আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের দায়ের কোপে নিহত বৃদ্ধা, আহত ৫

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক নারী বিদ্বেষী যুবকের দায়ের কোপে আরজুদা (৭৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে শহরের ভাদুঘর টিএন্ডটি পাড়া এলাকায় রেল লাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আরো ৩ নারী ও ২ পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, ভাদুঘর এলাকার মির্জা জাহান মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া (৫৫), হানিফ মিয়ার স্ত্রী খালেদা বেগম (৪৪), মরহুম আবুল হোসেনের ছেলে সাজু মিয়া (৫০), আব্দুল হেকিমের ছেলে মোখলেছ (৪৫) ও তাহের মিয়ার মেয়ে নয়ন মনি (১৪)। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক শিহাবকে আটক করেছে। সে ভাদুঘর এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিহাব নারী বিদ্বেষী। সে রাস্তায় চলাফেরা করার সময় মানুষদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত ও টাকা চাইত। টাকা না দিলে সে তাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করত। বুধবার সে ৪জন মহিলাকে একত্রে হেটে যেতে দেখে তাদের উপর চড়াও হয়। পরে সে তার হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাথারি কুপাতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে রক্ষা করতে এলে তারাও হামলায় আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, শিহাব নারী বিদ্বেষী ও উগ্রপন্থি। ঘটনার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘাতক শিহাব সুস্থ হওয়ার পর ঘটনার আরো তথ্য জানা যাবে।


আরও খবর



আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর



কুয়াকাটায় পিজ্জা কিনেই হেলিকপ্টারে চড়ছেন পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

ভ্রমণ বিলাসীতার সখ নেই এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভাড়। তবে আধুনিক যুগে সেলফি প্রতিযোগিতায় সখ পূরণ করেন অনেকেই। আর তাও যদি সাধ্যের মধ্যে কম খরচে একটি পিজ্জা কিংবা রামেন কিনে খেলেই বিশালাকৃতির হেলিকপ্টারে চড়ে সখের সেলফি তোলা যায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।

তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না আসা দর্শনার্থীরা। ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ডিসি পার্কে প্রতিদিন হেলিকপ্টারে চড়তে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সেলফিবাজ সৌখিন পর্যটকরা।

বিকল্প চিন্তাধারা নিয়ে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হেলিকপ্টারের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ আল-আমিন কাজী। যা আদতে একটি ভ্রাম্যমাণ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। পটুয়াখালীর বড়বিঘাই এলাকার এই উদ্যোক্তা ২০২৩ সালে কৃত্রিম হেলিকপ্টারেটি নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পর্যটকদের নজর কাড়ছেন।

তবে সম্প্রতি সময়ে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক পার্কে ভ্রাম্যমাণ এই স্থাপনাটি নিয়ে আশার পর থেকেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। এই হেলিকপ্টারে চড়েই মিলছে সুস্বাদু পিজ্জা, রামেন ও পাস্তাসহ বাহারি সব চাইনিজ খাবার। তাই এই রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের পাশাপাশি একটি সখের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন দর্শনার্থীরা। আবার হেলিকপ্টারটির সামনে দাঁড়িয়েই কেবল সখের সেলফি তুলছেন সব বয়সী মানুষ।

ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মিন্টু গাজী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রকৃতি এখন কিছুটা শীতল। তাই তিন বন্ধুকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হেলিকপ্টার দেখে প্রথমে দৌড়ে কাছে যাই। পরে দেখি মধ্যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।

তিনি বলেন, হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম হেলিকপ্টার।

সুরুজ-আকলিমা দম্পতি বলেন, বিচে হাটার সময় আচমকা স্থাপনাটি দেখতে পাই। পরে আমাদের দুই সন্তান এখানে ছবি তোলার জন্য খুবই উৎসাহিত ছিল। তাই মধ্যে বসে রামেন খেয়ে ছবি তুলেছি। খাবারের মানও মোটামুটি ভালো ছিল।

ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আল-আমিন বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকাটা মুশকিল। তাই বিকল্প চিন্তা নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু করার কথা ভেবেই এটি নির্মাণ করি। পাশাপাশি ৯ জন বেকার যুবকের কর্মস্থান হয়েছে। তারা এখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এর আগে পটুয়াখালী এবং বরগুনাতে হেলিকপ্টারটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা এবং বিনোদন দেওয়াটাই মূললক্ষ্য।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা কুয়াকাটায় স্থাপনাটি নিয়ে আসার কথা বললে আমি তাদের অনুমতি দিয়েছি। এখন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।


আরও খবর



ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো: গ্রেপ্তার ৯০০

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।

গত ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে অন্তত ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরপর থেকে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শিবির স্থাপন করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ থেকে ২৯০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র উৎপাদনসহ নানা উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।


আরও খবর



ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্প: জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এগোচ্ছে না কাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল ২৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৬ লেন প্রকল্পে গতি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চে কাজ শুরু করে। কিন্তু গেল ১৪ মাসে সিলেট অংশে ১ শতাংশ জমিও বুঝে পায়নি তারা।

যদিও প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রত্যাশী সংস্থাকে হস্তান্তর করতে হবে। অথচ ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ৪০৫ দিন।

সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় জানান, জমি বুঝে না পাওয়ায় ঠিকাদার শুধু যেখানে সরকারি জমি আছে সেখানেই কাজ করছে। গত ১৪ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সিলেট ১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এটা কাম্য নয়। এ প্রকল্পে গতি আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নজর দিতে হবে। কারণ তিনি যেদিকে নজর দেন সেই প্রকল্পই দ্রুত ও সুন্দরভাবে শেষ হয়।

জানা যায়, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট সফরকালে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক ৬ লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬৫ কিলোমিটার এই সড়কের ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে।

ঢাকা থেকে তামাবিল পর্যন্ত সড়কটি সাতটি জেলা অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে এডিবি বাকি ২৫ শতাংশ সরকার। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ১৩৭১ একর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৬৯.০৯ একর, নরসিংদীতে ১৮২.২৪ একর, কিশোরগঞ্জে ১২.৩৫ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭.১৯ একর, হবিগঞ্জে ৩৯২.৬৬ একর, মৌলভীবাজারে ২১.২১ একর। সবচেয়ে দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সড়ক সিলেটে পড়েছে। সে কারণে এ জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬২৪ একর।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, জেলার শেরপুর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়। এরমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। যেখানে সরকারি জমি রয়েছে শুধু সেখানেই কাজ করতে পারছে তারা। এক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে, অন্যটি মে থেকে। শর্ত অনুযায়ী ২৭০ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ১ শতাংশ ভূমিও পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় তৃতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাতে ১৪ মাস শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫ শতাংশ বলে দাবি তার।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধানের। তার মতে, এই মুহূর্তে যেসব স্থানে সরকারি জমি রয়েছে সেসব স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবুও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে সেসব জটিলতা দূর করা হচ্ছে।

জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এক কিলোমিটারে জমির মালিকানা থাকে প্রায় ১ হাজার জনের। এদের মধ্যে কেউ আপত্তি উত্থাপন করলেই পুরোটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জমি হস্তান্তর শুরু করতে আরও ৬ মাস লাগবে বলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান।


আরও খবর



বান্দরবানের বাকলাইতে দুই ‘কেএনএফ’ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তবর্তী বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কেএনএফ সদস্যের।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে রেমাক্রী ইউনিয়নের বাকলাই এলাকায় মৃতদেহ দুটি পাওয়া যায়। তাদের পরনে কেএনএফের পোশাক থাকায় ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যের। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে রুমা ও থানচির বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা কে বা কারা সে বিষয়ে জানা না গেলেও কেএনএফের পোশাক পরিহিত বলে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায়।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছি। আমরা মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। জায়গাটি দুর্গম হওয়ায় পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে পারব।’

প্রসঙ্গত, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা ও থানচিতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ধরতে পরিচালিত হচ্ছে যৌথ অভিযান। এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর