আজঃ সোমবার ১৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়ার এক সাহসী যোদ্ধা ছিলেন সুধাংশু শেখর হালদার

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, কুসংস্কারমুক্ত অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বির্নিমাণে এক সাহসী যোদ্ধা ছিলেন বিশিষ্ট পার্লামেন্টেরিয়ান প্রয়াত সুধাংশু শেখর হালদার। ১৯৯১ সালের সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনের অন্যতম প্রণেতা সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবি, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সুধাংশু শেখর হালদার আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে বার বার কারাবরণ করেছেন।

আজ দুপুরে সুধাংশু শেখর হালদারের ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল কৃষ্ণ মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের বরিশাল অঞ্চলের ট্রাষ্টি সুরঞ্জিত দত্ত লিটু, পিরোজপুর প্রেস ক্লাবের কনভেনর বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চু, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. দিলীপ মাঝি, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিকদার চান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন পীরু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি শফিউল হক মিঠু, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের উপ-পরিচালক প্রিয়াংকা সিকদার অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী আরো বলেন সুধাংশু শেখর হালদার অসাধারণ পার্লমেন্টেরিয়ান, সৎ, সাহসী ও আদর্শবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চেয়েছেন। সুধাংশু শেখর হালদারের অকুতোভয় মানসিকতা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমি তার একজন কর্মী ছিলাম, এ পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়ে যায়নি। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এবং নব্য পাকিস্তান পন্থীরা চায়না যে বঙ্গবন্ধুর এ সোনার বাংলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বিষ্ময়কর নেতৃত্বে সত্যিকার অর্থেই সোনার বাংলা হয়ে উঠুক। এ কারণে তারা দেশে বিদেশে একের পর এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমাদের সকলের এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সজাগ থাকতে হবে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী ডাকল ‘আয় আয়’, ছুটে এলো খরগোশের দল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠ শুনেই ছুটে এলো খরগোশের দল। শনিবার (১৫ জুন) গণভবনে কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ শেষে খরগোশের ঘরের সামনে গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসময় প্রধানমন্ত্রী আয় আয় বলে ডাক দিলে ছুটে আসে খরগোশের দল।

এদিকে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি অর্থনীতি উন্নত করে আমরা শিল্পায়নে যাব। এজন্য ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। এর বাইরে যত্রতত্র জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের ফসল উৎপাদন করবো, যাতে কারও কাছে হাত পাততে না হয়। আমাদের খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা ৭৪ সালের। নগদ টাকায় কেনা খাদ্যও কিন্তু আসতে দেয়নি। কৃত্রিমভাবে সেখানে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যেভাবেই হোক মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। সেটাতেও যখন সফল হয়নি, তারপরই তো ১৫ আগস্ট ঘটালো। এখনো কিছু লোকের সেই চেষ্টাটা আছে।

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, সারের দাম আমরা কমিয়ে দিয়েছি। এখনো ব্যাপক পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছি। যেহেতু দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদার বিষয়, সে ক্ষেত্রে আমরা কখনো কার্পণ্য করি না, বাজেটে সব সময় আমরা ভর্তুকি দেই।

গাছ লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ুর ক্ষতি করে না। কিন্তু জলবায়ু অভিঘাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। গাছ আমাদের প্রাণ, শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়। ফল ও ঔষধি গাছের উপকারিতা অনেক। এজন্য গাছ লাগাতে হবে। নদীর পাড়, উপকূলে এবং ঘরবাড়িতে গাছ লাগান। তবে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। শহরে ছাদেও ছোট ছোট গাছ লাগাতে পারেন। উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা। কৃত্রিম উপায়ে বৃক্ষরোপণ করা। ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে বাঁচাতে আমাদের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট করতে হবে।

মাটির গুণ রক্ষায় পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বারবার একই ফসল করতে করতে মাটির গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য মাঝখানে আরেকটা করলে মাটি পুষ্টি ফিরে পায়। যেমন- আমরা বারবার ধান করছি, এটার মাঝখানে আরেকটা করতে পারলে মাটির পুষ্টি বাড়বে।

শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এত ঝামেলা। আমরা কেন উৎপাদন করি না? ৪০ শতাংশ আমরা জোগান দেই। এটা আরও বাড়বে। পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষাণী অনেক টাকা আয় করে। ভুট্টাও চাষ হতো না, সেটাও করছি। আগে সবজি শীতকালে পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আমরা গবেষণা করে বারোমাসি সবজির জাত উদ্ভাবন করেছি। এখন এটার ফল পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও কৃষক লীগের নেতারা অংশ নেন।


আরও খবর
বিশ্ব মরুময়তা দিবস আজ

সোমবার ১৭ জুন ২০২৪




পাহাড় থেকে ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাসরত প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

সোমবার (২৫ মে) নগরের বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। নগরের আকবরশাহ ঝিল ১, ২ ও ৩ নম্বর এলাকা, বিজয়নগর পাহাড়, শান্তিনগর পাহাড়, বেলতলীঘোনা পাহাড় থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

শনিবার রাতে জেলা প্রশাসক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে করেন। এসময় তিনি আকমল আলী ঘাট, রাসমনি ঘাট, ১ নং ঝিল সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনের চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন "আমরা এক হাজারের অধিক আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি এবং সেখানে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করেছি যেন আশ্রয় নেওয়া জনগণ দুর্ভোগে না পড়েন।"

তিনি বলেন, পাহাড়ে যাতে মানুষকে আর প্রাণ দিতে না হয় সেজন্যে কাজ করছি। মাইকিং থেকে শুরু করে সবাইকে সচেতন করার জন্য জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। শনিবার থেকে ঝুকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্যে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি।'

পরে আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি।

পাহাড়ে বসবাসরত জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধি, ভলান্টিয়ারদের জোর তাগিদ দেন। এসময় তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া জনগণের বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, আনসার বাহিনীকে নির্দেশনা দেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ছয়জন সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এতে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭৮৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও ১১৪০ টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, মোমবাতি, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন মজুদ রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আশ্রিত লোকের সংখ্যা ১০৪৬ জন, গঠিত মেডিকেল টিমের সংখ্যা ২২১টি এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ৬৯৬টি।


আরও খবর



মামলা করলেন এমপি আনারের মেয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার (২২ মে) রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলাটি করেন তিনি।

মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

তিনি বলেন, নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এখন তদন্ত-পূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এর আগে, বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বাবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করতে শেরেবাংলা নগর থানায় যান নিহত এমপি আনারের কন্যা মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন। ওই সময় তার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন।

তার আগে দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান এমপি আনারের কন্যা। পরে সেখানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। সাংবাদিকদের মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, আজ আমি এতিম হয়েছি, যার বাবা থাকে না তার কেউ থাকে না। বাবার সঙ্গে আমার ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে- আমি সেটা দেখতে চাই। আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। তবে আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের আমি দেখতে চাই। এ সময় বাবার হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

এদিকে, এমপি আনারের হত্যার ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমপি আনোয়ারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে বিস্তারিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাতে পারবে। আমরা আমাদের মিশনের মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। আমাদের মিশনও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক, মর্মান্তিক, অনভিপ্রেত। বিষয়টি তদন্তাধীন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা।

এদিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব রয়েছে। তারা আমাদের সব ধরনের কোঅপারেশন করছে। ভারত সরকারের যতটুকু দায়িত্ব তা তারা করছে। সম্পর্কের ফাটল ধরবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ এই ঘটনায় ভারতের কেউ জড়িত নয়। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে ইনফরমেশন তাতে আমাদের দেশের মানুষই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত।

এর আগে এমপি মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য ১২ মে ভারত গিয়েছিলেন। ভারতে যাওয়ার দুদিন পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে তার মেয়ে আমাদের জানালে আমাদের পুলিশ ইন্ডিয়ান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। আমরা আজকে সকালবেলা নিশ্চিত হয়েছি, ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে যে, তিনি খুন হয়েছেন। ভারতের পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুনের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে ধরা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমাদের তদন্ত চলছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ঝিনাইদহ সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা, সীমান্ত এলাকা। আনোয়ার সাহেব ওই এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পরে এই ঘটনাটি ঘটে। আমাদের পুলিশ এটা নিয়ে তদন্ত করছে। এই খুনের মোটিভ কী ছিল তা আমরা অচিরেই জানাতে পারব। ভারতের পুলিশ আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে তথ্য অনুযায়ী, তিনি কলকাতার একটি বাসায় পরিকল্পিতভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। খুনের মোটিভ নিয়ে আমাদের পুলিশ ও ভারতীয় পুলিশ কাজ করছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়েতে আমাদের যতটুকু করা দরকার তার সবই আমরা করছি।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মে কলকাতায় যান আনার। একজন অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম তার নাম গোপাল বিশ্বাস। গত ১৩ মে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভাড়া করা গাড়িতে ওঠেন আজিম। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
বিশ্ব মরুময়তা দিবস আজ

সোমবার ১৭ জুন ২০২৪




সুপার এইট নিশ্চিত করল আফগানিস্তান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে যাওয়ায় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল আফগানদের শেষ আটে পৌঁছানো, পাপুয়া নিউ গিনিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সেই কাজ করে ফেলল রশিদ খান, রহমানুল্লাহ গুরবাজরা।

নবিন উল হক, ফজলহক ফারুখিদের বোলিংয়ের সামনে সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাপুয়া নিউ গিনি, জবাবে ব্যাট করতে নেমে যথেষ্ট ভালোভাবেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে নিয়েছে আফগানরা। এই ম্যাচ জয়ের ফলে গ্রুপ সি থেকে তারা পৌঁছে গেল সুপার এইট স্টেজে। 

গত বছর ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে একাধিক বড় দলকে টেক্কা দিয়েছিল আফগানিস্তান। এমনকি অস্ট্রেলিয়াকেও প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলেন রশিদ খানরা। কিন্তু অভিজ্ঞতার কাছেই হারতে হয়েছিল তাঁদের। ওডিআই বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতার পুঁজি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে এসেছিল তারা।  এবার অবশ্যই তারা সফল। কিউয়িদের বিশাল ৮৪ রানের ব্যবধানে হারানোর পরই পথ মসৃণ হয়ে গেছিল। শেষ পর্যন্ত পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই এক ম্যাচ বাকি থাকতে সুপার এইট স্টেজে পৌঁছে গেল মহম্মদ নবি, গুলবদিন নাইবদের আফগানিস্তান।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংস। আফগানিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার ফজলহক ফারুকি। দুটি উইকেট নেন আরেক জোরে বোলার নবিন উল হক, একটি উইকেট পান নূর আহমেদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার তেমন নজর না কাড়লেও মহম্মদ নবি এবং গুলবদিন নাইব দলের জয় নিশ্চিত করেন।

৩৬ বলে ৪৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন আফগানিস্তানের গুলবাদিন নাইব। অলরাউন্ডার মহম্মদ নবি ১৬ রানে অপরাজিত থেকে পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এই গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ডকে টপকে যে আফগানিস্তান দল সুপার এইটে পৌঁছাতে পারে, সেকথা টুর্নামেন্ট শুরু আগে হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি অতি বড় আফগান সমর্থকও। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার দ্বারা অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়, সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন রশিদ খান, মহম্মদ নবিরা।

গ্রুপ সি-তে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এক্ষেত্রে নেট রান রেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও ওপরে রয়েছে তারা। তিন ম্যাচ ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আন্দ্রে রাসেলরা রয়েছেন। তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট উগান্ডার। তিন ম্যাচে ০ পয়েন্ট পাপুয়া নিউ গিনির, দু ম্যাচে ০ পয়েন্ট নিউজিল্যান্ডের।  ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান পৌঁছে গেল সুপার এইটে।


আরও খবর



কালো গাউনে নজর কাড়লেন বিদ্যা সিনহা মিম

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। নিজের রূপ, গুনে ভক্তদের মাঝে প্রতিনিয়ত মুগ্ধতা ছড়ান তিনি। সেটা হোক পর্দায় কিংবা পর্দার বাইরে।

অভিনয়ের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় এই তারকা। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করে থাকেন তিনি।

সম্প্রতি কালো গাউনে আলো-আধারের খেলায় মেতেছিলেন মিম। সেই ছবি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

গলায় নেকলেস, কালো গাউনে মোহমীয় রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। মিমকে কালো এই পোশাকে দেখে প্রশংসায় মেতেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।

কেউ লিখেছেন, ব্ল্যাক ডায়মন্ড। কেউ আবার শাকিব খানের লাগে উরাধুরা গানের কিছু লাইন লিখেছেন। কারো মন্তব্য, মিমের থেকে চোখ ফেরানোই দায়

সম্প্রতি ওপার বাংলার অভিনেতা জিতের সঙ্গে মানুষ সিনেমায় অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। এটি কলকাতায় তার পঞ্চম সিনেমা।

মিমের টালিউডে যাত্রা শুরু ব্ল্যাক ছবি দিয়ে। এরপর ইয়েতি অভিযান, সুলতান দ্য স্যাভিয়ার থাই কারি নামের আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।


আরও খবর