বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ রাজীব হোসেন মরণব্যাধি খাদ্যনালীতে ক্যান্সার ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। রাজীব বরগুনা জেলার বেতাগী সরকারি কলেজের ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ছাত্র। রাজীব বেতাগী উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের লক্ষিপুরা গ্রামের দরিদ্র কৃষক নজরুল ইসলাম মৃধার ছেলে।
পরিবাবের সাথে কথা বললে জানাযায়, প্রতিদিন চল্লিশ হাজার টাকা গুনতে হয় রাজীবের চিকিৎসা বাবদ। ব্যয়বহুল চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে দরিদ্র কৃষক বাবা নজরুল ইসলাম মৃধা এখন নিঃস্ব। এই বিশাল অংকের টাকা ব্যয় করা কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না রাজীবের পরিবারের। জীবন বাঁচাতে মরণব্যাধি চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে মানবিক সাহায্য চাইছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় অসুস্থ হয়ে পরে রাজীব। বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। ঢাকা আহসানিয়া মিশন হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীবের গলার টিউমারে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে টিউমারটি অপসরণ করতে পারেনি। এরপর রাজীবকে দু'বার কেমোথেরাপী দেয়া হয়। ক্রমাগত রাজীবের অসুস্থতা বৃদ্ধি পেলে জানুয়ারি মাসেই ভারতের ভেলোরে সিএমসি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ক্যান্সার ও লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা করানো হয়। এতবড় চিকিৎসার ব্যয়ের অভাবে চলতি মাসের ১৫ মে ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসে।
বর্তমানে ঢাকা আহসানিয়া মিশন হাসপাতালের ৬১১ নম্বর কক্ষে রাজপথে জয়বাংলা স্লোগানে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেতাগী ছাত্রলীগের নেতৃত্বে দেয়া রাজীব টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেনা বলে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
রাজীবের চিকিৎসার জন্য সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য সকলের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাজীব খুবই অসুস্থ। তাকে সুস্থ করে তুলতে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সাধ্য অনুযায়ী রাজীবের পাশে আছে। এছাড়াও চিকিৎসা সহয়তার জন্য একটি ফান্ড তৈরী করবো এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হবে।