আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বড় সুখবর দিতে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনার উদ্দেশে বিদেশে পাড়ি জমান। প্রতি সেমিস্টারে শত শত ডলার টিউশন ফি পাঠাতে হয় অভিভাবকদের। এটি বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স বা টিউশন ফি হিসেবে বিদেশে যায়। এমন টিউশন ফির ওপর এখন থেকে কর নিবে না বাংলাদেশ সরকার। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ বাজেটে এ ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

টিউশন ফিসহ ছয় ধরনের কাজে বিদেশে অর্থ পাঠাতে উৎসে কর কেটে রাখার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। অন্য পাঁচটি খাত হলোবিদেশের কোনো কর্তৃপক্ষকে অর্থ পরিশোধ, পেশাজীবী সংগঠনের চাঁদা পরিশোধ, বিদেশে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানের লিয়াজোঁ অফিস, বিদেশে পণ্য উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ ও নিরাপত্তা জামানত।

প্রতিবছর বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভারত, মালয়েশিয়া ও চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে। এ ছাড়া জাপানসহ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর কর্মকর্তারা জানান, ডলারসংকটের কারণে অনেক ব্যাংক বিদেশে টিউশন ফি বাবদ ডলার পরিশোধে অনীহা দেখায়। এখন এই ডলারে টিউশন ফি পরিশোধে উৎসে কর কাটা হবে না। ফলে টিউশন ফির অর্থ পাঠাতে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।

সাধারণত বিদেশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধের সময় ৩০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়।


আরও খবর



দুদকের কাছে সময় চাইলেন বেনজীরের স্ত্রী ও তিন কন্যা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সময় চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ে। আজ রবিবার দুদকে তাদের পক্ষে এ চিঠি দেওয়া হয়।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে আগামী ৯ জুন তলব করে দুদক। এরই পরিপেক্ষিতে দুদকে সময় চেয়ে চিঠি দেন তারা।

গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। ইতোমধ্যে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন।

আদেশ অনুযায়ী, বেনজীরের সাভারের সম্পত্তি দেখবেন সেখানকার ইউএনও, গোপালগঞ্জের মাছের খামার দেখবেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ ছাড়া মাদারীপুর ও কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখাশোনা করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।


আরও খবর



উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে উত্তর কোরিয়া সফর শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আজ বুধবার (১৯ জুন) প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছেছেন। ক্রেমলিন এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

আজ খুব ভোরে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর পুতিনকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান। দুই নেতা হাত মেলানোর পর একেঅন্যকে আলিঙ্গন করেন। এরপর দুপাশে রাশিয়ার পতাকা দিয়ে সাজানো রাস্তা ধরে পুতিনের মোটর শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে।

গত ২৪ বছরের মধ্যে বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশটিতে এটাই পুতিনের প্রথম সফর। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলতে থাকা সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সফর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পিয়ংইয়ং ও মস্কো ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং এই মিত্রতা আরও বেড়ে গেছে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের সময় থেকে। এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পুতিন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে যে, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়ায় প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে।

তবে উত্তর কোরিয়া সামরিক হার্ডওয়্যার সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও সম্প্রতি পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার জন্য কিম সরকারকে ধন্যবাদ জানান। গতকাল মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট লেখেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া যে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে তার জন্য রাশিয়া দেশটির প্রশংসা করছে।

ভ্লাদিমির পুতিন আরও লেখেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া কার্যকরভাবে বিভিন্ন দিকে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে।

দুটি দেশের বিরুদ্ধেই চলছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা চলছে ২০০৬ সাল থেকে দেশটির পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে। আর মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চলছে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে।

পুতিন পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে বলা হয় এই সফরের মাধ্যমে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক ব্যাপক উন্নতির এক নতুন ধারায় প্রবেশ করেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই সফরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রয়েছেন।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




পেরুতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। শুক্রবার (২৮ জুন) দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় এই কম্পন হয়। এদিকে ভূমিকম্পের জেরে পেরুতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মধ্য পেরুর উপকূলে ৭.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে। এই ঘটনায় উপকূলরেখা বরাবর কিছু এলাকায় সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।

