আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বন্যায় সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না, পানি নেমে যাওয়ার পর নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এদিকে গত বন্যায় প্লাবিত হয়ে কৃষিতে প্রায় ৯৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবারও সিলেটের বেশিরভাগ ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার মাঠে এখনো ফসল আছে ২০ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৭ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮২ হেক্টর আউশ ধান, ৮৫৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬১ হেক্টর বোনা আমন। আউশ ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলায়। এখানে ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ হেক্টর। সিলেট সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে ১ হাজার ৪৪ হেক্টরই প্লাবিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্লাবিত হওয়া আউশ ধানের মধ্যে বিশ্বনাথে ৮৬১ হেক্টর, গোলাপগঞ্জে ৭৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৫৬০, গোয়াইনঘাটে ৪১৫, জকিগঞ্জে ৩৫০, ওসমানীনগরে ৩১০, বিয়ানীবাজারে ৯০, কানাইঘাটে ৭৫, দক্ষিণ সুরমায় ৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৪০ ও বালাগঞ্জে ৫ হেক্টর রয়েছে। প্লাবিত হওয়া আউশ বীজতলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১৬০ হেক্টর, বিশ্বনাথে ১৫৪, সিলেট সদরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৯৫, দক্ষিণ সুরমায় ৮০, বিয়ানীবাজারে ৫৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৮,  কানাইঘাটে ৪২, বালাগঞ্জে ৩৫, ওসমানীনগরে ২৯, কোম্পানীগঞ্জে ২৭, জকিগঞ্জে ২৩ ও গোয়াইনঘাটে ৮ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট ৬ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি আছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার ১ হাজার ১২০ হেক্টর, সিলেট সদরে ৭২০, বিয়ানীবাজারে ৫৩০, জকিগঞ্জে ৪৬৫, গোলাপগঞ্জে ৪৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৪৮, দক্ষিণ সুরমায় ৪৩৫, বালাগঞ্জে ১৭৫, গোয়াইনঘাটে ১০৫, ওসমানীনগরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৮০, কোম্পানীগঞ্জে ৫২ ও কানাইঘাটে ২৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি প্লাবিত হয়েছে।

সিলেটের প্লাবিত হওয়া বোনা আমনের মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৮২ হেক্টর, কানাইঘাটে ৩৬, জকিগঞ্জে ১৮, দক্ষিণ সুরমায় ১১, জৈন্তাপুরে ১০ ও বালাগঞ্জে ৪ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট বোনা আমন আছে ১৬৭ হেক্টর জমিতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের মাসুদ আহমেদ জানান, কয়েকদিন আগের বন্যায় ৬০শতক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগে আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে, নিজ শ্রম বাদে ফসল রোপণ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক লোকমান আলী জানান, ধার-দেনা করে ৩০শতক কৃষিজমিতে সবেমাত্র আউশ ধান লাগিয়েছেন, লাগানোর একদিন পর বন্যার পানিতে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, বন্যায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। পানি নেমে গেলেই এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

 তিনি আরও বলেন, বুধবারের তথ্য অনুযায়ী জেলার মাঠে এখনও ফসল আছে ২০ হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৯ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৮ হাজার ৮৫৫ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ৯৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৫ হাজার ৬৬৪ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬৭ হেক্টর বোনা আমন।


আরও খবর



জেলেদের সহায়তার গরু ক্রয়ের টাকা মৎস্য কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

তালতলী উপজেলার ৩২ জেলেদের সরকারি সহায়তার গরু ক্রয়ের টাকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন ও ঠিকাদার জহিরুল আজাদ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলেরা এমন অভিযোগ করেন। শারীরিক ভাবে রোগা ও ছোট বাছুর হওয়ায় তারা গরু নেয়নি। এমন অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা গরুর শারীরিক অবস্থা দেখে গরু বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার তালতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে।

জানা গেছে, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সরকার তালতলী উপজেলার ৩২ জেলেকে প্রশিক্ষণ শেষে বকনা বাছুর বিতরণের উদ্যোগ নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় গরু ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহবান করে মৎস্য অধিদপ্তর। দরপত্র অনুসারে গরু ক্রয়ের দায়িত্ব পান রাজবাড়ী জেলার এএম এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদার জহিরুল আজাদ। দরপত্রে প্রত্যেক গরু ৩০ হাজার টাকা ক্রয়ের কথা থাকলেও ঠিকাদার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইনের যোগসাজসে ছয় মাসের বাছুর ও শারীরিকভাবে অক্ষম গরু ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করেছেন। ওই গরু মঙ্গলবার তালতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মৎস্য কর্মকর্তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় জেলেরা গরু শারীরিক অবস্থা ও ছোট বাছুর দেখে তারা গরু নিতে অপরগতা প্রকাশ করে অনিয়মের প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা গরু বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

চরপাড়া গ্রামের জেলে আল আমিন বলেন, জেলেদের জন্য গরু ক্রয় করতে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন ও ঠিকাদার জহিরুল আজাদ অল্প টাকার গরু ক্রয় করে আমাদের মাঝে বিতরণ করছিল। আমরা গরুর শারীরিক অবস্থা দেখে আনিনি।

তিনি আরো বলেন, এ গরু লালন পালন করে বাঁচানোই কষ্টকর। ঠিকাদার ও মৎস্য কর্মকর্তা অল্প টাকার গরু ক্রয় করে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করেছেন। এদের শাস্তি দাবি করছি।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন গরু ক্রয়ের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, গরু ক্রয়ের আমি অনিয়ম করিনি। অনিয়ম করে থাকলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করেছে।

এএমএন্টারপ্রাইজের মালিক জহিরুল আজাদ বলেন, দরপত্র অনুসারে গরু ক্রয় করা হয়েছে। কোন অনিয়ম হয়নি।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহসিন বলেন, দরপত্র অনুসারে গরু ক্রয় করা হয়নি। ফলে ঠিকাদারের কাছে গরু ফেরত দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, গরুর বাছুরগুলো অত্যান্ত নাজুক। এ গরু আমার পছন্দ হয়নি। তাই গরু বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।


আরও খবর



মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদ ব্যাহত হয়েছে, এ তথ্য ঠিক নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদুল আজহায় এক কোটি ৪০ লাখের বেশি কোরবানি হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বেশি। মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদ ব্যাহত হয়েছে, বিএনপির এ তথ্য ঠিক নয়।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনা করে বিএনপিসহ তাদের সমর্থকরা দেশটাকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। মূল্যস্ফীতি আছে তবে এটা কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঈদের দিনেও সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অপপ্রচার বন্ধ থাকেনি অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

মিয়ানমার ইস্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্বভৌমত্বে কোথায় আঘাত হানা হচ্ছে? অনুপ্রবেশকারীরা চলে গেছে জাহাজও সরে গেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছে শেখ হাসিনা এবং দুদকেও স্বাধীন করেছেন তিনি, যতই প্রভাবশালী হোক, দুর্নীতি করলে কারও ছাড় নেই। বিএনপি শাসনামলে এমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।


আরও খবর



রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন সুমাত্রা ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ভাই নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- শাফিন (২১) ও রাফি (১৬)।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শাফিন ও রাফি মোটরসাইকেলে করে ইসিবি চত্বর থেকে কালসী যাচ্ছিল। এর মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন সুমাত্রা ফিলিং স্টেশন পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এত করে দুই ভাই মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে শাফিন মারা যায় এবং শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাফি মারা যায়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ট্রাক এবং চালককে আটক করা যায়নি। ঘটনার পরপর চালক ট্রাক নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আর নিহতদের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া তাদের মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিহতদের চাচা মনির হোসেন জানান, নিহতদের বাসা মিরপুর বাউনিয়াবাঁধ এলাকায়। রাতে শাফিন ও তার ছোট ভাই রাফি মোটরসাইকেল চালিয়ে কালশী যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেলে তেল আনতে। ইসিবি চত্বর দিয়ে কালশী যাওয়ার পথে একটি মাটির ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে দুজনে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদের বাবার নাম জহিরুল ইসলাম পনির। তাদের মা জর্ডান প্রবাসী। তাদের শুধু দুটি ছেলে ছিল। শাফিন ডেলিভারিম্যানের চাকরি করতেন আর রাফি গাড়ি চালক ছিল। দুর্ঘটনার সময় মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল শাফিন।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হবে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর তিনটি এবং শেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টার প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। এরপর সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো.জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন মিরপুরের মহতামিম জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন। বেলা পৌনে ১১টার সর্বশেষ জামাতের ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো, আক্তার মিয়া।

পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম। আগামী সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।


আরও খবর



ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন মার্ক রুট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। ন্যাটো শরিকদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর তাকে মহাসচিব করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে ন্যাটোর নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে থাকা রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইওহানিস নিজের নাম প্রত্যাহার করে মার্ক রুটকে ন্যাটো জোটের প্রধান হিসেবে সমর্থন করেন।

রোমানিয়ার সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা কাউন্সিল ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেওয়ায় ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার রাস্তা সহজ হয়ে যায় ৫৭ বছর বয়সী মার্ক রুটের জন্য।

ন্যাটের বর্তমান মহাসচিব স্টলটেনবার্গের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুলাইয়ে। তিনি নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের জুলাইয়ের তার মেয়াদ শেষ হয়। রাশিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধের মুখে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব দেওয়া হয়। যার মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ে। এরপর স্টলটেনবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন রুট।

১৩ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার পর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন রুট। নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী।

জোটের মধ্যে অভিযোগ ওঠে, রুট অভিবাসীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন। এর ফলে চার দলীয় জোট ভেঙে যায়। এরপর নির্বাচনে দক্ষিণপন্থিরা সবচেয়ে বেশি আসন পায়। রুটে তার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় হারের মুখে পড়েন। তারপর থেকে তিনি কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করছেন। কারণ দক্ষিণপন্থি দল এখনো সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে।

২০২৩ সালে রুট তার অবসর ঘোষণার কথা ভুলে ন্যাটোর শীর্ষ পদে বসার ইঙ্গিত দিতে থাকেন। তিনি ন্যাটো দেশগুলোর প্রধানদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার সূত্রে তাদের আগে থেকেই চিনতেন ও জানেন রুট। রুটে হলেন ইউক্রেনের একনিষ্ঠ সমর্থক। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতেও তার অসুবিধা হয়নি। পরে ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশও তাকে সমর্থন জানায়।

তবে হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থি জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সমর্থন পেতে তার কিছুটা দেরি হয়। অরবানের সঙ্গে রুটের সম্পর্ক আগে খুব একটা মধুর ছিল না। রুটেকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়, তিনি যতদিন ন্যাটোর নেতৃত্ব দেবেন, ততদিন হাঙ্গেরি ন্যাটোর সীমার বাইরে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না। অরবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুব ভালো এবং তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।

১৯৪৯ সালের ৪ জুলাই ন্যাটো প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে এর সদস্য ৩২টি। রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের মধ্যে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে। প্রথমে ফিনল্যান্ড সদস্যপদ পায়। তুরস্কের দীর্ঘ আপত্তি শেষে সুইডেন চলতি বছরের ৮ মার্চ ন্যাটোর সদস্য পদ পায়।


আরও খবর