আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বেইলি রোড ট্রাজেডি: মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় হওয়া মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই তারিখ ধার্য করেন। আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তা দাখিল করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু।

এ ঘটনায় ১ মার্চ অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় তহবিলে শত কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় তহবিলের আকার শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মোট ২১টি ব্যাংক হিসাবে এই টাকা জমা আছে দলটির। আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাব বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচনে কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় দলটি।

হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালের তুলনায় ২৩ সালে আয় এবং ব্যয় দুটোই বেড়েছে আওয়ামী লীগের। ২০২৩ সালে দলটির ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা৷ যেখানে ২০২২ সালে ব্যয় ছিল ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর আগের বছরের আয় ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

বছর শেষে ব্যাংকে জমা ছিল ৯০ কোটি ৫৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা। বর্তমানে ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় ফান্ডের জমা।


আরও খবর



ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটির আকার বাড়ছে। মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সভাপতি এবং নাছির উদ্দীন নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে এই কমিটির নাম ঘোষণা করেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়াও ছাত্রদলের কমিটিতে রয়েছেন যারা-

সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া। সহ-সভাপতি- জহরি রায়হান আহমদে, এবিএম ইজাজুল কবির রুয়েল, মন্জুরুল আলম রিয়াদ, রিয়াদ উর রহমান, খোরশেদ আলম সোহেল, শাকির আহমেদ, এমএম মুসা, এইচএম আবু জাফর, শাফি ইসলাম, সোহেল রানা, শাহজাহান শাওন, তৌহদিুর রহমান আউয়াল, আরফিুল ইসলাম আরিফ, সজীব মজুমদার, হাসান আল আরিফ, নাজমুল হক, লটিন এআর খান, মশিউর রহমান মামুন, শ্রী মিঠুন কুমার দাশ, আবু সুফিয়ান, শফিকুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মো. নিজাম উদ্দীন, রেহেনা আক্তার শিরিন, আনোয়ার পারভেজ, ইব্রাহিম খলিল ফিরোজ, সাইদ আহমেদ, হাবিবুল বাশার,, হাফিজুর রহমান সোহান, মো: জুয়েল মৃধা, মাকসুদুর রহমান সুমিত, জকির উদ্দীন আবির, মো: কাজী জিয়া উদ্দীন বাসেত, হাসিবুল ইসলাম সজিব, রেজোয়ানুল হক সবুজ, মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ হীরা, মো, অলিউজ্জামান সোহেল, আপেল মাহমুদ, মো. মাসুদ রানা রিয়াজ, মো. জহরিুল ইসলাম ও দিপু পাটোয়ারী।

ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ পেয়েছেন শ্যামল মালুম। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ ১১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। সহ-সাধারণ সম্পাদক পাদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫৩ জনকে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি পদে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



সংসদ নির্বাচনও কয়েক ধাপে করতে চায় নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন যদি ধাপে ধাপে আয়োজন করা যায় তাহলে আরও গ্রহণযোগ্য হবে, এতে নির্বাচন আয়োজন করতেও সহজ হবে।

আজ রবিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা টিআইবিকে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কি না, সে ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। কারণ ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনকে আরও বেশি সুষ্ঠু করা যাবে। কারণ, তখন আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। আরও বেশি পোলিং এজেন্ট মোতায়েন করা সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনো নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এটি করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে টিআইবির একটি প্রতিনিধিদল। এতে টিআইবির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ মোট পাঁচজন অংশ নেন।

আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অংশ নেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ও নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম।


আরও খবর



ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় ম্যাক্রোঁর ভরাডুবি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফ্রান্সে রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় জয় পেয়েছেন মেরিন লে পেনের নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‍্যালি (আরএন)। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট রয়েছে তৃতীয় স্থানে। অবশ্য আরএন এবার প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বলে আগেই বিভিন্ন জনমত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছিল।

বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সোমবার (১ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট তৃতীয় স্থানে রয়েছে। রোববার ফ্রান্সের সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে জয়ী হয়ে ডানপন্থিরা সরকার গঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের ঐতিহাসিক সুযোগের সম্ভাবনা দেখছে।

তবে মেরিন লে পেন-এর উগ্র ডানপন্থি আরএন দল আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের পর ফরাসি জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।

মূলত, গত জুন মাসের ৬-৯ তারিখের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরএন-এর হাতে ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোটের ভরাডুবি হলে, ম্যাক্রোঁ বেশ আকস্মিকভাবেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজের কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেন ম্যাখোঁ।

কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকে বাজি ধরার সাথে তুলনা করেছেন, যা এখন উল্টো ফল দিতে যাচ্ছে। ম্যাক্রোঁর জোট এখন পার্লামেন্টে আগের চেয়ে ছোট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যাক্রোঁর ক্ষমতা তার মেয়াদের বাকি তিন বছরে অনেকটা খর্ব হয়ে যাবে।

ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় পোলিং সংস্থাগুলোর হিসেব অনুযায়ী, রোববারের নির্বাচনে আরএন পেয়েছে ৩৪.৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট অ্যালায়েন্স ২৮.৫ থেকে ২৯.১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ম্যাক্রোঁর জোট পেয়েছে ২০.৫ শতাংশ থেকে ২১.৫ শতাংশ ভোট।

পোলিং সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে আরএন। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের পর তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসন পাবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

সংস্থাগুলোর হিসেবে অবশ্য ভিন্নতা আছে। ইপসস-এর প্রজেকশন অনুযায়ী, আরএন পাবে ২৩০ থেকে ২৮০ আসন; ইফপ-এর হিসাব হচ্ছে- তারা ২০৪ থেকে ২৭০টি আসন পাবে; এবং এলাব একমাত্র সংস্থা যারা এরএন-এর আসন সংখ্যা ২৬০ থেকে ৩১০টির মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করেছে।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এক বিবৃতিতে যেসব এলাকায় কোনও প্রার্থী প্রথম রাউন্ডে জয় পাননি এবং যেখানে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে, সেসব জায়গায় উগ্র ডানপন্থিদের বিরুদ্ধে বড় জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

ডানপন্থি ন্যাশনাল র‍্যালি দলের নেতা ২৮ বছর বয়সী জর্ডান বারদেল্লার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বামপন্থি জোট এবং প্রেসিডেন্টের দল আশা করছে, দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা বুঝে একে-অপরের প্রার্থীকে ভোট দিলে আরএন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। রাফায়েল গ্লুক্সমান নামে বামপন্থি জোটের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, ফ্রান্সেকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের হাতে সাত দিন সময় আছে।

ফ্রান্সের অসাধারণ গুরুত্ববহনকারী এবং মেরুকরণের এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাব সংস্থার হিসেবে ভোটের হার ছিল ৬৭.৫ শতাংশ। নিয়মিত সংসদীয় নির্বাচনে ১৯৮১ সালের পর এটাই ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি ভোটের হার।

দুই বছর আগে ২০২২ সালে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৪৭.৫ শতাংশ। ম্যাক্রোঁ বলেন, ভোটদানের এই উচ্চ হার দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের দেশবাসীর জন্য এই নির্বাচন কত গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর



নীতিশ-নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছে কংগ্রেস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সদ্যই শেষ হওয়া লোকসভার নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দেশটির নির্বাচন কমিশনে প্রকাশিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মোদির বিজেপি এবার এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ফলে সরকার গঠনে তাকে জোট গড়তে হবে।

আর বিজেপির এই জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কারণে ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) প্রধান নেতা নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের আরেক দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিহারে ১৫টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে নীতিশের দল। সরকার গঠনের জন্য এখন নীতিশকে প্রয়োজন হবে মোদির। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিশ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মোদির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কংগ্রেসের প্রধান নিজে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মূলত তাদের সঙ্গে যোগ দিতে এই দুজনকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তবে একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে তাদের আপাতত অবস্থান পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে মোদির সরকার গঠন নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো শঙ্কা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৩৪টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত ঘোষিত ৩৩৪টি আসনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পেয়েছে ৬৬টি আসন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪টি আসন পেয়েছে সমাজবাদী দল। আর বাকি আসনগুলো পেয়েছে অন্যান্য দলগুলো।

ভারতে কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হবে। তবে মোদির বিজেপি এককভাবে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফলে তাদের এখন সরকার গঠন করতে হবে এনডিএ জোটে থাকা অন্যান্য দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে। গত নির্বাচনেও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু সেবার বিজেপি একাই ৩০২টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ফলে তারা চাইলে জোট ছাড়াই সরকার গঠন করতে পারত। কিন্তু এবার তাদের আর সেই সুযোগ নেই।


আরও খবর