আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিদেশি বন্ধুরা বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণও বিএনপির সঙ্গে নেই, বিদেশি বন্ধুরা তাদের ছেড়ে চলে গেছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষভাবে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আপনারা (বিএনপি) কী বলবেন? কে আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য আসবে? কে আমাদের (আওয়ামী লীগ) হটাতে আসবে? যাদের আশায় ছিলেন তারা তো এখন একসঙ্গেই কাজ করার জন্য এসেছেন। নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছেন, অনেকে প্রকাশ্যে আসেন না। এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে? দেশের জনগণ আপনাদের থেকে সরে গেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। সংসদ বসেছে। অধিবেশনের শুরুতেই স্ট্যান্ডিং কমিটি পর্যন্ত হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি নিজ হাতে লিখেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও রাজনীতি করতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন কি না এটা বিএনপির নেতাদের প্রশ্ন করাই ভালো, এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

সংসদে বিএনপিকে ব্যান করার দাবি উঠেছে, এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, দেখুন আমি একটা কথা বলি, সংসদে সবাই কথা বলতে পারেন। সদস্যদের নানা মতামত (অপিনিয়ন) থাকতে পারে। কিন্তু মতামতটাই সিদ্ধান্ত, এমনটা মনে করার এখনো কোনো কারণ নেই। আমরা ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবেও চিন্তা করিনি।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ফলে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তিনজন আহত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যা ঘটছে তা তো আমরা জানি। এটা আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিষয়। তিনি একটা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সেটাই আমাদের দলের প্রতিক্রিয়া। এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের আশেপাশের দুই/তিনটা গ্রামের জনগণ বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আমাদের জন্য এটা উদ্বেগের। গোলা, মর্টারের শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডেও পড়ছে। আমাদের তিনজন ইতোমধ্যে আহত হয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব ব্যাপারে নিশ্চয় মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

তিনি বলেন, আগস্টের ২৫ তারিখে যখন মিয়ানমারের জনগণ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে, আমাদের এয়ারস্পেস অনেক সময় লঙ্ঘিত হয়েছে। তারপরও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা ছিল, তারা যতই প্রভোকেট করুক আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করব না। আমরা যুদ্ধের পক্ষে নই। আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধানে আগ্রহী। এখানে ব্যাপারটা হলো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। এটা তাদের নিজেদের বিষয়। আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর যুদ্ধ। এটা তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট। আমরা আহ্বান করব, পার্শ্ববর্তী দেশের জন্য আতঙ্কের কারণ হয় এমন কনফ্লিক্টের সমাধান তাদের নিজেদেরই করা উচিত। এব্যাপারে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটা সমাধান হতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত গতকাল আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি তাকেও এব্যাপারে বলেছি আপনাদের কথা তারা শুনে বলেই সারা বিশ্ব জানে। কাজেই আপনারা তাদেরকে যুদ্ধ থেকে, ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট থেকে দূরে থাকার জন্য এবং তাদের বিরোধ বাংলাদেশে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করুক এই বিষয়টা আপনাদের একটু দেখা উচিত। যেহেতু আপনারা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার সে হিসেবে আপনাদের সহযোগিতার আহ্বান আমরা জানাচ্ছি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও যদি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চায় সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পলিসি কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলেছে, আমরা সে উদারতা দেখানোর ব্যাপারটা এফোর্ট করতে পারব না। এমনিতেই একটা বোঝা, তারপর আরেক বোঝা। এটা আর সম্ভব নয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণকাণ্ডের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বিভিন্ন ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠন আছে। এই দলের ভিতরে শতভাগ ভাল মানুষ আছে এই দাবি আমরা করতে পারি না। এর মধ্যে খারাপ কাজও কিছু লোক করে। খারাপের কাজের জন্য আমাদের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, আমরা খারাপ কাজটা প্রশ্রয় দেই না। আইনের আওতায় আসার মত যে অপরাধ তা আইনের আওতায় এনেই করা উচিত। এই পর্যন্ত অনেক দৃষ্টান্ত আছে, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর যারা খারাপ কাজ করেছে, যারা অপরাধ করেছে তারা কেউই পার পায়নি।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামের উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন চসিক মেয়র রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

রোববার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহের সাথে এক মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বন্দর নগরীর সাথে সিঙ্গাপুরের ভৌগলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ বিধায় সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো দিবে। বিভিন্ন দেশে সিঙ্গাপুর যে কো-অপারেশন প্রোগ্রাম চালায় তার আওতায় চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি,  সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।


আরও খবর



সবার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর ৩৩ দিনের অপেক্ষা। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ মের এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। সেই ধারাবাহিকতায় সবার আগে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতির মাধ্যমে কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করে  বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে শক্তিশালী এক দল ঘোষণা করেছে কিউইরা।

টপঅর্ডারে আছেন ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, রাচীন রবীন্দ্রর মতো তারকা ব্যাটাররা। এছাড়াও মার্ক চাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের মতো পরীক্ষিতরাও দলটির বড় ভরসা। স্পিন বোলিংয়েও আছে বৈচিত্র্য। ফিট থাকায় আছেন ইশ শোধি, মিচেল স্যান্টনার, রাচীন রবীন্দ্রর মতো বোলারদের পাচ্ছে কিউইরা।

আর পেস ডিপার্টমেন্ট তো রীতিমত ভয়ঙ্কর। স্কোয়াডে আছেন অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, টিম সাউদি, জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেল, লকি ফার্গুসনের মতো বিশ্বসেরা পেসাররা। যারা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেলকে দলে নেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

কেন উইলিয়ামসন, ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচীন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ শোধি ও টিম সাউদি।


আরও খবর



সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এর আগে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদকালসহ অন্যান্য কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। চলতি অধিবেশন ৯ মে পর্যন্ত চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন। এবারের অধিবেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন আওয়ামী লীগের এমএ মান্নান, আসাদুজ্জামান নূর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন নেসা। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অগ্রবর্তিতার ভিত্তিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সংসদ পরিচালনা করবেন। পরে স্পিকার সংসদে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ডেপুটি স্পীকার মো. শামসুল হক টুকু, ডা. দীপু মনি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, চলতি অধিবেশন শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতি দিন বিকাল ৫টায় বসবে। ৯ মে দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যেকোনও পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে প্রদান করা হয়।

এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৩৮টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ৯০২টি প্রশ্নসহ মোট ৯৪০টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৫৬টি এবং প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এ নোটিশ পাওয়া যায়নি। এছাড়া বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। ৪টি সরকারি বিলের কমিটিতে পরীক্ষাধীন ১টি ও সংসদে উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে ৩টি।


আরও খবর



কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৩ মে) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠান।

চিঠিতে জানানো হয়, রিট পিটিশন নম্বর ৫৩২০/২০২৪ এর আলোকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রতিপালনের সুবিধার্থে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

এই অবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর