আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

আসছে এলিয়েন ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন সিনেমা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বহু দূরের এক গ্রহে নিজেদের আবিষ্কার করে তারা। সম্পূর্ণ নতুন এক জগৎ। সেখানে তাদের মোকাবেলা করতে হবে মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীদের সঙ্গে। এলিয়েনদের নিয়ে এমনই এক গল্পে নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন সিনেমা। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে ৯ মার্চ থেকে এ সিনেমার নির্মাণকাজ শুরু হবে। ওয়াল্ট ডিজনির টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি স্টুডিওজ সিনেমার গল্প এবং কলাকুশলীদের নাম ঘোষণা করেছে। তবে সিনেমার নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সিনেমায় ভিনগ্রহের প্রাণীদের মোকাবেলা করবেন ডেভিড জনসন, অর্চি রেনক্স, ইসাবেলা মার্চেদ, স্পাইক ফার্ন ও অ্যাইলিন উ। তাদের নেতৃত্ব দিবেন কাইলি স্পেইনি। সিনেমাটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করবেন ফেড আলভারেজ। চিত্রনাট্যও তারই রচনা। রিডলি স্কট ও মাইকেল প্রুস নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকবেন। এদের সঙ্গে আরো যুক্ত হচ্ছেন ব্রেন্ট ওকনোর, এলিজাবেথ ক্যানটিলন ও টম মোরান।

এলিয়েন ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা এলিয়েন। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন রিডলি স্কট। এরপর এলিয়েনস, এলিয়েন থ্রি ও এলিয়েন রেজারেকশন নামে এর তিনটি সিকুয়াল তৈরি হয়। ২০০৪ সালে তৈরি হয় প্রিডেটর ও এলিয়েনের যৌথ গল্পের সিনেমা। সে বছর এলিয়েন ভার্সাস প্রিডেটর সিনেমা মুক্তি পায়। সে ধারাবাহিকতায় অ্যালিয়েনস ভার্সাস প্রিডেটর: রিকুয়েম মুক্তি পায় ২০০৭ সালে।

এলিয়েনের প্রিকুয়েল সিরিজের প্রথম সিনেমা প্রমিথিউস ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। দ্বিতীয় সিনেমা অ্যালিয়েন: কোভেন্যান্ট মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। প্রিকুয়েল, সিকুয়াল এবং ক্রসওভার সিরিজ মিলিয়ে এলিয়েন ফ্র্যাঞ্চাইজির এ পর্যন্ত মোট ৮টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। নবম সিনেমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।


আরও খবর



শৈলকুপার ‘রসগোল্লা চা’ ফেসবুকেই সুস্বাদু !

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

রসগোল্লা দিয়ে চা! এ যেন স্বাদে টুইটুম্বর। ফেসবুকে যেন ভাইরাল। দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। গত কয়েকদিন ধরে এমন রসগোল্লা চায়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা দেখে অনেকেই ছুটছেন সেই চায়ের দোকানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে হচ্ছেন হতাশ। যেমন আশা করে যাচ্ছেন চায়ের স্বাদ নিতে গিয়েও হতাশ হচ্ছেন চা প্রেমীরা।

জানা যায়, শৈলকুপার কাতলাগাড়ী বাজারে শুভ ইশান হুজাইফা নামের চায়ের দোকানে গত কয়েকদিন যাবত বিক্রি শুরু করেছেন রসগোল্লা দিয়ে চা। দুধ আর চা দিয়ে তার মধ্যে ছেড়ে দিচ্ছেন স্থানীয় ভাবে তৈরী একটি রসগোল্লা। এতেই যেন বেড়ে যাচ্ছে স্বাদ। দামও হাকাচ্ছেন ৮০ টাকা। যেখানে চায়ের কোন অস্তিত্ব পাওয়া দুস্কর। সেই সাথে নিন্মমানের রসগোল্লা দিয়ে চা তৈরী করায় যাচ্ছেতাই স্বাদ পাচ্ছেন চা প্রেমীরা। সম্প্রতি ভিউপ্রেমী কিছু ইউটিউবার এই চায়ের সুনাম করে ভিডিও দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতেই সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন চা প্রেমীরা। কিন্তু গিয়ে চায়ের মান নিন্মমানের হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে চা থেকে যাওয়া এক নারী বলেন, ফেসবুকে দেখে স্বামীর সাথে এখানে চা খেতে এলাম। ভাবলাম একটু ঘোরাও হবে চা খাওয়াও হবে। কিন্তু এখানে এসে এই চা খেতে খুব হতাশ হলাম। রসগোল্লাটা খুবই নিন্মমানের। আর চায়ের তেমন স্বাদই নেই। যেন শরবত খাচ্ছি। চায়ের দাম নিচ্ছে ৮০ টাকা।  চায়ের নামের পুরোটা প্রতারণা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আসা রিপন নামের এক যুবক বলেন, ফেসবুকে দেখে বন্ধুদের সাথে চা খেতে এলাম। এসে দেখি দোকানদার তো খুব ব্যস্ত। রসগোল্লা চা দিলেন আধাঘন্টা পরে। কিন্তু চায়ের কোন স্বাদ পেলাম না। নামেই শুনেছি রসগোল্লা চা। এর চেয়ে শরবত খাওয়া ভালো। আর এই দোকানদার এই চায়ের নাম করে দুধ চা বিক্রি করছে। রসগোল্লা চা চাইলে দেরীতে দিচ্ছে। অনেকে ফিরে যাচ্ছে। যারা আসছেন তাদের দুধ চা খেতে হচ্ছে। তারপরও দুধ চা যেন দুধ আর চিনি দিয়ে জালানো। চায়ের কোন স্বাদ নেই।

