আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বেনাপোলে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে র‍্যাব। এ সময় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত এলাকার পুটখালী গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পুটখালি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও বালুন্ডা গ্রামের সিরাজুল গাজির ছেলে ইসরাফিল গাজি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাবিব হোসেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার পুটখালী গ্রামে স্থানীয় ওলিয়ার রহমানের মালিকানাধীন বিশাল গরু ফার্মে বিক্রির জন্য ফেন্সিডিল মজুদ করেছে মাদক কারবারিরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। ঘটনাস্থল থেকে হাফিজুর রহমান ও ইসরাফিল গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফার্মের উত্তর পাশের একটি জমির কলা গাছের ঝোপ থেকে দুটি বস্তা পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর সাবিব হোসেন জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মো. ইসরাফিলের বিরুদ্ধে মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জব্দকৃত মাদক ও গ্রেপ্তারকৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের যশোর জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এর আগে দুপুরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনের ফলে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্র রাজনীতি নতুনভাবে ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে, এরই প্রতিবাদে আজকের অবস্থান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।

তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউর পদত্যাগ।

৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।


আরও খবর



‘আমার পিতা দেশ ছেড়ে পালাননি, আমিও পালাবো না’

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ উল্লেখ করে সবসময় তাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ এলাকা আনোয়ারায় টানেল-মুখ সড়কে ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।

প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমরা পিতা কখনও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও এমপি করেছেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো, নামফলক ভেঙে দিতো।

ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশের জনগণের তদারক করার অধিকার আছে। প্রতিটি কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই জনগণ পাহারা দেবে। জনগণকে বলবো, কাজে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, দক্ষিণের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বিএমএর চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ইসলাম আহমেদ।


আরও খবর



বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন আতিফ।

ফেসবুকে মাত্র ১২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি। আতিফের পোস্ট করার কিছুক্ষণেইর মধ্যেই ভাইরাল হয় সেই পোস্ট।

তবে সেই পোস্টে বিস্তারিত কিছু জানাননি আতিফ। কবে বাংলাদেশে আসছেন, কী প্রোগ্রামে আসছেন- কোনো কিছুই স্পষ্ট করেননি বলিউডে তারকা এই সংগীতশিল্পী।

এর আগে দুইবার ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ। ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

নিউজ ট্যাগ: আতিফ আসলাম

আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনও আমির ঢাকা এলেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। আমিরের সফ‌রে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে, এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাওয়ার পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বেশ গুরত্ব সহকারে আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১টির মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে, দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

আমিরের সফরের তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের। বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।

আমিরের সফরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। কাতার এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা আসতে পারে।

কাতারের আমির মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ও রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন আমির।


আরও খবর



জুমাতুল বিদা’য় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রমাদান।’ অর্থাৎ, বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান- জুমাতুল বিদার খুতবার মধ্য দিয়ে রমজানকে বিদায়ের প্রস্তুতি নেবে মুসলমানরা। একইসঙ্গে আজ দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনায় দোয়াও করেন মুসল্লিরা। সে উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢল নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দেখা যায়- নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে মসজিদ। সড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে মুসল্লিদের উপস্থিতি। অন্যরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে জুমা পড়তে আসেন শিশু-কিশোররাও।

নানা কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ করা হয় যে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেসব দিবসে সূর্য উদিত হয় তার মধ্যে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা, সেদিন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। একই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। আবার পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করেন। এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। এই শুক্রবারই কিয়ামত সংঘটিত হবে। এই পুণ্য দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হয়।’ (সুনানে তিরমিজি ৪৯১, সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬)

জুমাতুল বিদা রোজাদারদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মাহে রমজানের সমাপনান্তে এ বছর এর চেয়ে ভালো দিবস আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এই পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা প্রত্যেক দিনদার মুমিন-মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্তু সারা বছরের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই।’

আগামীকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) পবিত্র শবেকদর পালিত হবে। কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী, কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সারা বিশ্বের মুসলিমরা ইবাদত-বন্দেগিসহ বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে এই মহিমান্বিত রজনী। অবশ্য লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বিজোড় রাতেই হতে পারে।

আল্লাহর অনুগ্রহ, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস রমজান। সুনানে তিরমিজিতে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন (নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য) এত বেশি পরিশ্রম করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