ইউএসজিএস বলেছে, দেশটির আটিকুইপা জেলা থেকে ৮.৮ কিলোমিটার (৫.৫ মাইল) দূরে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পের শক্তিশালী কম্পন কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এলাকায়ও অনুভূত হবে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র অবশ্য আগে জানিয়েছিল, কম্পনের জেরে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই। তবে পরে তারা সেই বুলেটিন পরিবর্তন করে জানায়, উপকূলের কিছু এলাকায় বিপজ্জনক সুনামির ঢেউয়ের পূর্বাভাস রয়েছে। সুনামির ঢেউগুলো জোয়ারের স্তরের ওপরে আরও ১ থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ এবং দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। এছাড়া দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে অবস্থিত। যা আমেরিকার পশ্চিম উপকূল বরাবর তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগে পেরুতে ২০২২ সালের মে মাসের শেষের দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই ভূমিকম্পের আঘাতের কেন্দ্রে ছিল দেশটির পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আজাঙ্গারো শহর।

ভূপৃষ্ঠ থেকে ২১৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পে প্রতিবেশি বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের পাশাপাশি পেরুর আরেকুইপা, টাকনা এবং কুসকো শহরের কিছু ভবনও কেঁপে ওঠে। এরও আগে ২০২১ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে পেরুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় দেশটিতে বহু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এছাড়া ঔপনিবেশিক আমলের ৪৫ ফুট উচু একটি চার্চ টাওয়ারও সেসময় ভেঙে পড়ে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৫ আগস্ট পেরুর মধ্য উপকূলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




নামাজ পড়তে গিয়ে ঈশ্বরদীতে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

ঈশ্বরদীতে হুসাইন মোঃ হুজ্জাতুল্লাহ্ নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান পাননি তার পরিবার।

গত বুধবার (২৬ জুন) উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের বাড়ির পাশের একটি মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি হুসাইন মোঃ হুজ্জাতুল্লাহ্ ওরফে উদয় (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র।

নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র হুসাইন মোঃ হুজ্জাতুল্লাহ পাবনার বলরামপুর (মোহাম্মদপুর) তাহফিজে সিলসিলায়ে মোজাদ্দিদ জামান পীর আবু বকর সিদ্দিকী (রহ:) ফুরফুরা কুরআন সুন্নাহ্ মিশন মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ও ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের মোঃ আফজাল হোসেন ও হোসনেয়ারা পারভীন পল্লবীর ছেলে।

নিখোঁজ ছাত্রের বাবা মোঃ আফজাল হোসেন জানান, বুধবার সন্ধা ৭.৪৫ এ আমার ছেলে বাড়ির সাথে (৩০০ গজ দুরত্বে) অবস্থিত জান্নাতুল মাওয়া জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষ হলেও আমার ছেলে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সকল আত্বীয়স্বজন ও আমার ছেলের মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে না পেয়ে ২৮ তারিখে ঈশ্বরদী থানায় একটি জিডি কেরেছি। জিডি নং: ১৯৫০।

নিখোঁজ ছাত্রের মা হোসনেয়ারা পারভীন পল্লবী জানান, আমার ছেলে পাবনায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। হিফজ করতেছে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছে। এখন সে নিখোঁজ রয়েছে। আমার ছেলের সন্ধান চাই।

হোসনেয়ারা খাতুন আরো জানান, আমার স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা : বিশ্বাস পাড়া, কোলেরকান্দি, সলিমপুর ইউনিয়ন, ঈশ্বরদী, পাবনা। আমার মায়ের সুত্রধরে এখানে প্রায় ১০ বছর যাবত বাড়ি করে বসবাস করছি।

ছেলেটির সন্ধান পেলে নিম্নোক্ত নাম্বারে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা ০১৭৯৪৯৩২৫৪৩, ০১৭২৫০৯৬৩১২, ০১৭৯৮৪৫২৬৪৯।

ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি হয়েছে। তদন্ত চলছে।


আরও খবর



কোরবানির আগে টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারশালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দে মুখর এখন উপজেলার কামার পাড়াগুলো। কোরবানিকে কেন্দ্র করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোহা পিটিয়ে কামাররা তৈরি করছেন দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি। এসব জিনিস দুই ধরনের লোহার উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। একটি স্প্রিং লোহা (পাকা লোহা) এবং আরেকটি কাঁচা লোহা। লোহা ও কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে এবার বেড়েছে। তাই গত বছরের চেয়ে এসব জিনিসের দামও বেশি।

ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত নেই কামারদের। দেশীয় জাতের লোহার এসব জিনিসপত্র তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার স্থানীয় কামারেরা।

কোরবানি ঈদে গরু, ছাগল, মহিষ কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বঁটি, ছুরি, ধামা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য। কোরবানির পশু কাটা-কাটিতে চাই এসব ধারালো অস্ত্র।

শুক্রবার (১৪ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা বাজার, উপজেলার পাকেরহাট বাজার, কাচিনীয়া বাজার, বোটের হাট, চৌরঙ্গী বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামের হাট বাজারে।

এবার প্রতিটি ধারালো দা বিক্রয় হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা, কোরবানির ছুরি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, পশুর হাড় কাটার জন্য চাপাতি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, নারিকেল কোরানি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মাংস কাটার বটি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তাছাড়া অন্যান্য কৃষি উপকরণ ধানকাটার কাঁচি, লাঙ্গলের ফলাসহ অন্যান্য তৈজসপত্রও ভালো দামে বিক্রয় হয়ে থাকে।

উপজেলার কয়েকজন কর্মকার জানান, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির ঈদে তাদের আয় রোজগার অনেক বেশি হয়। এমনিতে সারা বছর কাজ অনেক কম থাকে। এর মধ্যে কয়দিন পর পর লোহার দাম বেড়ে যায়। এতেই তারা বেকায়দায় পড়েন। ভালো চালান থাকলে আগে থেকে লোহা কিনে রাখতে পারলে ভালো লাভ পাওয়া যেত বলেও জানান তারা।

তাছাড়া পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস তৈরির কাজে প্রয়োজনীয় ওইসব হাতিয়ারের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। তাই ঈদের পূর্বেই কোরবানির পশু জবাই কাজের হাতিয়ার সংগ্রহে কামারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন স্থানীয় কসাই, কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।

উপজেলার হোসেনপুর কামারপাড়ার কর্মকার মানিক বলেন, এখন কিছু আয় হলেও সারাবছর আমাদের টুকটাক করে চলতে হয়। আমি আগে ডাঙ্গারহাটে তৈরি করতাম এবং সেখানেই বিক্রি করতাম হাট ভেঙে যাওয়ায় এখন বাড়িতে তৈরি করে বিক্রি করি।

উপজেলার পাকেরহাট এলাকার কামার দয়াল চন্দ্র রায় বলেন, পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই পেশায় আছি। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে তাই আগের মতো আর লাভ নেই। পরিবার নিয়ে কোনোরকম দিন পার করছি।

স্থানীয় ক্রেতারা জানান, আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা, বঁটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। এজন্য বাজারে দা, বঁটি ও ছুরি কিনতে এসেছি। তবে গত বছরে এসব জিনিসের দাম খানিকটা বেশি।

চাপাতি কিনতে আসা আব্দুর সুবাহান বলেন, আগের চাপাতিটা আর চলে না। তাই দাম দর করে একটি চাপাতি নিয়েছি ৪০০ টাকায়। মাংস ও হাড় কাটার জন্য এটা কিনেছি।

খানসামা বাজারে কোরবানির যন্ত্রপাতি কিনতে আসা আ. সালাম বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে অনেক ভিড় থাকে। বাজারে অনেক দোকান থাকায় এখানে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে কাজ করা যায়। তবে লোহার দাম বাড়ায় এসব যন্ত্রপাতির দামও বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কামারশালা

আরও খবর