আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচনে গিয়ে কটাক্ষের শিকার দীপিকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বকাপ ফাইনালেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না দীপিকা পাড়ুকোনের। এবারও পোশাক নিয়ে কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী। পাঠান সিনেমার প্রসঙ্গ টেনেও করা হলো বিদ্রুপ।

রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রি-ম্যাচ কভারেজে পাঠান ছবির প্রচার করেন শাহরুখ খান। আর দীপিকাকে দেখা যায় কাতারের লুসেইল স্টেডিয়ামে। স্প্যানিশ ফুটবলের তারকা ইকের ক্যাসিয়াসের হাত ধরে মাঠে প্রবেশ করেন দীপিকা। সঙ্গে ছিল মহামূল্যবান বিশ্বকাপ। দীপিকা ও ক্যাসিয়াসই তা বাক্স থেকে বের করেন।

সাদা-কালো পোশাকের সঙ্গে ব্রাউন জ্যাকেট পরে বিশ্বকাপের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন দীপিকা। সেই ছবির সঙ্গে পাঠান-এর বেশরম রং গানের দৃশ্যজুড়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, কেন দীপিকা পাড়ুকোন এখানে সর্বাঙ্গ ঢাকা পোশাক পরেছেন? কাতার বলেই কি ছোট পোশাক আর গলার নিচের অংশ দেখা যাচ্ছে না?

দীপিকার এই পোশাকের সঙ্গে ব্যাগের তুলনা করেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার জনপ্রিয় ব্যাগের সংস্থার নাম প্রশ্ন করেছেন, এ কেমন পোশাক বলিউড অভিনেত্রীকে পরতে দিয়েছেন তারা? নিন্দার পাশাপাশি প্রশংসাও পেয়েছেন দীপিকা। কিন্তু তা নিয়েও আবার পালটা কটাক্ষ করা হয়েছে। 

বেশরম রং সিনেমায় দীপিকার পোশাক নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাকে একহাত নিয়ে রোহিনী সিং লেখেন, এ বিশ্ব ভারতবর্ষকে শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোনের মাধ্যমে চেনে। নরোত্তম মিশ্রর নামে নয়।

রোহিনীর এই মন্তব্য শুধরে দিয়ে আবার একজন লিখেছেন, গোটা দুনিয়া ভারতবর্ষকে ভারতবর্ষ হিসেবেই চেনে। এখানকার মানুষ, তাঁদের অবদান, সংস্কৃতির জোরে চেনে। আর বলিউড অভিনেতাদের কথা যদি বলতে হয় তাহলে বলি তাঁর ওই জায়গায় ভারতের প্রতিনিধি হয়েই রয়েছেন।


আরও খবর



উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে উত্তর কোরিয়া সফর শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আজ বুধবার (১৯ জুন) প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছেছেন। ক্রেমলিন এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

আজ খুব ভোরে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর পুতিনকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান। দুই নেতা হাত মেলানোর পর একেঅন্যকে আলিঙ্গন করেন। এরপর দুপাশে রাশিয়ার পতাকা দিয়ে সাজানো রাস্তা ধরে পুতিনের মোটর শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে।

গত ২৪ বছরের মধ্যে বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশটিতে এটাই পুতিনের প্রথম সফর। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলতে থাকা সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সফর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পিয়ংইয়ং ও মস্কো ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং এই মিত্রতা আরও বেড়ে গেছে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের সময় থেকে। এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পুতিন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে যে, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়ায় প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে।

তবে উত্তর কোরিয়া সামরিক হার্ডওয়্যার সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও সম্প্রতি পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার জন্য কিম সরকারকে ধন্যবাদ জানান। গতকাল মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট লেখেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া যে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে তার জন্য রাশিয়া দেশটির প্রশংসা করছে।

ভ্লাদিমির পুতিন আরও লেখেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া কার্যকরভাবে বিভিন্ন দিকে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে।

দুটি দেশের বিরুদ্ধেই চলছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা চলছে ২০০৬ সাল থেকে দেশটির পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে। আর মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চলছে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে।

পুতিন পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে বলা হয় এই সফরের মাধ্যমে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক ব্যাপক উন্নতির এক নতুন ধারায় প্রবেশ করেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই সফরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রয়েছেন।


আরও খবর



স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনটি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেয়া। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

উপবৃত্তির টাকা অভিভাবকের মোবাইল ফোনে বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পাস পর্যায়ে ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এ টাকা। মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



শেয়ারবাজারে দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে নতুন বাজেট। ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফার ওপর কর বসাতে যাচ্ছে সরকার এতদিন এ খবর ছিল গুঞ্জন আকারে। এবার তা সত্যি হয়ে আসছে। শেয়ার কেনাবেচায় নির্দিষ্ট অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি যত টাকা মুনাফা হবে, তার ওপর সরকারকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন, তাতে এমন প্রস্তাব থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত থাকলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানো হচ্ছে। এতে করহার ব্যবধান বর্তমানের সাড়ে ৭ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশে নামবে।

টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, দলে দলে সব শেয়ার বেচে বাজার ছাড়ছেন তারা, তখন নীতি-সহায়তার পরিবর্তে করের চাপ বাড়ালে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুধু এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের দরপতনে ৯৪ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। ফলে বাজারের জন্য এখন দরকার সরকারের নীতি-সহায়তা। অথচ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান কমিয়ে তালিকাভুক্ত হতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আইপিও প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির বর্তমান করপোরেট করহার ২০ শতাংশ। এর কম শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হলে, তাদের করহার সাড়ে ২২ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে এ করহার আড়াই শতাংশ হারে বাড়িয়ে যথাক্রমে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে উভয় ধরনের কোম্পানির করপোরেট করহার থেকে আড়াই শতাংশ করে ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তটি হলো ৫ লাখ টাকার বেশি একক যে কোনো লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে এবং বার্ষিক ব্যয়ে নগদ লেনদেন কোনোভাবেই ৩৬ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। অবশ্য এ শর্ত নতুন নয়। চলতি অর্থবছরেও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্থক্য হলো এখনকার নির্ধারিত করহার কম। তবে শর্ত না মানলে তা আড়াই শতাংশ বেশি দিতে হচ্ছে। নতুন কর প্রস্তাবে আগেই করহার বাড়ানো হচ্ছে। শর্ত মানলে করছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে।

এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার না কমালেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন না করলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়েছে। এবার এ শর্ত পূরণ করতে না পারলে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারে নতুন করে কোম্পানি আসা যখন প্রায় বন্ধের পথে, তখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত করহার ব্যবধান কমানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও এ ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। পরে তা সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এখন তা ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে নতুন করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আরও নিরুৎসাহিত হবে। সরকারের এ নীতির ফলে শেয়ারবাজার সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আরও পিছিয়ে পড়বে ও সংকুচিত হবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের প্রতি বিমাতাসুলভমড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারকে স্বাভাবিক করতে তারা সরকারের কাছে নীতি-সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

মূলধনি মুনাফায় করারোপ এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান কমানোর খবরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন খোদ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার ব্যবধান বাড়ানো উচিত। মূলধনি মুনাফায় কর আরোপের খবরেও তিনি একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই কর প্রস্তাব যাতে সরকার প্রত্যাহার করে নেয়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



বন্যায় সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না, পানি নেমে যাওয়ার পর নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এদিকে গত বন্যায় প্লাবিত হয়ে কৃষিতে প্রায় ৯৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবারও সিলেটের বেশিরভাগ ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার মাঠে এখনো ফসল আছে ২০ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৭ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮২ হেক্টর আউশ ধান, ৮৫৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬১ হেক্টর বোনা আমন। আউশ ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলায়। এখানে ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ হেক্টর। সিলেট সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে ১ হাজার ৪৪ হেক্টরই প্লাবিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্লাবিত হওয়া আউশ ধানের মধ্যে বিশ্বনাথে ৮৬১ হেক্টর, গোলাপগঞ্জে ৭৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৫৬০, গোয়াইনঘাটে ৪১৫, জকিগঞ্জে ৩৫০, ওসমানীনগরে ৩১০, বিয়ানীবাজারে ৯০, কানাইঘাটে ৭৫, দক্ষিণ সুরমায় ৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৪০ ও বালাগঞ্জে ৫ হেক্টর রয়েছে। প্লাবিত হওয়া আউশ বীজতলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১৬০ হেক্টর, বিশ্বনাথে ১৫৪, সিলেট সদরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৯৫, দক্ষিণ সুরমায় ৮০, বিয়ানীবাজারে ৫৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৮,  কানাইঘাটে ৪২, বালাগঞ্জে ৩৫, ওসমানীনগরে ২৯, কোম্পানীগঞ্জে ২৭, জকিগঞ্জে ২৩ ও গোয়াইনঘাটে ৮ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট ৬ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি আছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার ১ হাজার ১২০ হেক্টর, সিলেট সদরে ৭২০, বিয়ানীবাজারে ৫৩০, জকিগঞ্জে ৪৬৫, গোলাপগঞ্জে ৪৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৪৮, দক্ষিণ সুরমায় ৪৩৫, বালাগঞ্জে ১৭৫, গোয়াইনঘাটে ১০৫, ওসমানীনগরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৮০, কোম্পানীগঞ্জে ৫২ ও কানাইঘাটে ২৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি প্লাবিত হয়েছে।

সিলেটের প্লাবিত হওয়া বোনা আমনের মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৮২ হেক্টর, কানাইঘাটে ৩৬, জকিগঞ্জে ১৮, দক্ষিণ সুরমায় ১১, জৈন্তাপুরে ১০ ও বালাগঞ্জে ৪ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট বোনা আমন আছে ১৬৭ হেক্টর জমিতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের মাসুদ আহমেদ জানান, কয়েকদিন আগের বন্যায় ৬০শতক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগে আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে, নিজ শ্রম বাদে ফসল রোপণ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক লোকমান আলী জানান, ধার-দেনা করে ৩০শতক কৃষিজমিতে সবেমাত্র আউশ ধান লাগিয়েছেন, লাগানোর একদিন পর বন্যার পানিতে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, বন্যায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। পানি নেমে গেলেই এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

 তিনি আরও বলেন, বুধবারের তথ্য অনুযায়ী জেলার মাঠে এখনও ফসল আছে ২০ হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৯ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৮ হাজার ৮৫৫ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ৯৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৫ হাজার ৬৬৪ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬৭ হেক্টর বোনা আমন।


আরও খবর



ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে বাড়ির পথে ঈদ যাত্রীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৃতীয় দিনের মত শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদযাত্রা। এই যাত্রায় আজ শুক্রবার সকালে সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি নেই বললেই চলে। নির্দিষ্ট সময় মেনেই দূরপাল্লার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস, তূর্না এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন শিডিউল মতো ছেড়ে গেছে।

পূর্বের ঈদযাত্রার মতো এবারও প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

এদিকে সড়ক আর নৌপথের মতো ট্রেনেও উপচেপড়া ভিড়। গত ৪ জুন যারা অগ্রিম টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা আজ ভ্রমণ করতে পারছেন। এছাড়া ট্রেনের সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট স্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। যারা গত ২ জুন টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা সেদিন ভ্রমণ করতে পেরেছিলেন। এবার টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী মো.জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা সফলতার সঙ্গে গতকাল বুধবার যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছি। যা সম্ভব হয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায়। আমরা চেষ্টা করছি যে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সব প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৬৪টি ট্রেন ছেড়ে যায়। আজ দু-একটা ট্রেন বাদে ৩০টা ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে। নিরাপদ ঈদযাত্রার লক্ষ্যে রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর