আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বেনজির ইস্যুতে আইজিপি, ব্যক্তির দায় নেবে না পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

ব্যক্তির দুর্নীতির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উদ্বোধনের পর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতির প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ব্যক্তির দুর্নীতির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। যে প্রক্রিয়ায় এটির তদন্ত হচ্ছে সেভাবেই এটি শেষ হবে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো বিষয়কেই আমরা খাটো করে দেখি না।

পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকিচিনের বিষয়ে আইজিপি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে পুলিশ বাহিনী এক হয়ে কাজ করছে। সেখানে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে বেলা পৌনে ১১টায় এসে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন। এ সময় একটি গাছ রোপণ করেন। পরে যোগ দেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায়।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী পুলিশ লাইন্স মাঠে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করার কথা রয়েছে তার।


আরও খবর



মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন কনস্টেবল কাওসার: আইজিপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় গুলি করে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক পুলিশ সদস্য কাউসার আলী মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ প্রধান।

তিনি বলেন, সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা কনস্টেবল কাওসার যে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন সেটি পুলিশ বিভাগ জানত। চিকিৎসার পর একজন চিকিৎসক কাওসারের রোগমুক্তির সনদ দিলে তাকে দায়িত্বে ফেরানো হয়। এখন এ বিষয়গুলোতে আমাদের আরও সতর্কতার প্রয়োজন কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।

উল্লেখ্য, শনিবার (৮ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের উত্তর পাশের গার্ডরুমের সামনে দায়িত্ব পালনের সময় কাওসার এসএমজি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে হত্যা করেন। তার গুলিতে জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখও আহত হন।

ওই ঘটনায় নিহত মনিরুলের ভাই কনস্টেবল মাহাবুবুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কাওসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, মনিরুলের শরীরে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। মাথার বাঁ পাশে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। বাঁ চোখ, বাম হাতের বাহু, ডান হাতের কনুই, গলার নিচ থেকে কোমর পর্যন্ত- বুকে, পেটে, পিঠে বিভিন্ন স্থানে গুলির ক্ষত রয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কাউসার ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। ২০১০ সালের দিকে তার মধ্যে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেয়। তিনি কারো সঙ্গে কথা বলতেন না এবং অল্পেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন। তবে কাওসার মাদকাসক্ত ছিলেন না’ এবং পারিবারিকভাবে তেমন কোনো সমস্যাও ছিল না’ বলে তার স্বজনদের ভাষ্য।

কাওসারের স্ত্রী সাথী বলেন, গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে আমাদের সঙ্গে কম কথা বলছিল। মাঝেমধ্যে যখনই মানসিক রোগে আক্রান্ত হত, এরকম করত। কয়েকবার পাবনায় এক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে।


আরও খবর



নাইজেরিয়ায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত ১৮

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নাইজেরিয়ায় বেশ কয়েকটি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বোর্নো রাজ্যে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্দেহভাজন বোমা হামলায় ছয়জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রদেশের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা গোওজা শহরের একটি বিয়ে, শেষকৃত্য এবং একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।

বোর্নো রাজ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরেই জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম সক্রিয় রয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও ২০ লাখের বেশি মানুষ।

২০১৪ সালে চিবোক শহর এবং বোর্নো রাজ্য থেকে ২৭০ জনের বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে বোকো হারাম।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক মোট ১৮ জন নিহত হয়েছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। নাইজেরিয়ার ভ্যানগার্ড এবং দিস ডে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফারণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।

কয়েকটি স্থানে একসঙ্গে হামলার পর কারফিউ জারি করেছে সামরিক বাহিনী। এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

২০১৪ সালে গোওজা শহরের দখল নেয় বোকো হারাম। পরবর্তীতে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে বোকো হারামের কাছ থেকে শহরটি মুক্ত করে। এরপর থেকেই ওই শহরের আশেপাশে হামলা এবং অপহরণ করে যাচ্ছে জঙ্গিরা।

গত নভেম্বরে প্রতিবেশী ইয়োব রাজ্যে একটি শেষকৃত্যু অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার সময় বোকো হারামের হামলায় ২০ জন নিহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলার একদিন আগেই গুরুকায়েয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। গ্রামবাসীরা তথাকথিত ফসলের কর দিতে অস্বীকার করায় সেখানে অভিযান চালানো হয়।


আরও খবর



ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ত্যাগের মহিমায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিমদের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি দিচ্ছেন।

সকালে সবাই ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেন। নামাজ আদায় করে হাসিমুখে কোলাকুলি ও করমর্দনের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বমুসলিমদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।


আরও খবর



জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে এলআইইউপিসি: আফরোজা কালাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এলআইইউপিসি গত পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ গরীব পরিবারকে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউ হলে এলআইইউপিসি প্রকল্পের উদ্যোগে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম একথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ্ আহমদ চৌধুরী, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী (জয়)। বক্তব্য রাখেন- ডিপিএইচই এর সিনিয়র অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম মোরশেদ, কারিতাস চট্টগ্রামের প্রকল্প সমন্বয়ক অজয় ব্রায়েন এন্থনি, কমিউনিটি ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি কৌহিনুর আক্তার, কমিউনিটি হাউজিং ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার আক্তার ও ক্লাষ্টার লিডার নুর আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলআইইউপিসির টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন খান।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর ২২টি ওয়ার্ডে পাঁচ লক্ষ জনগনের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এলআইইউপিসি। বিশেষ করে দরিদ্র নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৪০ হাজার পরিবারকে বিভিন্ন ধরণের অনুদান প্রদান করা হয়ছে। এর মধ্যদিয়ে গরীব মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে এবং আমি মনে করি প্রকল্পের এ ধরনের কার্যক্রম মানুষকে দরিদ্র অবস্থা থেকে বের করে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে তারা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে দরিদ্র বসতি এলাকায় রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, লেট্রিন, গোলসখানা, ডিপ টিউবওয়েল, সড়কবাতিসহ  অবকাঠামো এবং পরীক্ষামূলকভাবে একটি পানি শোধণ ব্যবস্থা নির্মাণ করেছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডকে প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



সোমেশ্বরী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথ অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে দুই উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ ও ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলে এর যৌথ উদ্যোগে সোমেশ্বরী নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তারা প্রায় ১৬টি বালু উত্তোলন যন্ত্র ধ্বংস করা হয়। এসময় ড্রেজার মালিকরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী বালুদস্যুরা সোমেশ্বরী নদীর তাওয়াকুচা,বালিজুরি, খাড়ামুড়া এলাকায় ১৫/১৬টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। এতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা মূল্যের বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে দিনেরাতে চলছে বালু উত্তোলন। বালুখেকোদের থাবায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব আয় থেকে। 

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, প্রতিট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ -৩০ হাজার টাকা। এভাবে প্রতিদিন ২৫/৩০ ট্রাক বালু বিক্রি করা হয়। এসব বালু উত্তোলনের বিষয়ে ইতিপূর্বে  বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানও পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এর পরেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। একদিকে চলছে অভিযান অপর দিকে চলছে বালু উত্তোলন। গত ৭ জুন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট আশরাফুল আলম রাসেল অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত বালু ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। উক্ত বালু পরিবহনের অযুহাতে বালুদস্যুরা আবারো বালু উত্তোলনে জড়িয়ে পরে। 

এবিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় জনস্বার্থে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।


আরও খবর