আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বিএসএফের ধাওয়ায় নদে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু : লাশ নিয়ে গেল ভারতীয় পুলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশে প্রবেশের সময় বিএসএফের ধাওয়ায় ডুবে মারা যাওয়া নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর নীলকমল নদ থেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ।

রোববার দুপুর ১টার দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধর্মপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক ৯৪৩ পিলারের জিরো লাইনের নীলকমল নদের দিগলাকুরা থেকে ভাই ও বোনের লাশ উদ্ধার করেছে তারা।

এ সময় নীলকমল নদের বাংলাদেশ-ভারত এর দুই ধারে বিজিবি বিএসএফের টহল জোরদার করা হয়। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিহত শিশু ভাই-বোনের লাশ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করবে কি করবে না, তা কেউই বলতে পারছে না।

বিজিবি জানিয়েছে, মৃত শিশু দুই ভাই-বোনের লাশ এক সপ্তাহ মর্গে রাখতে পারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে মৃত শিশুদের কাগজপত্র ও ছবি বিএসএফের কাছে দেওয়া হলে ফেরত নিয়ে আসার জন্য পরবর্তী আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে।

শুক্রবার ভারতের দিল্লি থেকে পারভীন খাতুন (৮) ও সাকেবুল হাসান (৪) তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কুরবানি ঈদ পালন করার জন্য অবৈধপথে বাংলাদেশে ফিরছিল। এ সময় ভারতীয় দালালরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের সীমান্তে নিয়ে এসে এক বাড়িতে রাখে। ওই দিন মধ্যরাতে আন্তর্জাতিক ৯৪৩নং মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করে দুই দেশের দালাল চক্র।

দালাল চক্র মা-বাবাসহ শিশুদের কাঁটাতার কেটে নীলকমল নদের তীরে নিয়ে আসে। এ সময় ডিউটিরত ভারতের শেউটি-১ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা টর্চলাইট জ্বালিয়ে দেখার পর ধাওয়া করে। দালালরা তড়িঘড়ি করে নদ পার হওয়ার জন্য তাদের চাপপ্রয়োগ করে।

এ সময় মৃতের বাবা রহিচ উদ্দিন মালপত্র নিয়ে নদীর মধ্যখানে চলে যান। তখন দুই ভাইবোন মা ছামিনার কাছে থাকে। কিন্তু তারা কেউই সাঁতার না জানার কারণে স্রোতের টানে রাতের অন্ধকারে মায়ের হাত থেকে ছুটে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু পারভিন ও সাকেবুল।

বিএসএফের ধাওয়ায় নদে ডুবে যাওয়া ভাই-বোনের লাশ রোববার সকাল বেলা নিখোঁজ স্থানের নদের পানিতে ভেসে উঠে। দুইশ গজ অদূরে তাদের লাশ স্থানীয়রা দেখে খবর দেয় বিজিবিকে। নদটি ভারতের ভূখণ্ডে হওয়ায় বিজিবি বিএসএফকে অবগত করে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে বিজিবি-বিএসএফের কড়া পাহারায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানা পুলিশ ও বিএসএফ, ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মৃত ভাই-বোনের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পশ্চিম শুখাতী গ্রামে। তাদের বাবা রহিচ উদ্দিন। মায়ের নাম ছামিনা বেগম। তারা প্রায় ২২ বছর ভারতের হরিয়ানা ও রাজস্থান রাজ্যের সীমান্তবর্তী সুলতানপুরের অমিত সিংয়ের  হাসিহেসা ইটভাটায় দিন মজুরির কাজ করছিলেন।

ওই সীমান্তে বসবাসকারী ইছাহক আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, সকালে নদের পানিতে লাশ দুইটি পাশাপাশি ভাসতে দেখে শত শত লোকজন নদের দুই ধারে জড়ো হন। এ সময় বিজিবি খবর পেয়ে আমাদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য নিষেধ করে।

নেওয়াশী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মেছের জানান, মৃত শিশুরা আমাদের এলাকার। তাদের লাশ ভারত থেকে ফেরত নিয়ে আসার জন্য কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্পে এসেছি। তারা জানিয়েছে, মৃতদের ও তার বাবা-মায়ের কাগজপত্র লাগবে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার কবির হোসেন জানান, নদীতে দুইটি লাশ ভাসছে এ নিয়ে বিএসএফকে অবগত করা হয়েছে। সে কারণে উভয়ের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ভারতের ১৯২ বিএসএফের শেউটি-১ ক্যাম্পের বিএসএফের এসি এসএইচ শংকর কুমারসহ ৬ সদস্য দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আরও জানিয়েছেন- মর্গে শিশুদের লাশ এক সপ্তাহ থাকবে। বাংলাদেশি কাগজপত্র পাওয়া গেলে মানবিক বিবেচনায় নেবেন।


আরও খবর



মাধ্যমিক খুলবে বুধবার, অপরিবর্তিত থাকবে প্রাথমিকের ছুটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমানো হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি বহাল থাকছে। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৩ জুলাই যথারীতি শুরু ক্লাস শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবারের গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে। ২ জুলাই পর্যন্ত এ ছুটি থাকার কথা ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্ত হলো, বুধবার (২৬ জুন) থেকে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।


