সপ্তাহের ব্যবধানে
বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ ও সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও
পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি
কক বা সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর কাঁচা মরিচের কেজি তো
ছুঁয়েছে আড়াইশ টাকা।
এসব বাজারে প্রতিকেজি
শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৯০ টাকা, গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা,
টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০
টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা,
ধুন্দল কেজি ৬০ টাকা। এছাড়া চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, আকারভেদে প্রতিপিস লাউ বিক্রি
হচ্ছে ৭০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি
কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, লেবুর
হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শুকনো মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
মিরপুর ১১ নম্বর
বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে
কাঁচামরিচ ও সবজির। সরবরাহ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে সবজির দাম।
বাজারে প্রতিকেজি
আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০
টাকায়। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এসব বাজারে প্রতিকেজি
দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, চায়না রসুন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এছাড়া আদার
কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি
চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব
বাজারে দেশি মসুরের ডাল কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে।
প্যাকেট আটার
কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, খোলা আটার কেজি ৫০ টাকা। এছাড়া ভোজ্যতেল বিক্রি
হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
এসব বাজারে লাল
ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগির
ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ১৯০ টাকায়।
বাজারে গরুর মাংসের
কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকায়।
এসব বাজারে ব্রয়লার
মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও লেয়ার মুরগি বিক্রি
হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।
মিরপুর ১১ নম্বর
বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, বাজারে তেমন মুরগির দাম বাড়েনি। শুক্রবার হওয়ায়
চাহিদা বেড়েছে।