আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বাংলাদেশের সংলাপ প্রসঙ্গ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর, স্থানীয় সময়) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সংলাপের গুরুত্বের কথা বলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

একইসঙ্গে জনগণের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার, বিরোধীদল, সিভিল সোসাইটি এবং অন্যসব অংশীদারদের সাথে সব ধরনের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন>> আমেরিকায় ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠক করলে আমরাও করবো: শেখ হাসিনা

ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক সাংবাদিক উল্লেখ করেন- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মিলারের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে মিলার বলেন, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেটা প্রয়োজন তা হলো- আমরা বিশ্বাস করি এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংলাপই গুরুত্বপূর্ণ।

মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আমাদের আহ্বান তারা যেন বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে এক হয়ে কাজ করেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সিইসির সঙ্গে আলাপ শেষে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দলগুলো শর্তহীনভাবে সংলাপে বসে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

আরও পড়ুন>> সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান পিটার হাসের

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি চাই।

প্রায় সোয়া ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে পিটার হাস বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা রাজনৈতিক দল, সরকার, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবমূল্যায়ন করে এমন যে কোনো প্রতিক্রিয়া, ভোটাধিকার প্রয়োগ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, ইন্টারনেট ব্যবহার বাধা প্রদান, সহিংসতা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

যে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো স্থান নেই। আমি আশা করি সব পক্ষ শর্তহীনভাবে সংলাপে বসে সামনে দিকে এগোবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে, বলেন তিনি।


আরও খবর



গরম কমলে বড় আকারে আন্দোলনে নামবো: মান্না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গরম কমে গেলে আমরা আরও বড় আকারে আন্দোলনে নামব। দেশের মানুষের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।

শুক্রবার (১০ মে) প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন হবে জিনিসপত্রের দাম কমানোর, ঋণের বোঝা কমানোর এবং বিদ্যুতের দাবি আদায়ের আন্দোলন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে মানি না এবং মানবোও না। শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তারা দেশের মানুষকে অসুস্থ করে নিজেদের চেহারা ভালো করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আগামী ৩ মাস বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করার টাকাও এই সরকারের কাছে নেই। রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগও নেই। শুধুমাত্র বিদেশিরা ডলার দিলে এদেশ বাঁচতে পারে।

কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মুয়াজ্জেব হোসেন আলাল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন

রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি বিলেই রয়েছে প্রায় দুই শতাধীক পুকুর। সরকারি খাল-ডোবা নালা, আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্রে পুকুরে সয়লাভ। এসব জমির বেশিরভাগই ধানের জমি। এতে দিনদিন কমছে চাষাবাদের জমি। ফলে হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন।

অন্যদিকে একের পর এক গড়ে ওঠা ইটভাটা গ্রাস করে নিচ্ছে ফসলি জমি। বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলো এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মৌসুমে ইট ভাটার আশপাশে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটি খেঁকোদের খপ্পরে পড়ে জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়, পুড়ছে আগুনে।

শুক্রবার বিকালে ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাটি কাটার এ কর্মযজ্ঞ।

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের আমির হোসেন ডিপজলের ইটভাটার পিছনে দেহলা ও সমেষপুর কৃষি জমির চিত্র এটি।

পুরো ফসলি জমির মাঠ জুড়ে বিশাল বিশাল পুকুরে সয়লাভ। এসব পুকুরের কারণে কোন ধরনের ফসল ফলানো স্থানীয় কৃষকদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে উক্ত বিলে ৩০টির বেশী পুকুর খনন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী কয়েকবার  মানববন্ধন, প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ, গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন করে আসলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা।

শুক্রবার ২৬ (এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টি অবৈধ ট্রলি ও ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী আল মদিনা ও জেবিএম ইটভাটায়।

আবদুস সালাম, কালা মিয়া, রাজা মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ভোলাকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল পাটোয়ারী, ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল, জাহাঙ্গীর কোম্পানী, সিরাজ মিয়াসহ মাটি ব্যবসায়ী এই চক্রটি জমি কিনে নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

এত পার্শ্ববর্তী জমি ভেঙ্গে পড়ে পুকুরে পতিত হয়। পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বাধ্য হয়ে মাটি খেকোদের কাছে অল্প দামে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষককে জমির মাটি বিক্রিতেও বাধ্য করা হয় কখনো কখনো। নামমাত্র মূল্যে ২বা ৩ ফুট কাটার কথা বলা হলেও অল্প কদিনেই ভেকু মেশিন দিয়ে কোথাও কোথাও তা ৪০/৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

সিরাজ নামের একজন কৃষক জানান, সমস্ত মাঠটাকে যেভাবে ধ্বংস করে ফেলছে, আমরা কৃষক কিভাবে চাষাবাদ করবো, কি খাবো।

শাহ আলম নামের আরেক কৃষক জানান, পুরো মাঠজুড়ে পুকুর। পুকুরের কারণে নিজের জমিতেই যাওয়া যায়না। কিছু কিছু জমির ধান পেকে আছে অথচ ধান কেটে কিভাবে আনবো-নৌকায় করেও আনা সম্ভব নয়।

ভোলাকোট গ্রামের দেহলা, শাহারপাড়া, শাকতলা ও ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর ও সিরুন্দিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক যুগ যুগ ধরে এ মাঠে চাষাবাদ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কয়েক বছর আগে থেকেই এ মাঠটি মাটি খেকোদের কুনজর পড়েছে। এখন চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেশীভাগ কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা জড়িত হতে বাধ্য হচ্ছেন।

মাটিকাটায় অভিযুক্ত দুলাল পাটোয়ারী জানান, সবাই কাটে-আমরা কাটলে দোষ হয়? আপনারা আসছেন, আপনারা নিউজ করেন-আমরা আমাদের কাজ করি।

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আমি অসহায়। আমার কিছু করার নেই মাটিকাটা বন্ধে। আপনারা নিউজ করে দেখেন কিছু করতে পারেন কি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, সর্বশেষ মাসিকসভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মাটি কাটা রোধে সরকারি সবধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে চলতি মাসেই

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা বৃষ্টির পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ জেলায়। সামনের কয়েক দিনে তাপদাহের বিস্তৃতি বাড়তে পারে আরও। এরই মধ্যে আভাস মিলেছে শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ের।

চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) টানা একমাস তীব্র দাবদাহে পর শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পেয়েছে ঢাকাবাসী। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টিতে নগরবাসী কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম।

উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তি পেতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৮ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন মামুনুল হক।


আরও খবর