কেউ পেঁয়াজ আমদানি করছে না। এতে বাজার শুধু দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করেই চলছে।

এদিকে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তি আদা-রসুনের দামও। প্রতি কেজি আদা ও রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন সবজিসহ তেল, চিনি ও আটার মতো অন্যান্য নিত্যপণ্য চড়া দামে আটকে রয়েছে।


আরও খবর