স্থানীয় যুবক রাইদুল বলেন, এর আগেও এই দোকানে নানা পদের চা বিক্রি করা হতো। কিন্তু বেশিদিন ধরে বিক্রি করেন না ইনি। কিছুদিন চলার পর ক্রেতা আকর্ষণ করতে নতুন নতুন কৌশল নেন চা দোকানী খাইরুল। তাই বলব, যারা দুর-দুরান্ত থেকে চা খেতে আসবেন একটু খোঁজ খবর নিয়ে আসবেন।

এ ব্যাপারে চা দোকানী খাইরুল ইসলাম বলেন, খুব ব্যস্ততা চলছে আমাদের। আগুনের জিনিস। স্বাদ একটু এদিক সেদিক হতেই পারে।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর



বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত ২৪ জুন আফগানিস্তানের কাছে হেরে সুপার এইট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর কিছুদিন ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জে কাটানোর পর শুক্রবার (২৮ জুন) দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে তারা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যায় শান্তর দল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শেষ আটে জায়গা করে নেয় টাইগাররা।

তবে শেষ আটে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় শান্ত বাহিনীরা। এরপর ভারতের কাছেও হারে বাংলাদেশ। তবে দুই ম্যাচ হেরেও সেমিতে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। শেষ আটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। তবে নাটকীয় সেই ম্যাচ হেরে শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় শান্তর দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে সাবেকরা প্রশংসা করলেও ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করেছেন সকলে। ব্যাট হাতে কেউ এবারের বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেনি। সবাইকে হতাশ করেছেন সাকিব-শান্তরা। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও ছিলেন অনুজ্জ্বল।

তবুও তাদের মাঝে নিজেকে মেলে ধরেছেন তাওহীদ হৃদয়। আর বল হাতে তো সবার সুনাম কুড়িয়েছেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন। মুস্তাফিজ, তাসকিনরাও নিজেদের ছন্দেই ছিলেন।


আরও খবর



টানা বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সিলেট মহানগরের অধিকাংশ এলাকা। এসব এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও খাবারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে নতুন করে ৬ হাজার পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। সবমিলিয়ে এখন ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গতকাল রোববার রাতের টানা কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে ও সুরমা নদীর পানি উপচে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। বাদ যায়নি সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও। চিকিৎসাকেন্দ্রটির বিভিন্ন ভবনের নিচতলা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড.মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ভোররাত থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে হাসপাতাল ভবনের নিচতলার প্রায় প্রতিটি কক্ষে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী এবং চিকিৎসা দিতে আসা চিকিৎসক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সিলেটের নদ নদীর ৪টি পয়েন্টর পানি বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার রাত ও সোমবার সকালে ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে নগরের উপশহর, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, তেরোরতন, সাদারপাড়, সোবহানীঘাট, যতরপুর, কুশিঘাট, তালতলা, জামতলা, মণিপুরি রাজবাড়ি সহ অনেকে এলাকা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা থেকে নামতে শুরু করে পানি। তবে এখনো পানিবন্দি উপশহরে মানুষ।

উপশহর এলাকার বাসিন্দারা জানান, অনেকের বাসার নিচের হাঁটু পর্যন্ত পানি। কোনো ঘরের মধ্যে বিদ্যুত নেই, গ্যাস নেই, খাবার নেই। কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে না।

এদিকে, উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, সোমবার বেলা ১২টার তথ্যমতে, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি দিয়ে পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টার ২০০ মি.মি এর বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে। এছাড়া মৌসুমি বায়ুর সিলেটের দিকে চলে এসেছে, যার ফলে সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টি আরোও বাড়তে পারে।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন সহ ১৪ উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। এসব উপজেলার ৫৫৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই হয়েছে ১হাজার ৪শ মানুষের।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, গতকাল রবিবার রাত থেকে টানা বর্ষণে প্রায় ২৮ টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এরফলে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। নগরীর প্লাবিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন নগর ভবন কতৃর্পক্ষের।

ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বন্যায় প্লাবিত হয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর মাধ্যমে বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি ও আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ মখলিছুর রহমান কামারন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, হমায়ুন কবির সুহিন, জয়নাল আবেদীনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রোষ্টার ডিউটি পালন করবেন সিসিকের কর্মকর্তাগণ। জরুরি সেবায় কন্ট্রোলরুম যোগাযোগের ফোন নম্বর (০১৯৫৮২৮৪৮০০) ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সোমবার মধ্যরাত থেকে টানাবর্ষণ হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে আরও কয়েকটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডে এরও ১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর প্লাবিত এলাকাগুলোতে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে। আজ রাতে ওইসব এলাকায় রান্না করা খাবার দেওয়া হবে। নগরীর সকল ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলরদের সাথে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে নগর ভবন।

তিনি আরও জানান, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নগরীর ছড়াখাল পানি ভরে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল ওয়ার্ড সমূহে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সিসিক। আশ্রয় কেন্দ্রসহ ত্রাণ সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সিসিক কতৃর্পক্ষ।

ইতিমধ্যে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৫ নং ওয়ার্ডে কিশোরী মোহন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, বসন্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, মওদুদ আহমের বাসায় আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। ১৩ নং ওয়ার্ড মির্জা জাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২৪ নং ওয়ার্ড তেররতন স্কুল, ওমর শাহ স্কুল ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউসেফ ঘাসিটুলা স্কুল, জালালাবাদ মডেল স্কুল, মঈনুদ্দিন মহিলা কলেজ, কানিশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কাউন্সিলর তাদের নিজ বাস ভবনে পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয় প্রদান করছেন। ইতিমধ্যে মহানগরীতে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী আবস্থায় রয়েছেন।

সাজলু লস্কর আরও জানান, কাউন্সিলরদের দেয়া তথ্যমতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।


আরও খবর



বন্যায় আক্রান্ত সিলেট: পানিবন্দি সাত লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

মাত্র ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি। মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরের ১৫টি এলাকার ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। বন্যায় ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন। সুরমা নদী ছাপিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এটি প্লাবিত হলে দক্ষিণ সুরমার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারেন।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ। নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন তারা।

গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই গত শনিবার ফের কবলিত সিলেট।

সোমবার ঈদের দিন ভোর রাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সাথে নামে পাহাড়ি ঢল। সকাল হতে না হতেই তলিয়ে যায় মহানগরের অনেক এলাকা। জেলার বিভিন্ন স্থানেও অবনতি হয় বন্যা পরিস্থিতির। সোমবার বিকালে বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে পানি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। উজানেও বৃষ্টিপাত হয় প্রচুর। ফলে হু হু করে বাড়তে থাকে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। ঈদের দিন দুটি নদীর পানি ২টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও মঙ্গলবার সকালে ৪টি নদীর পানি ৬ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকালে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় পানি আরও বেড়েছে।

চৌকিদিঘির বাসিন্দা মতিন মিয়া জানান, ঘরে কোমর পানি, আমার পরিবার গাঙ্গের হপাড় রাইক্কা আইছি আশ্রয়কেন্দ্রত। একবারে নিরাশ অবস্থা, খাবারদাবার কিচ্ছুই নাই। এই অবস্থার মাঝে আছি। আমরা বারবার ভোগান্তির শিকার হইরাম। কেউ দেখেরও না। সরকারের পক্ষ থাকিও কুন্তা দেয়া ওর না।

এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। আর সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৬ লাখ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরের সব নিচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর প্রায় পুরোটাই পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচতলায় গলা পর্যন্ত পানি। এছাড়া যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যাকবলিত।

এছাড়া মহানগরের মধ্যে অনেক প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি রয়েছে। এয়ারপোর্ট সড়ক, সিলেট-তামাবিল সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান পানির নিচে। এদিকে মহানগর পুরোটা না হলেও জেলার সব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দি লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আগামী ৩ দিন সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ সময় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন দিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বুধবার দিনভর সিলেট নগরীর বিভিন্ন বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এসময় নগরীর বন্যা পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১ শ' মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

ত্রাণ সহায়তায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার খবর রাখছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সিটি কর্পোরেশন। পানি না কমা পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এসময় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৫৪ ওমরাহ কোম্পানিকে কালো তালিকাভূক্ত করলো সৌদি আরব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অনিয়মের অভিযোগে ৫৪ ওমরাহ কোম্পানিকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে সৌদি আরব। এর মধ্যে আরব ও ইসলামিক দেশের ১৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

গত মাসে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় হজ পালন করতে এসে অনেক হজযাত্রী মারা যান। এদের মধ্যে অনেকে সৌদি আরবে ভ্রমণ ভিসায় এসে হজ পালন করেন। আর এসব হজযাত্রীদের নিয়ম ভঙ্গে সহযোগিতা করে অনেক ট্রাভেল এজেন্সি। যার ফলে এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সৌদি আরবের আল ওয়াটন সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, অনেক কোম্পানি সৌদি আরবের নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে মিলে নীতি ভঙ্গ করেছে।

অসমর্থিত সূত্রের বরাদ দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকে মানবপাচারের সঙ্গেও জড়িত। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন নেই। ফলে তারা অবৈধভাবে অনেককে ওমরাহ ভিসা দিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী আব্দুল ফাতাহ মাসাত সম্প্রতি ওমরাহ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন ওমরাহ মৌসুম নিয়ে আলোচনা করেছেন। গত মাসে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় ১৮ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করেন। এরপর থেকেই ওমরাহ পালনের মৌসুম শুরু হয়েছে।


আরও খবর