আরও খবর



রাজধানীতে ঠিকানাবিহীন লোকের পরিসংখ্যান নেই : সংসদে দীপু মনি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সারা দেশে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা শহরে আটক করা ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সব কথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রোববারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ডা. দীপু মনি বলেন, ঢাকা শহরে জীবন জীবিকার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল এরূপ ঠিকানাবিহীন কত লোক বসবাস করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নদী ভাঙন, অতি দারিদ্র্য, রোগ, ব্যাধি, অশিক্ষা প্রভৃতি কারণে কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছেন যাদের প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের দরকার আছে। তবে কিছু কিছু কর্মবিমুখ লোক সহজ আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছু দুষ্টচক্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অসহায় মানুষদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন।

ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সমাধানে সরকার ২০১০-১১ অর্থবছর হতে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এছাড়া, ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক হওয়া ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সারাদেশে ভিক্ষুকদের ডাটাবেইজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন করা হবে।

২০২৩-২০২৪ অর্থ-বছরে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও পুনর্বাসন উপখাতে ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।


আরও খবর



আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভিক্ষুকের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

স্বামী হারানো ৮২ বছর বয়সী কুটি খাতুনের ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে। মাথা গোঁজার স্বপ্ন নিয়ে সরকারি ঘরের আশায় ২ বছর আগে ওই নেতাকে এ টাকা তুলে দেন কুটি। অথচ আজও সেই ঘর দেওয়া হয়নি তাকে। এমনকি টাকাও ফেরত পাননি তিনি।

অভিযুক্ত ওই আ.লীগ নেতার নাম কামরুজ্জামান সাহেব ফকির। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের বড় শ্রীবদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন তিনি। বসবাস করছেন প্রতিবেশির ঝুপরি ঘরে। এমন অবস্থায় শেষ বয়সে এসে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন তিনি। আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য গত ২ বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।

তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এখনো মেলেনি তার সরকারি ঘর। এমনকি ফেরত পাননি টাকা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার তালিকাতেও তার নাম ওঠেনি বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী কুটি খাতুনের সঙ্গে কথা বললে এসব তথ্য ওঠে আসে।

মূলত চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় এ লেনদেন হয়েছে বলে জানা যায়।

প্রতিবেশীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বছর মারা যান কুটি খাতুনের স্বামী। তার দুটি ছেলে সন্তান থাকলেও তারা কেউ মাকে দেখেন না। স্বামীর সম্পত্তি বলতে এক টুকরো ভিটে থাকলেও মাথা গোঁজার মতো ঘর ছিল না। প্রতিবেশীর একটি ঝুপরি ঘরে থেকে ভিক্ষা করে পেট চালান তিনি। বর্তমানে অনাহারে অর্থাহারে কাটছে তার জীবন।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে গত ২ বছর আগে চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিলেও ঘর দেয়নি। আমি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি, লাভ হয়নি। এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি।

কুটি খাতুনের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির খান বলেন, ওই বৃদ্ধা মহিলা বারবার আমার কাছে এসে ঘর ও টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি।

অভিযুক্ত চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সাহেব ফকির বলেন, কুটি খাতুনকে আমি চিনিই না। তবে শুনেছি, সরকারি ঘরের জন্য পাচী নামে এক মহিলা তার আত্মীয়কে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা পাচীকে ফেরতও দিয়েছে। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এই বয়োজ্যেষ্ঠ অসহায় মহিলাকে বসবাসের জন্য অতি দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে এবং সরকারি ভাতার আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল সোমবার দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কাল সকাল সাড়ে ৭টায়। সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সে লক্ষে এরই মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

ডিএসসিসির আওতাধীন হওয়ায় প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার কাজ করে সংস্থাটি। এ বছরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় জাতীয় ঈদগাহের কাজ চলছে। জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ২৫০ জন অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ৮০ জন গুরুত্বপূর্ণ নারী জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া সাধারণ পুরুষ প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী ৩ হাজার ৫০০ জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নেবেন।

ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদগাহ মাঠে ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা আছে। পাশাপাশি খাবার পানির ব্যবস্থা, ভিআইপি কাতারে জায়নামাজের ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিরোধক সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে ভিআইপি, নারী ও পুরুষের প্রবেশের জন্য আলাদা ৩টি গেট করা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে ভিআইপি (পুরুষ) কাতার হবে ৫টি, ভিআইপি (নারী) ১টি, জনসাধারণের মধ্যে পুরুষ কাতার ৬৫টি ও নারী কাতার ৫০টিসহ ১২১টি কাতার হবে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে অজুখানায় একসঙ্গে ১১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারীসহ ১৪০ জন একসঙ্গে অজু করতে পারবেন।

এদিকে আজ সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় এসবির ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ, ড্রোন পেট্টোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেইসঙ্গে করা হবে মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ইউনিফর্ম পুলিশ ছাড়াও ডিবি, এসবি ও অন্য সংস্থার কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। কোনো দাহ্য বস্তু নিয়ে ঈদের জামাতে আসা যাবে না। জঙ্গি তৎপরতার আশঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও ডিএমপি পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে।


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ল ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভায় বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। সে হিসেবে আসন্ন অর্থবছরে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা বেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে এবং সহকারী শিক্ষকের ২৬ হাজার ৩৬৬টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। শিক্ষার প্রধান উপকরণ বই যাতে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই পায় সে লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর প্রাথমিক স্তরের শিশুদের ১ জানুয়ারি বই উৎসব এর মাধ্যমে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ইএফটির মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০.৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৯৭.৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইল চেয়ার, ক্রাচ, শ্রবণযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় ও বিতরণ করা হচ্ছে এবং তাদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।


আরও খবর