আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বেড়েছে মুরগির দাম, কাঁচা মরিচের কেজি ২৫০

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ ও সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর কাঁচা মরিচের কেজি তো ছুঁয়েছে আড়াইশ টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৯০ টাকা, গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকা। এছাড়া চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, আকারভেদে প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। 

বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শুকনো মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। 

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ ও সবজির। সরবরাহ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে সবজির দাম। 

বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এসব বাজারে প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, চায়না রসুন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এছাড়া আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। 

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডাল কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

প্যাকেট আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, খোলা আটার কেজি ৫০ টাকা। এছাড়া ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। 

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ১৯০ টাকায়। 

বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকায়।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, বাজারে তেমন মুরগির দাম বাড়েনি। শুক্রবার হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে।


আরও খবর



কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনে সমবেত হন শত শত শিক্ষার্থী। এসময় কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফের সঞ্চালনায় আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, আমি একজন নারী এবং আমার ১ম শ্রেণির কোটা থাকা সত্ত্বেও আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমার মধ্যে যদি মেধা থেকে থাকে, দক্ষতা থাকে তবে আমি আমার মেধা, দক্ষতা দিয়ে প্রথম শ্রেণির চাকরি অর্জন করতে পারব। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রতিটা মেয়েরই এই সক্ষমতা আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তার জন্য কোনো কোটার দরকার হয়েছিল? নিশ্চয়ই হয়নি। তাই আমরা যারা মেয়েরা আছি আমাদেরও কোনো কোটা দরকার নেই।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমি আমার মেধার জোরে চান্স পেয়েছি। কোটায় সাবজেক্ট আসা সত্ত্বেও আমি ভর্তি হয়নি। আমার মেধার ভিত্তিতে যে সাবজেক্ট এসেছে সেটায় ভর্তি হয়েছি। আমি এই কোটা সংস্কৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হোক। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের  বিরুদ্ধে নয়। তবে কোনো বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিব না।

পপুলেশন সাইন্সের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, আজকে এই আন্দোলনের মানে আমাদের দাবি আদায় হয়ে গেছে এমন নয়। যতদিন না আমাদের দাবি আদায় হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব। পরবর্তীকালে আমরা রাবি মেইন গেটে দাঁড়াব। যেহেতু শিক্ষার্থীরা বাসায় চলে যাবে আমরা কবিতা, গান, কথা, লেখার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলব। এজন্য তিনি সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এসময় 'কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক', 'কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চায়'- স্লোগানে দিতে শোনা যায়। আন্দোলন বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সংসদ নেতা হচ্ছেন মোদি, রাহুলের খবর কী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিজেপি বিরোধীদের নিয়ে ইনডিয়া জোট গঠন করেও ভারতে সরকার গঠন করতে পারছে না কংগ্রেস। তবে দেশটির প্রধান বিরোধীর আসনে কংগ্রেসই। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

আর এই বিষয়ে পাল্লা ভারী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীর দিকেই। ভারত জোড়ো যাত্রা থেকেই রাহুলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। আর সেটির প্রভাবই সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ভোটবাক্সে দেখা গেছে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি।

এই নির্বাচনে রায়বরেলি ও ওয়েনাড়- দুটি আসন থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। স্বাভাবিকভাবেই এবার দেশটির সংসদেও রাহুল গান্ধী সামনে থেকে দলকে পরিচালনা করবেন; এমনটিই চান কংগ্রেস শিবিরের অনেকেই।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদের দায়িত্ব রাহুল গান্ধীকে নিতে কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা দাবি জানাতে চলেছেন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে খুব দ্রুত কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হচ্ছে। আর সেই বৈঠকেই বিরোধী দলনেতার নাম চূড়ান্ত হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সদ্য সমাপ্ত ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। কিন্তু সবার নজরে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ফলাফল। বিশেষ করে নজর কেড়েছে কংগ্রেসের ফলাফল।

ভারতের এক সময়ের সবচেয়ে বড় এই দলটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছিল, তারাই আবার ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১০০ আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। শেষবার এই দলটি আসনের নিরিখে তিন সংখ্যা পার করেছিল ২০০৯ সালে। সেই বছর ২০৬ আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছিলেন মনমোহন সিং।

মূলত ২০১৪ সালে ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে যে হিন্দি বলয় থেকে ভোট হারিয়েছিল কংগ্রেস, ২০২৪ সালের নির্বাচনে সেখানেই আবার ধীরে ধীরে উত্থান হয়েছে দলটির। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে। তেলঙ্গানা ও কর্নাটকে শাসক দল হওয়ার সুবিধাও কিছুটা হলেও পেয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটেও আসন ছিনিয়ে নিতে পেরেছে কংগ্রেস। এর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবেও তুলনামূলকভাবে ভালো ফল করেছে দলটি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রথম এনডিএ সরকারে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেবার রাহুল গান্ধীকে এই পদ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি গ্রহণ করেননি।

এরপর মোদির নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় এনডিএ সরকারেও লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণ করেননি রাহুল। পরে এই পদে বসেন পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বর্তমানে মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বপালন করছেন এবং রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করছেন। আর অধীর চৌধুরী এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

ফলে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদে রাহুল গান্ধীর নামই জোরালো হচ্ছে। যদিও রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন বিরাট কোহলি। গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ, সুপার এইটের ৩ ম্যাচ ও সেমিফাইনাল খেলেও ফিফটির দেখা পাননি তিনি। তবে ফাইনালে হাসল কিং কোহলির ব্যাট। ধীরগতির হলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হাল ধরে ফাইনাল ম্যাচে খেললেন ৭৬ রানের ইনিংস। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের বড় পুঁজি পেল ভারত। প্রথমবারের মতো শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান।

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে আজ টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে আগের ম্যাচগুলোতে রানের ফুলঝুরি ছোটালেও ফাইনালে ব্যর্থ রোহিত। রান পাননি তিনে নামা ঋশাভ পান্ত ও চারে নামা সূর্যকুমার যাদবও। ৩৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন অফফর্মে থাকা কোহলি। চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৫৪ বলে গড়েন ৭২ রানের জুটি।

এদিন ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন অক্ষর। তবে ভারতের সেমিফাইনালের নায়ক আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। নন-স্ট্রাইকে থেকে রান নিতে গিয়েও ফিরতে পারেননি। উইকেটের পেছন থেকে কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত এক থ্রোতে বিদায় নেন অক্ষর। ততক্ষণে ৩১ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেলেছেন তিনি।

অক্ষরের বিদায়ের পর শিভাম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন কোহলি। নিজের ফিফটি তুলতে ব্যয় করেন ৪৮ বল। ফিফটির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবারের বিশ্বকাপে পজিশন বদলে ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরার আগে করেন ৭৬ রান। ৫৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ২ ছক্কায়।

ছয়ে নামা শিভাম ১৬ বলে ২৭ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। আরেক পাশে হার্দিক পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে, খেলেছেন ২ বল। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রানে থামে মেন ইন ব্লুরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন নিজের প্রথম ওভারেই রোহিত ও পান্তকে ফেরান স্পিনার কেশাভ মহারাজ। ৩ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল তিনিই। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে রান খরচায় ১ উইকেট নেন এনরিখ নোর্কিয়া। একটি করে উইকেট নেন মার্কো জেনসেন ও কাগিসো রাবাদা।


আরও খবর



কুমারী রেখা রাণী গার্লস স্কুলে আর্থিক অনুদান প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) উদ্যোগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক জীবনসংগ্রামী নারীর হাতেগড়া কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান। পাশাপাশি দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর পড়ালেখার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে দামপাড়াস্থ  সিএমপির পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)  উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায়।এসময় গোপালগঞ্জের কলাবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বুরুয়া গ্রামে অবস্থিত কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী ওঝার হাতে ৫ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম পুনাক সভানেত্রী রীতা দাস ও সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা কুমারী রেখা রাণী দাস তাঁর জীবন-সংগ্রামের গল্প তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বুরুয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের জন্য জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে নিজের নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একসময় সরকারি হাসপাতালের নার্স ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর পেনশনের টাকা দিয়ে জমি কিনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রাবস্থায় নিজের খরচ চালানোর জন্য মঞ্চে অভিনয় পাশাপাশি ওষুধের দোকান চালিয়েছেন। এ জীবনে অনেক ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করার জন্য সহায়তা করেছি। তাঁদের অনেকেই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত। এত দূর আসতে কারও কাছে হাত পাতেননি। তবে এখন আর পারছি না। ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্কুলটি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না বলে শিক্ষকেরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যদিও শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিনা বেতনেই পড়াবেন এমন শর্তেই যোগ দিয়েছিলের।

তিনি বক্তব্যে তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করায় চট্টগ্রাম পুনাক প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি তাঁর স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সিএমপি কমিশনার বলেন, পুনাক অনেক ভালো কাজ করে। কিন্তু আজকের কাজটি অন্য কাজগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম। কারণ, আজকে আমরা এমন একজন মহান নারীকে সামনে পেয়েছি যিনি মানুষ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এমন একটি সমাজ গড়ে তোলার যেখানে নারী ও পুরুষ সমাজে যার যার অবদান রাখার সুযোগ পায় এবং শৈশব থেকেই সমান সুযোগ পায়। অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী অনুরোধে দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিএমপি কমিশনার। এছাড়াও স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সিএমপির পৃনাক সভানেত্রী রীতা দাস বলেন, নারী সংগঠন হিসেবে শিক্ষা-চিকিৎসায় আমরা নারীদের পাশে দাঁড়াই৷ পুনাক পরিবার আজ গর্বিত আপনার স্বপ্নপূরণের অংশীদার হতে পেরে।

অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিএমপির পুনাস নেতৃবৃন্দ-সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



নেত্রকোনায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার সদর উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাষাপাড়া গ্রামে প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নানের বাড়িটি পুলিশ দুপুর ২টা থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুই বছর ধরে তিন জন পুরুষ ও দুই জন নারী বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছেন। বাড়িটি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নানের।

জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে প্রাথমিক অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে একটি ভারতীয় পিস্তল ও ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি এবং প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এখনও চূড়ান্ত অভিযান চালানো হয়নি।

তিনি জানান, পুলিশের কাউন্টার এন্টিটরোরিজম ইউনিট ও বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে চূড়ান্ত অভিযান চালানো হবে।


আরও খবর