আজঃ সোমবার ২৪ জুন 20২৪
শিরোনাম

অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সুপার এইটে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

একদমই সহজ সমীকরণ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলেই সুপার এইটে স্কটল্যান্ড, এতে বাদ পড়বে ইংল্যান্ড। আর স্কটিশরা হারলেই শেষ আটে জায়গা করে নেবে ইংলিশরা। এমন সমীকরণে সহজ জয় পেয়েছে অজিরা। সহজ করে বললে, অজিদের কল্যাণেই সুপার এইট নিশ্চিত করলো ইংল্যান্ড।

রোববার (১৬ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের পুঁজি পায় স্কটিশরা। জবাবে ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় মিচেল মার্শ বাহিনী।

ইনিংস গোড়াপত্তনে নেমে ভালো শুরু পায়নি স্কটিশরা। অল্পতেই ফেরেন মাইকেল জোনস। তবে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলেন ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ও জর্জ মানসি।

এরপর মাত্র ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন ম্যাকমুলেন। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে মানসি ফিরলে ভাঙে তাদের ৪৮ বলে ৮৯ রানের জুটি। ফেরার আগে দুটি চার ও তিন ছক্কায় ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস সাজান এই ব্যাটার।

এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি ম্যাকমুলেনও। ফেরার আগে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। শেষ দিকে অধিনায়ক রিচি বেরিংটনের ঝোড়ো ৪২ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান করে স্কটল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অজিরা। এরপর মিচেল মার্শও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ম্যাক্সওয়েলকেও থিতু হতে দেয়নি স্কটিশরা। এক ছক্কায় ১১ রানে ম্যাক্সওয়েল ফিরলে ৬০ রান তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে অজিরা।

এরপর ৪৪ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টয়নিস। ইনিংসের ১৫তম ওভারেই নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ট্রাভিস হেড। অন্যপ্রান্তে বিধ্বংসী রূপে আর্বিভূত হন স্টয়নিস। ইনিংসের ১৬তম ওভারে মাত্র ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার।

দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রেখে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ বলে ৬৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হেড। অন্যপ্রান্তে স্টয়নিসও তার দেখানো পথেই হাঁটেন। ফেরার আগে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ বলে ৫৯ রানে ফেরেন এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার।

এরপর বাকি পথ পাড়ি দেন ম্যাথু ওয়েড ও টিম ডেভিড। ডেভিডের ১৪ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার জয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড।

নিউজ ট্যাগ: অস্ট্রেলিয়ার জয়

আরও খবর



রাবিতে এক রাতে হলের চার কক্ষে ছাত্রলীগের লঙ্কাকাণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

হলের সিট নিয়ে নেতিবাচক শিরোনামে সারাবছরই আলোচনায় থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। রুম ওয়ার্ক ও জয় বাংলা ব্লাড সার্ভিসের মত নানা নামে হলের শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল ও মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সিট ছেড়ে চলে যেতে চাপ দেওয়া হয়। কাউকে বের করে দেওয়া হয় জোরপূর্বক।

গতকাল রাতে (২৫ মে) শনিবার মাদার বক্স হলের ৪টি কক্ষে ঘটে লঙ্কাকাণ্ড। প্রথম ব্লকের ৪১৭ নম্বর রুমে এক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে নিজকর্মীকে তুলে দেওয়া, ২য় ব্লগের ৩১৯ নম্বর কক্ষে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, একই ব্লকের ৩২৫ নম্বর ও ৩য় ব্লকের ৩৪৯ নম্বর কক্ষে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত মার্কেটিং বিভাগের দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে ডাবলিং করে থাকার হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনা ঘটে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসানের নেতৃত্বে। তিনি সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের অনুসারী।

প্রায় ৭ বছর পর ছাত্রলীগের এই শাখাটির কমিটি ঘোষণা পর ক্যাম্পাসে প্রথম প্রবেশ করে সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব সিট বাণিজ্য বন্ধ করার ঘোষণা দেন।

এসময় রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সমস্যার নাম সিট বাণিজ্য। আজকে আমি রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি যদি আমাদের কোনো নেতাকর্মী সিট বাণিজ্যের সাথে নিজেকে যুক্ত করে, তাহলে হয় সে ছাত্রলীগ করবে, নয়তো আমি ছাত্রলীগ করব। আজ থেকে সিট বাণিজ্যের কবর রচনা ঘোষণা করলাম।

কিন্তু নতুন কমিটির সেই বক্তব্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল তবে বর্তমানে তার কার্যকারিতা হারিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। প্রতিনিয়ত হলের সিট দখল, শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেওয়া ও এক সিটে ডাবলিং করে থাকার হুমকি-ভয় দেখানোর অভিযোগ নৈমিত্তিক ঘটনা।

ভুক্তভোগী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ও মার্কেটিং বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, আমরা এখনো হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আমাদের মাস্টার্সের থিসিস এখনো বাকি আছে। অনেকের নিয়মিত ক্লাস হয়। একাডেমিকভাবে খুব চাপে আছি। এমন অবস্থায় আমাদের ডাবলিং করে থাকতে বলা হয়েছিল। আমরা সাধারণ সম্পাদক গালিব ভাইয়ের সাথে কথা বলে একটা সমাধানে এসেছি। আপাতত আমাদের কক্ষে হয়তো ডাবলিং করে থাকতে হবে না৷ কিন্তু ভয় বা একটা আতঙ্ক-শঙ্কা তো থেকেই যায়। 

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান বলেন, আমি ভেবেছিলাম তাদের মাস্টার্স শেষ। তারা শীঘ্রই হল থেকে চলে যাবে। তাই তাদের রুমে কিছু জুনিয়ারদের থাকতে বলেছিলাম। সবার সাথে কথা বলে আমি বুঝতে পেরেছি তারা এখনই হল ছেড়ে যাচ্ছেন না। তাই এখন আর কেউ তাদের রুমে যাবে না।

হলের ১ম ব্লকের ৪১৭ কক্ষের সোহেল আল মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে আরেক জনকে তুলে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ সে অনাবাসিক। তার হল কার্ড নেই।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, তিনি ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে হলের সিটে থাকছেন। অসংখ্যবার প্রাধ্যক্ষ বরাবর অনুরোধ ও আবেদন জমা দিয়েছেন হলের কার্ড করার জন্য। তখন প্রাধ্যক্ষ তাকে কার্ডের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং হলে থাকার মৌখিক অনুমতি দেন। কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা মিশকাত হাসান তার রুমে এসে দেখেছে কার্ড আছে কিনা এবং বলেছিল দ্রুত করে নিতে। প্রাধ্যক্ষ গত রবিবারে পুনরায় দেখা করতে বললেও শনিবার রাতে তার সিটে আরেকজনকে তুলে দেন হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের এই নেতা। তবে নতুন যাকে সিটে তুলে দেওয়া হয়েছে সেও কাউকে তার হল কার্ড দেখাতে পারেনি।

হল প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করার অধিকার তার আছে কিনা জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, এই বিষয়ে হল প্রভোস্ট আছে। আমার সভাপতি-সেক্রেটারি আছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। 

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের কাছে একাধিকবার ফোন ও সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মাদার বক্স হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান বলেন, এরকম কোন দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দায় হল প্রশাসন নিবে তবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীর দায় হল প্রশাসন নিবে না।

সার্বিক বিষয়ে এই হল প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, হলের কোন আবাসিক শিক্ষার্থী আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ না করলে তো আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না। অভিযোগ আসলে আমরা খুব দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করব।


আরও খবর



সেন্টমার্টিন দখল হচ্ছে সঠিক নয়, গুজব ছড়ানো হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করেনি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেন্টমার্টিন দখল হচ্ছে এমন তথ্য সঠিক নয়, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। গায়ে পড়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধানোর কোনো প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের। মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিনে খাদ্যবাহী জাহাজ নিয়মিত যাতায়াত করছে।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেন্টমার্টিনে যে গুলির ঘটনা ঘটেছে, সেটা করেছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনী সেটা করেনি।

তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।আমরা কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করিনি, করব না। মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি করছে বাংলাদেশ, আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।


আরও খবর



সেন্টমার্টিনে আমরা আক্রান্ত হলে জবাব দেবো: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সেন্টমার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবেএমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি নাগণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে মানবতার মা বলে অভিহিত করা হয়।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেনকোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উসকানি না দেই। উসকানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।

তিনি বলেন, আজকে দুনিয়ার বিভিন্ন সংস্থা, বড় বড় দেশগুলো আমাদের প্রশংসা করে কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের যে সাহায্যের পরিমাণটা ছিল, সেটা কিন্তু অনেক কমে গেছে। আমাদের এমনি অর্থনৈতিক চলমান সংকটে; আমরা নিজেরাই সংকটে আছি। আমাদের নিজেদেরই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের সন্তান-সন্ততি হয়ে সংখ্যা বাড়ছে। এই বোঝাটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে অভিবাসীরা যায়, তাদের আশ্রয় দেয়।

কাদের বলেন, এখানে দুনিয়ার বড় বড় দেশগুলো, যারা এ সংকট নিয়ে আজকে কথা বলে; আমাদের তো লিপ সার্ভিসের দরকার নেই! দরকার এ বোঝাটা আমাদের কাঁধ থেকে সরিয়ে নেওয়া। সার্বিকভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, তিনি সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেন।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে।

এ সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সাতদিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।


আরও খবর



সুপার এইটের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে যা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে কীভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করা হবে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-আইসিসি। তবে বিশ্বমঞ্চে সুপার এইটের লড়াইয়ের আগে ফের আলোচনায় বেরসিক বৃষ্টি প্রসঙ্গ। গ্রুপ পর্বে বৃষ্টি বাধায় মাঠে গড়ায়নি বেশ কয়েকটি ম্যাচ। পরিত্যক্ত হয়েছিল ম্যাচগুলো। এবার সুপার এইটেও একই শঙ্কা আছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের ম্যাচ তিনটিও আছে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ আটের সবগুলো ম্যাচই ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে। তবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে চোখ রাঙাচ্ছে সেখানকার বৈরী আবহাওয়া। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং অ্যান্টিগায় সুপার এইটের ম্যাচগুলো হবে। জুনের বাকি দিনগুলো এই ৪ জায়গাতেই বৃষ্টি সম্ভাবনা আছে।

স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্র বলছে, ব্রিজটাউনের আকাশ আগামী কয়েকদিন কালো মেঘে ঢাকা থাকবে। শুক্রবার (২১ জুন) অতিবৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে। এই ভেন্যুতে ওইদিন ম্যাচ খেলবে ভারত-আফগানিস্তান। আগামী সপ্তাহজুড়ে শেষ আটের বাকি তিন ভেন্যুতেও বৃষ্টির জোর সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে পূর্বাভাস-বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার

চলতি বিশ্বকাপে শুধু প্রথম সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। মূলত আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ম্যাচটি নির্ধারিত। এই ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে পয়েন্ট টেবিলের ভিত্তিতে ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হবে।

এদিকে সুপার এইটের জন্যও কোনো রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা নেই। ফলে ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হলে দুই দলই একটি করে পয়েন্ট পাবে। এতে ফের সমীকরণের মারপ্যাঁচে পরতে পারে বিশ্বকাপের ফেবারিট দলগুলো।

অন্যদিকে বৃষ্টি বাগড়ায় খেলায় বিঘ্ন হলে ফল নির্ধারণের জন্য প্রতিটি দলকে ন্যূনতম ৫ ওভার খেলতে হবে। তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ক্ষেত্রে তা হবে ১০ ওভার। আর রিজার্ভ ডে নেই এমন ম্যাচে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিএলএস পদ্ধতিতে ফল নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব। সুপার এইটে দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। গ্রুপ-১ এর শীর্ষ দল ২ নম্বর গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সঙ্গে খেলবে। অন্যদিকে ১ নম্বর গ্রুপের দ্বিতীয় দলের বিপক্ষে খেলবে ২ নম্বর গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা।

এই পর্বে গ্রুপ-১তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং আফগানিস্তান। এ ছাড়া গ্রুপ-২ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র সুপার এইটে খেলবে। এর আগে, বেরসিক বৃষ্টি বাগড়ায় গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

আগামী ২১ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ। ২২ জুন রাতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২৫ জুন সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার এইট পর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


আরও খবর