আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ইউপি চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার শেরপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণে আবারো নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চলতি প্রকল্পে নির্মাণকাজে নিন্মমানের সামগ্রী সরবরাহের মাধ্যমে এসব ঘর নির্মাণ করায় ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হতে চলেছে। তবে নির্মাণকৃত ঘরগুলো হস্তাস্তরের আগেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বর্তমান সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ।

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিন্মমানের সামগ্রীর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ একই এলাকার তিন এলাকাবাসী। তবে অভিযোগকারীদের বিষয়ে বাস্তবে কোন সত্যতা নেই ষড়যন্ত্র বলে দাবী করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় ৪র্থ ধাপে উপজেলায় ১৭১টি ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেয়ার কাজ চলছে। এসব উপকারভোগীরা নিজ নামে দুই শতাংশ জমি একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ পাবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। সে মোতাবেক প্রকল্পের কাজও শেষের দিকে। অচিরেই বসবাস শুরু করবে এসব ঘরের বরাদ্দপ্রাপ্ত উপকারভোগীরা।

তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাগজকলমে ভূমিহীনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলেও বাস্তবে ওইসব গৃহ নির্মাণকাজ এখন চলছে। এরইমধ্যে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আয়রা মৌজায় ৩০টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব কাজে নিন্মমানের সামগ্রী (ইট, বালি, কাঠ) ইত্যাদি সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া এসব সামগ্রী সরবরাহ করছে খোদ একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম।

অভিযোগকারী মির্জাপুর ইউনিয়নের আয়রা গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে শাহ আলম জানান তাদের (আয়রা) গ্রামে ৩০টি ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। খোয়ার পরিবর্তে রাবিশ নিন্মমানের বালু ও কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে।

একইভাবে অপর দুই অভিযোগকারী মৃত মোবারক খানের স্ত্রী এলেজা খাতুন ও ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বলরামের ছেলে কৃষ্ট গোপাল জানান ভূমিহীনদের ঘর তৈরীতে যেসব কমদামের সামগ্রী ব্যবহার করেছে তাতে করে এসব ঘর বেশিদিন টিকবে না এবং ব্যবহারের অযোগ্য হবে। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিজস্ব ভাটার নিন্মমানের ইট ও তার সরবরাহ করা বালি কাঠও নিন্মমানের।

তবে সচেতন মহলের অভিযোগ উপজেলার ভূমিহীনদের নামে দুই শতাংশ খাসজমি বরাদ্দ থেকে শুরু করে ঘর নির্মাণ কাজের প্রতিটি ধাপে অনিয়ম নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহার করায় ভেঙ্গে পড়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। যার ফলে নির্মাণকৃত ঘরগুলো হস্তাস্তরের আগেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বর্তমান সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণকাজে কোন অনিয়ম করা কোন প্রশ্নই উঠেনা। তাছাড়া প্রকল্প চলাকালীন সময় থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা তদারকি করে আসছে। অনিয়ম হলে আমাকে ছেড়ে দিবে! এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার শিউলী বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না।

সংশ্লিষ্ট শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের কাছ থেকে আমার কাছে কোন নিদের্শনাও আসেনি। তবে আসলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, আমি এখনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: আশ্রয়ণ প্রকল্প

আরও খবর



জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশীকাঁথার জিআই সনদ তুলে দেওয়া হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মেহনতি মানুষ শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি বা টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা।

এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী।


আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রশিদ শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আব্দুর রশিদ শিকদার। রোববার আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শিকদারের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন আব্দুর রশিদ শিকদার। আজ আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রশিদ শিকদার বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। আব্দুর রশিদ শিকদার লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পুরান ঢাকার উষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি এম শোয়েব এবং বেজগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাকি মল্লিক।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রশিদ শিকদার ও বি এম শোয়েবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারদের অভিমত।

নির্বাচন অফিস জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


আরও খবর



ননস্টিক পাত্র কী স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রান্নাঘরেই ননস্টিক পাত্রে রান্না করা হয়। মূলত রান্নার কাজকে সহজ করার জন্যই রাঁধুনিদের পছন্দ এটি। তবে এসব পাত্রের ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এর কারণ মূলত প্রচলিত ননস্টিক পাত্র তৈরি করার সময় এমনকিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেটার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেই বিপদ। তাই প্রচলিত ননস্টিক পাত্র ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইটহেলথলাইনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ননস্টিক পাত্রের বিভিন্ন তথ্য। 

প্রচলিত ননস্টিক পাত্রে পার অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) ব্যবহার করা হয়। কিছু বিশেষ রাসায়নিক উপাদানকে সংক্ষেপে পিএফএএস বলা হয়। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফরএভার কেমিক্যাল

কয়েক বছর আগে ননস্টিক পাত্রে যে ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হতো, তার নাম ছিল পার ফ্লুরো অক্টানয়িক অ্যাসিড। সংক্ষেপে এর নাম পিএফওএ। ২০১৫ সালের আগে ননস্টিক পাত্র তৈরি করা হতো পিএফওএ দিয়ে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)-এর হস্তক্ষেপে সেই উপকরণ বদলে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো ভিন্ন ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হচ্ছে আর তাতেও কাছাকাছি ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়।

পিএফএএস-এর কারণে কিডনির ক্যানসার, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্যসহ কিছু রোগের ঝুঁকি আছে বলে জানা যায়। আগেকার দিনের সেই পিএফওএ ব্যবহারে এসবের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ আর থাইরয়েডের সমস্যার ঝুঁকিও ছিল। অন্যদিকে পরিবেশের নানা জায়গাতেই পিএফএএস ছড়িয়ে আছে তাই যদি কেউ এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরেন তবে কেবল ননস্টিক পাত্রকে সরাসরি দায়ী করতে পারবেন না।

রান্নার পাত্রের কারণে বাড়তি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবারে সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক: 

পাত্রের ননস্টিক স্তরটা ক্ষয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে ওই পাত্র আর ব্যবহার করা যাবে না।

অত্যধিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়, এমন চুলায় ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করবেন না।

ননস্টিক পাত্র খালি থাকা অবস্থায় তা গরম করবেন না।

যদি আপনি রান্নাঘর থেকে ননস্টিক পাত্র বিদায় করতে চান আর রান্নাও সহজে করার পথ খুঁজেন তবে বিকল্প হিসেবে সিরামিক বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এসব পাত্রে  বাড়তি কোনো কোটিং বা স্তর থাকে না তাই যেভাবে ইচ্ছা রান্না করতে পারবেন। 


আরও খবর



রিকশাচালকে মারধর করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিলেন ইউপি সদস্য

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে হানিফ নামের এক রিকশাচালককে হাত-পা বেধে মারধর করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদারের বিরুদ্ধে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে চরফ্যাশন সদরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রিকশা চালক মো. হানিফ।

রিকশাচালক হানিফ অভিযোগ করেন, গত ৫ এপ্রিল রোজ শনিবার সকালে তিনি রিকশা চালিয়ে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার পৌছলে স্থানীয় প্রভাবশালী দুলাল দালালের মাধ্যমে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার খেজুর গাছিয়া বাজারে তার গদি ঘরে ডেকে নেন এবং  ইউপি সদস্য মোঃ ইউছুফ সিকদার আমাকে আটকিয়ে মারধর করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও আমার ছেলের কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রাখেন।

তিনি অরোও অভিযোগ করেন, আমি একজন রিক্সা চালক অনেক যাত্রী আমার রিকশায় যাত্রী বহন করি এবং বিভিন্ন মামামাল পরিবহন করে থাকি। গত রমজানের ঈদের আগে একদিন সকালে হাসান নামের এক ব্যাক্তি খেজুর গাছিয়া বাজার থেকে আমার রিকশায় একটি নোঙ্গর নিয়ে আসেন চেয়ারম্যান বাজারে। ওই নোঙ্গরটি তিনি বিক্রি করবেন বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন তবে কোথায় বিক্রি করবেন তা আমার জানা নাই। ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার প্রকৃত নোঙ্গর বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়ে ওই নোঙ্গরটি বিক্রির সাথে আমি জড়িত এমন সন্দেহে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার আমাকে ধরে নিয়ে আটক করে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে হাত-পা বেধে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধারে আমার ছেলে মো. কবির  খেজুরগাছিয়া গেলে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জোরপূর্বক আমার ছেলে কবিরকেও আটক করেন। এবং আমার জরিমানা বাবদ তার কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রেখে দেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জানান, স্থানীয় ঘাটের আড়ৎ মালিক ও জেলেদের সিদ্ধান্ত মতে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা পরিশোধ শর্তে তার ছেলের কাছ থেকে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ও জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে টহল দেয়। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমতিয়াজ ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর শাহ আলমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যাবার পথে পুলিশের গতিরোধ করে। পরে ইমতিয়াজকে আটক করে পুলিশ। সে বহিরাগত হিসেবে নন্দনপুন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর