আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন সুমাত্রা ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ভাই নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- শাফিন (২১) ও রাফি (১৬)।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শাফিন ও রাফি মোটরসাইকেলে করে ইসিবি চত্বর থেকে কালসী যাচ্ছিল। এর মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন সুমাত্রা ফিলিং স্টেশন পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এত করে দুই ভাই মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে শাফিন মারা যায় এবং শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাফি মারা যায়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ট্রাক এবং চালককে আটক করা যায়নি। ঘটনার পরপর চালক ট্রাক নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আর নিহতদের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া তাদের মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিহতদের চাচা মনির হোসেন জানান, নিহতদের বাসা মিরপুর বাউনিয়াবাঁধ এলাকায়। রাতে শাফিন ও তার ছোট ভাই রাফি মোটরসাইকেল চালিয়ে কালশী যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেলে তেল আনতে। ইসিবি চত্বর দিয়ে কালশী যাওয়ার পথে একটি মাটির ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে দুজনে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদের বাবার নাম জহিরুল ইসলাম পনির। তাদের মা জর্ডান প্রবাসী। তাদের শুধু দুটি ছেলে ছিল। শাফিন ডেলিভারিম্যানের চাকরি করতেন আর রাফি গাড়ি চালক ছিল। দুর্ঘটনার সময় মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল শাফিন।


আরও খবর



‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রাপ্তি ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন’

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন।

শনিবার (৮ জুন) সকালে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও শেষে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্মার্ট পদ্ধতিতে ভূমিসংক্রান্ত সকল সেবা দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্তভাবে জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি অন্যতম ক্ষেত্র। একই সঙ্গে, পিতা-মাতা ও পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের নিরাপদভাবে থাকার জন্য বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের আহ্বান জানাই।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহম্মেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ঘশ চৌধুরী সৈয়দ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবার জাহাজ হ্যান্ডলিং করল বিদেশি প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের নবনির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) অপারেটর হিসেবে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটিআই) নামে প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার (১০ জুন) পিসিটি দিয়ে মায়েরস্ক দাভাও নামে একটি জাহাজ হ্যান্ডলিং মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং করল।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় প্রথমবারের মতো জাহাজ হ্যান্ডলিং উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও আরএসজিটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরউইন হেইজ, আরএসজিটিআই বন্দরের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এটি ক্রেনযুক্ত ফিডার জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্যালাং থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছে। এরপর পিসিটিতে প্রায় ৮০০ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার ওঠানামা করে পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরে পিসিটি পরিচালনা ২২ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর আরএসজিটিআই পিসিটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে।

আরএসজিটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সৌদি আরবের শীর্ষ স্থানীয় বন্দর উন্নয়নকারী এবং অপারেটর। এটির ফ্ল্যাগশিপ টার্মিনাল জেদ্দা ইসলামিক পোর্টে অবস্থিত এবং সৌদি আরবের লোহিত সাগরের বৃহত্তম কনটেইনার টার্মিনাল। এটি বার্ষিক ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং এবং অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজগুলো পরিচালনা করে থাকে।

আরএসজিটিআই সিইও এরউইন হেইজ বলেন, আমরা ক্যাপ্টেন মায়ো মিন থান ও মায়েরস্ক দাভাওকে চট্টগ্রামে স্বাগত জানাতে পেরে গর্বিত। এই নতুন কনসেশন চুক্তির অধীনে প্রথম আনুষ্ঠানিক জাহাজ আগমনের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করছি। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এবং বৈশ্বিক লজিস্টিক চেইনে চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমিকা বাড়াতে অবদান রাখার জন্য উন্মুখ।

বাংলাদেশ সরকার, বন্দর কর্তৃপক্ষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), কাস্টমসসহ আরএসজিটিআইয়ের ব্যবসায়িক অংশীদার মায়েরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের বাংলাদেশের শিপিং কমিউনিটি এবং বৈশ্বিক বন্দর শিল্পকে বিশ্বমানের সেবা প্রদানের ক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছে।

জানা গেছে, আরএসজিটিআই বাংলাদেশে কনটেইনার টার্মিনাল খাতে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি পিসিটিতে ১৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আগ্রহী। বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি পিসিটিতে চারটি উন্নত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন শিপ-টু-শোর (এসটিএস) ক্রেন, রাবার-টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি) এবং অন্যান্য আধুনিক কার্গো-হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম যুক্ত করছে। এতে টার্মিনালের বার্ষিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ৬ লাখ টিইইউস পর্যন্ত বাড়বে।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দরে পণ্য কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বাড়াতে পিসিটি নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর সড়কের উদ্ধার করা নদীপাড়ের ৩২ একর জায়গায় ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পিসিটি নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিসিটি নির্মাণ করে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইইঞ্জিনিয়ারিং এটির নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে লিমিটেডের সাথে গত ডিসেম্বরে চুক্তি সম্পাদনের পর তাদেরকে এই টার্মিনালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এই চ্যানেলে কোনো বাঁক না থাকায় পিসিটি বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা পাবে। এই টার্মিনালে বছরে প্রায় ৬ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। টার্মিনালটিতে ১৬ একর ইয়ার্ড ও ৫৮৪ মিটার দীর্ঘ জেটি রয়েছে। জেটি এলাকায় ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এই টার্মিনালে ১৯০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার ড্রাফটের ৩টি কন্টেনার জাহাজ একসাথে এবং ২২০ মিটার দীর্ঘ ডলফিন জেটিতে ১টি ভোজ্যতেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এতে ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটারের আরসিসি পেভমেন্ট (অভ্যন্তরীণ ইয়ার্ড ও সড়ক), ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কন্টেনার ফ্রেইট স্টেশন (সিএফএস) শেড, ৬ মিটার উঁচু ১ হাজার ৭৫০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, ৫ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের পোর্ট অফিস ভবন, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটারের যান্ত্রিক ও মেরামত কারখানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯৪ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। রপ্তানি বাণিজ্যের ৯৮ শতাংশ এ বন্দর দিয়ে হয়। প্রতি বছর জাহাজ, কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়ছে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন প্রকল্প নিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি এখন এলে কোথায় থেকে?

বুধবার (২৬ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে। রোকসানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। অপরদিকে ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনের মধ্যে একজন নারীর লাশ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতে এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একই রকম কিনা জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান।

পরে এবায়দুল হকসহ আত্মীয়-স্বজন ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসের সঙ্গে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান। উপস্থিত পারস্পরিক আলোচনায় উপপরিদর্শক প্রতুল দাসকে তারা রোকসানার লাশ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের লাশ হস্তান্তর করে। ওইদিন বাদ আসর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণ পাড়ে তার লাশ দাফন করা হয়।

লাশ দাফনের ৯ দিন পর গত ২৬ জুন বুধবার বিকেলে ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ দাফন করা রোকসানা সশরীরে বাড়িতে হাজির হলে আৎকে উঠেন সবাই। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ির উঠানে আশেপাশের উৎসুক মানুষ তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় নারী-পুরুষ তাকে একবাক্যে জিজ্ঞেস করে, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথায় থেকে আসলে? তখন সে বলতে থাকে, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উল্টো এখন রোকসানাই ভাই এবায়দুল হক ও সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছে, আমাকে ভেবে তোমরা কোন নারীকে দাফন করেছ, কি তার পরিচয়?

ফিরে আসা রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রামে ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। ২৬ জুন বুধবার বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমিতো জীবিত ফিরে আসলাম।

ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, উদ্ধার করা লাশটি বিকৃত ছিল। এবায়দুল হক ও তার স্বজনরা উদ্ধারকৃত লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু তাদের বোন সশরীরে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করব।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, তরুণী নিখোঁজ, উদ্ধার, দাফন ও আবার ফিরে আসার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। খবর নিয়ে দেখব-আসলে কি ঘটেছে।


আরও খবর



পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে চারজন পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও দুজন উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ও তার টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে তা আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সব ম্যানেজ করেন বেনজীর। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা। বানিয়ে নেন সাধারণ পাসপোর্ট।

আরও জানা গেছে, সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি।

এদিকে, বেনজীরকে দুদকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। এমনকি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে তলব করলে তারাও দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।


আরও খবর



দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা -২০২৪ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এবার দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি হবে বাংলাদেশে। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এমপি আরো বলেন, লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আছে আমাদের চোরা চালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষে (৪র্থ তলা) বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রাতের অন্ধকারে অনেক কিছুই দেশে ঢুকে, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা তারা করছেন।  রাষ্ট্র কোনোভাবেই কোরবানির জন্য কাউকে পশু আমদানি করার বৈধতা দেয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লক্ষ যেখানে আমাদের প্রস্তুতি আছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু, যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি।

মন্ত্রী কর্মশালায় বক্তব্যে আরো বলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব,  জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই দুর্যোগ মুহূর্তে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমাদের ইতিমধ্যে রয়েছে ৩টি জাতীয় স্বীকৃত গবেষণাগার, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য BSLII+ জাতীয় রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, পিপিআর-এর জন্য সার্ক রিজিওনাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিইয়াল রেজিস্ট্যান্স গবেষণার জন্য ন্যাশনাল রেফারেন্স গবেষণাগার রয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের বিএলআরআই এর উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে, এর মধ্যে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ, ইউরিয়া-মলাসেস স্ট্র (ইউএমএস), ঘাস সংরক্ষণে সাইলেজ প্রযুক্তি, উচ্চ ফলনশীল ঘাসের জাত বিএলআরআই নেপিয়ার- ১, ২, ৩ ও ৪ উদ্ভাবন, পিপিআর ভ্যাকসিন সিড, গোটপক্স ভ্যাকসিন সিড, বিএলআরআই এফএমডি ট্রাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন সিড (ও, এ, এশিয়া-১), শুভ্রা ও স্বর্ণা (লেয়ার স্ট্রেইন), ছাগল ও গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য পিলেট ও TMR তৈরি, এফএমডি এবং পিপিআর নিয়ন্ত্রণ মডেল ইত্যাদি কৃষক পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় এবং মাংস, দুধ এবং ডিম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রধানগণ ও উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর