আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম
আবরার হত্যা

বিটু ক্লাসে ফেরার প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আশিকুল ইসলাম বিটু ক্লাসে ফিরেছেন। এর প্রতিবাদে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না আসায় ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে ক্লাস বর্জনের এই কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল দশটা থেকে উপাচার্যের অফিসের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের হাতে নো ক্যাম্পাস শেয়ারিং উইথ অ্যা মার্ডারার, বিটুর আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত চাই, আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

তবে শিক্ষার্থীদের কেউ মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তারা বলছেন, কিছুক্ষণ পর সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের কথা জানানো হবে। তবে আমরা কেউই ভাইয়ের খুনির সঙ্গে ক্লাস করতে রাজি নই।

আরও পড়ুন>> প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল মন্ত্রণালয়

উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার জনের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে তারা ভেতরে কি আলোচনা করেন বা তাদের কী সিদ্ধান্ত সেটি এখনো জানায়নি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা সেটি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ২২ মে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনলাইন ক্লাসে যোগদান করেন আশিকুল ইসলাম বিটু। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তখনও ক্লাস বর্জনের মতো প্রতিবাদ কর্মসূচি দিলে তিনি আর ক্লাস করতে পারেননি।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম (বিটু) আবারও ক্লাসে ফিরে এসেছেন। গত ৬ আগস্ট কেমিক্যাল ১৯ ব্যাচের ক্লাসে তাকে ফের দেখা যায়। এ ঘটনায় বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। দ্রুত তার কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল করার দাবিতে আজ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে আশিকুল ইসলামের (বিটু) কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল করতে বুয়েটে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আশিকুল ইসলাম (বিটু) ক্লাসে ফিরে আসার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মেরিন ড্রাইভে ৭ লাখ পিচ ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট কার থেকে ৭ লক্ষ পিচ ইয়াবাসহ মিয়ানমার থেকে মাদক চোরাকারবারের অন্যতম গডফাদার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও তার তিন সহযোগীকে আটক করেছে র‍্যাব।

মেরিন ড্রাইভের উখিয়ার চেংছড়ি পাটুয়ারটেক বিচ এলাকা থেকে চালানটি আটক করে র‍্যাব।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন। এই বিষয়ে সোমবার দুপুর ১২ টায় ব্রিফিং ডাকা হয়েছে ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান অধিনায়ক।

জানা গেছে, আব্দুল্লাহ সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফে বসে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক চোরাচালান করে আসছে।

ওপার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসার পাশাপাশি গরু আমদানির আড়ালে এপার থেকে মিয়ানমারে হুন্ডির মাধ্যমে মাদকের টাকা পাঠান আব্দুল্লাহ।

আব্দুল্লাহর নেপথ্যের গডফাদারদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।

এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে।

আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান।

শর্তসমূহ হলো-

১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন।

২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন।

৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।

৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন।

৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।

৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন।

তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬-১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট উপলক্ষে ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট হবে

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সদর, তেতুলিয়া ও আটোয়ারী; ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর, নীলফামারী জেলার ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুর জেলার কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁ জেলার ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোর জেলার সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জ জেলার সদর(ইভিএম), কাজিপুর (ইভিএম) ও বেলকুচি (ইভিএম); পাবনা জেলার সাঁথিয়া (ইভিএম) , সুজানগর (ইভিএম) ও বেড়া (ইভিএম)।

খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলার সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ জেলার সদর ও কালীগঞ্জ; যশোর জেলার মনিরামপুর (ইভিএম) ও কেশবপুর (ইভিএম); মাগুরা জেলার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইল জেলার কালিয়া; বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুর জেলার সদর (ইভিএম), নাজিরপুর (ইভিএম) ও ইন্দুরকানী (ইভিএম)।

ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গীপাড়া; নারায়নগঞ্জ জেলার সদর ও বন্দর; গাজীপুর জেলার সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর (ইভিএম) ও হরিরামপুর (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন, মধুখালী ও সদর; মাদারীপুর জেলার সদর, শিবচর ও রাজৈর, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া (ইভিএম) ও ভেদরগঞ্জ (ইভিএম)। নরসিংহী জেলার সদর ও পলাশ, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুর জেলার সদর (ইভিএম) ও সরিষাবাড়ি (ইভিএম); শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা; সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ ও বানিাচং।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট ও মেঘনা; চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর (ইভিএম) ও মতলব দক্ষিণ (ইভিএম); ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া(ইভিএম) , সদর (ইভিএম) ও মহেশখালী (ইভিএম); খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, থানছি ও আলীকদম।


আরও খবর



ভুয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্সে চলছে জবির ক্যাফেটেরিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ভুয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সটি (TRAD/DSCC/901214/2019) ভুয়া, যেখানে টেম্পারিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বসানো হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ইস্যু করা আসল ট্রেড লাইসেন্সে প্রতিষ্ঠানের নাম 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া' এবং মালিকের নাম মাসুদ আলম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মাসুদ সেই লাইসেন্সের সব তথ্য ঠিক রেখে খুব চতুরতার সাথে টেম্পারিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মাসুদ এন্ড কোং করেন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। কিন্তু ৪ বছরেও নবায়ন করা হয়নি লাইসেন্স।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকায় পরিচালনার দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শরিফুল ইসলাম। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত থাকায় শরীফুল নিজের নামে কাগজপত্র করতে পারেননি। তাই তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুদ আলমের নামে সব কাগজপত্র করেন শরিফুল। তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে মাসুদ আলমকে বুঝিয়ে দেন। সকল কাগজপত্র মাসুদের নামে থাকায় পরবর্তীতে মূল অংশীদার শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে এককভাবে মাসুদ আলমকে মালিকানা হস্তগত করেন।

এদিকে প্রতারণা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে মাসুদ আলম দাপটের সাথে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেন শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ও কর্তাব্যক্তিকে ম্যানেজ করে আমাকে বাদ দিয়ে মাসুদ ক্যাফেটেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেন।

বর্তমান ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, এখন ট্রেড লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স নবায়নের কাজ চলমান আছে, কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। আমি মাসুদ এন্ড কোং নামে ট্রেড লাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেইনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া নামে জমা দিছি। শরীফুলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, ওনার কথা সত্য নই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক জিএল আল আমিন বলেন, ২০২৩ সালে আগস্টে ৩ বছরের জন্য ক্যাফেটেরিয়ার নতুন ইজারা নিয়েছে মাসুদ আলম। যেহেতু আমি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ছাত্রকল্যাণের দায়িত্ব পেয়েছি, তাই ট্রেড লাইসেন্সসহ এর আগের কোন বিষয়ে আমার জানা নেই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আইপিএলের ইতিহাসে ইডেন গার্ডেন্সে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এক ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান। বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েই স্কোরবোর্ডে ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে চার ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না কলকাতার জন্য। ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাঞ্জাব সুপার কিংস। শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ফিল সল্ট আর সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারেস্টোর দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারেস্টো। এ ছাড়া ২৮ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শশাঙ্ক সিং।

ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়ার এই অঞ্চলে কার্যত প্রবল খরা চলছে। ঝড় বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। তাপপ্রবাহ প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। এর মধ্যেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের বাইশগজে যেন কালবৈশাখী তুফান ছোটালেন দুই দলের ব্যাটাররা। একটা পরিসংখ্যানে আরেকটু পরিস্কার করা যাক এই ম্যাচটা। কলকাতা ও পাঞ্জাব মিলে ৩৮.৪ ওভারে রান করেছে ৫২৪! উভয় দল ছক্কা মেরেছে ৪২টি! যা টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এ ছাড়া আজকের ম্যাচে চারের মার রয়েছে ৩৮টি! মোট চার-ছক্কা ৮০টি! শুধু ছক্কা থেকে এসেছে ২৫২ রান (প্রায় ৫০%)।

চলতি আসরে যেন উড়ছিল কলকাতা। এদিনও টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৭৬ রান। ৮ ওভারেই তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে সল্ট সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সল্টের মতোই তাণ্ডব চালিয়েছেন নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৭১ রান। এই ইনিংস খেলার পথে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষ দুইয়ে উঠে এসেছেন এই ক্যারবিয়ান ওপেনার। চলতি আসরেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন।

দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। পাঁচে নেমে ১২ বলে ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২৮ রান। তাছাড়া ২৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

২৬২ রানের লক্ষ্য একপ্রকার অসম্ভবই ছিল পাঞ্জাবের কাছে। এমনিতেও ভালো ফর্মে নেই তারা। কিন্তু প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন প্রভসীমরন সিং আর জনি বেয়ারস্টো। প্রভসীমরনের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও চারটি চারের মার। অন্যদিকে বেয়ারস্টো তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় আইপিএল সেঞ্চুরি। বলতে গেলে তাঁর হাতেই পরাস্ত হয় কেকেআর। মাঝে রাইলো রুশো ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১৬ বলে ২৬ রান করে। ইডেনের আলো ঝলমলে রাতে শেষের দিকে সব আলো কেড়ে নেন শশাঙ্ক সিং। ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি ছয়।

কলকাতার হয়ে একমাত্র সাফল্য পেয়েছেন নারিন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া কেউই উইকেটের দেখা পাননি।


আরও খবর