আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর লাশ উদ্ধার : স্বামী-শ্বশুর গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত ওই ছাত্রীর নাম নিশাত তাসনীম উর্মী (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে।

পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরে নির্যাতনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। মেহেরপুরের গাংনী থানায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হলেও পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।

এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত নিশাতের স্বামী প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহকে। এদিকে নিহত নিশাতের সহপাঠীরা বিকালে গাংনী প্রেস ক্লাবের সামনে হত্যার তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছেন।

সহপাঠীরা জানান, গাংনী পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাশেম শাহের ছেলে আশিকুজ্জমান প্রিন্সকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন উর্মী। কলেজে পড়াকালীন তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে উর্মীর। চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আবনাব আবির প্রত্যয় নামে ১৩ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। স্বামী প্রিন্স নেশাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায়ই ঝামেলা হতো এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতেন নিশাত উর্মী।

নিশাতের পরিবার জানায়, রাতে শ্বশুর হাসেম শাহ্ মোবাইল ফোনে উর্মী অসুস্থ হওয়ায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। অসুস্থতার কারণ হিসেবে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়েছে বলে জানানো হয়; কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসকরা জানান- উর্মী অনেক আগেই মারা গেছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। এটিকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বিকালে দাফন করা হয়েছে। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, উর্মীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। উর্মীর বাবা হত্যা মামলা করেছেন। আমরা অভিযুক্ত প্রিন্স ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। যৌতুকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা অনুমান করছি।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



বিএনপি রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভয়ে আবোল-তাবোল বলছে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

বিএনপি রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভয়ে আবোল-তাবোল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন অস্তিত্বের ভয়ে থাকে, তখনই তারা আবোল-তাবোল বলে। বিএনপিও আবোল-তাবোল বলছে, তা আমলে নেওয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদের সামনে ভারতের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পরে তিনি উপজেলা অডিটোরিয়ামে ৮০ জন নারী উদ্যোক্তার মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

এতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভু্ঁইয়া জীবন ও কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তারসহ অনেকে।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা উধাও, ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শাখা ব্যবস্থাপকসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে ওই কার্যালয়েই মামলাটি দায়ের করেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক।

মামলার আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংক পিএলসির শাখা ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম (৩৪), সাবেক ক্যাশ অফিসার মো. খালেদ ইউনুছ (৩১), অফিসার মো. রাশেদুল হাসান (৩৪) ও বর্তমান ক্যাশ অফিসার শাহ মখদুম উদ্দৌলা (২৯)। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ, সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান বর্তমানে এই ঘটনায় কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা জনতা ব্যাংক পিএলসির সিরাজগঞ্জের বেলকুচির তামাই শাখার ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করায় জনতা ব্যাংক পিএলসির সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম গত ২৫ মার্চ বেলকুচি থানা পুলিশের ওসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় (যার নম্বর- ১৩২০)।

উক্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় বেলকুচি থানার একটি স্মারকমূলে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে প্রাপ্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার একটি স্মারকমূলে দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত-২) ও অভিযোগ যাচাইবাছাই কমিটির আহ্বায়ক বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন প্রদান করা হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়- গত ২০ মার্চ জনতা ব্যাংক পিএলসি তামাই শাখায় পরীক্ষামূলক পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষ। পরিদর্শনকালে টিম দেখতে পায় যে, ১নং আসামি মো. আল আমিন শেখ ব্যবস্থাপক হিসেবে জনতা ব্যাংক পিএলসি, তামাই শাখায় গত ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হতে অদ্যাবধি কর্মরত কিন্তু পরিদর্শনকালীন তাকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অফিসে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এ ছাড়া পরিদর্শনকালে ক্যাশ যাচাই/গণনা করে দেখা যায় যে, গত ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত সময়ে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় তামাই শাখার ভল্টে রক্ষিত পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন মর্মে পরিদর্শনকালে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী-এর মহাব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

পরবর্তীতে ২৪ মার্চ ১নং আসামি আল আমিন শেখ উক্ত ব্যাংকে যোগদান করলে উক্ত আত্মসাৎকৃত টাকার বিষয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করেন এবং সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হন। এ সময় আসামি আল আমিন শেখ ওই দিনই আত্মসাৎকৃত টাকার দায় স্বীকার করেন এবং দায় পরিশোধের নিমিত্তে সানড্রি ডিপোজিট হিসাবে ২০ লাখ টাকা স্বেচ্ছায় ব্যাংকে জমা করেন। তবে অবশিষ্ট টাকা জমা করতে ব্যর্থ হন।

দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, থানার অভিযোগের কপিটি আসার পর সেটি যাচাই-বাছাই করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে শাখা ব্যবস্থাপকসহ কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিত তিনজনকে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজ ট্যাগ: দুদক সিরাজগঞ্জ

আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১০ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা।


আরও খবর