আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলতে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ মাঠে আজ সকাল ১১টায় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সমাবেশ পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রমিকনেতা সুমন মৃধা। পুলিশি বাধার কারণে সমাবেশ শুরু হতে বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে শ্রমিকদের দৃঢ়তায় পুলিশ মাঠ ত্যাগ করে রাস্তায় অবস্থান নিলে সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম, কেন্দ্রীয় সংগঠক লিটন নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হাকিম মাইজভান্ডারি, ছাত্রনেতা ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন মেহনতি মানুষের রুটি-রুজি বন্ধ করার সকল পাঁয়তারা প্রতিহত করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স আদায় করা হবে।

সমাবেশ থেকে সকল বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলতে দেয়ার দাবিতে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশ শেষে পূর্ব নির্ধারিত শ্রমিকদের গণমিছিল অনুষ্ঠিত করতে গেলে পুলিশ পুনরায় বাধা প্রদান করে। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শ্রমিকদের মিছিল এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাটারিচালিত যানবাহন আটক ও হয়রানি না করার আশ্বাস প্রদান করা হয় এবং মিছিল না করার জন্য অনুরোধ জানায়। পুলিশের আশ্বাসের ভিত্তিতে নির্ধারিত গণমিছিলের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। সকল দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী সপ্তাহে আবারও রাজপথে কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।


আরও খবর



দোহারে হাট কাঁপাবে টিসিএল এগ্রো ডেইরী ফার্মের গরু

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার দোহার উপজেলায় কোরবানি যোগ্য দুই শতাধিক পশু প্রস্তুত করেছে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম।

তাই শেষ সময়ে হাটে তুলতে বিভিন্ন জাতের পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরু মোটাতাজা করতে কোন রকম রাসায়নিক জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং অর্গানিক উপায়ে গরুগুলোর খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এসব পশু দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা।

আগে ভাগে অনেকে খামারে গিয়ে কোরবানির পশু পছন্দ করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে বুকিং দিচ্ছেন ক্রেতারা। আবার অনেকে খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের পশু।

ঢাকার দোহার উপজেলার বানাঘাটা এলাকায় অবস্থিত টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। মাত্র ২টি গরু দিয়ে ২০২০ সালে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফাম কর্ণধার তানভীর আহমেদের বাবা ও দাদার কৃষি কাজে জড়িত থাকার অনুপ্রেরণায় শুরু হয় ফার্মটি।

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুত করেছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের প্রায় দুই শতাধিক ষাঁড় গরু। ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই শাহীওয়াল, দেশী, ফিজিয়ান, গির ও হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ানসহ ৫ জাতের ষাড় এখানে লালন পালন করা হচ্ছে। আর এসব ষাঁড় পরিচর্চায় সার্বক্ষনিক ২ জন প্রতিষ্ঠিত পশু চিকিৎসক, একজন প্রাণিসম্পদ অফিসারসহ ২৫জন অধিক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। সকাল থেকে শুরু হয় তাদের পরিচর্চার কাজ।

টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের খামারে ২ শতাধিক কোরবানীর পশু রয়েছে। এরই মধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের খামারে ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু রয়েছে। দামও ক্রেতাদের সামর্থের মধ্যে। সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা দামের গরু আছে। সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা। লাইভ ওয়েট ২৫০ কেজি ৮০০ কেজির অধিক।

তিনি বলেন, আশা করছি এবারের ঈদে বিক্রি ভালো হবে। ইতোমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে এবং আমাদের কিছু গরু বুকিং হয়ে গেছে। বাকিগুলোও আশা করছি ঈদের আগে শেষ হয়ে যাবে। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা খামারের শতভাগ মানসম্পন্ন গরু দেখতে এবং বুকিং দিতে ভিজিট করছে।

টিসিএল এগ্রো ফার্মেও স্বার্বখনিক ডাঃ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এ খামারে বায়োসিকিউরিটি হাইজিন এবং সার্বক্ষণিক পরিচর্চার বিষয়গুলো মনিটরিং করার জন্য আধুনিক সার্ভিলেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে স্মার্ট সিষ্টেম চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা সকল পশুগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করতে পারছি।

দোহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন বলেন, দোহার উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ প্রান্তিক খামারি তাদের গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। চাহিদার তুলনার চেয়েও এবার বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশুর কোন ঘাটতি হবে না।


আরও খবর



বর্ষায় রান্নাঘরের যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরম যদিও কমেনি তেমন, তবে বর্ষাকাল তো শুরু হয়ে গেছেই। মাঝে মাঝে দুই-এক পশলা বৃষ্টি এসে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেকথা। বর্ষাকালে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। তেমনই খেয়াল রাখতে হবে রান্নাঘরের কিছু বিষয়েও। এসময় ফ্লু, অন্ত্রের সমস্যা এবং জ্বর সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রজনন স্থল হয়ে ওঠে। এসময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো রান্নাঘর। ক্রমাগত রান্না এবং পানির প্রবাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও স্যাঁতসেঁতে করে তোলে। যা অনেক সময় খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, আপনার রান্নাঘরকে সতেজ এবং নিরাপদ রাখার কিছু সহজ উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রান্নাঘরের চিমনি এবং এক্সজস্ট ফ্যান পরিষ্কার করুন: উচ্চ তাপে রান্না করলে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, তাই বিশেষজ্ঞরা রান্নাঘরে আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। তবে বর্ষাকালে এমন পরিবেশ বজায় রাখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে এক্সজস্ট ফ্যান এবং চিমনি কাজে আসে। বর্ষাকালের আগে এই যন্ত্রপাতিগুলোকে পরিষ্কার করুন যাতে এটি আরও ভালোভাবে কাজ করে।

এয়ার টাইট বয়াম ব্যবহার করুন: বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার লবণ এবং চিনির বয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে মসলাগুলোকে আর্দ্রতা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে, এবং সেইসঙ্গে আপনার খাবারের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধিকে আরও উন্নত করতে এয়ার টাইট কাঁচের বয়াম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিরাময় মসলা হাতের কাছে রাখুন: বাঙালির রান্নাঘর হলো বিভিন্ন ধরনের মসশলার ভান্ডার। সেগুলো রান্না ছাড়াও অনেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনো আদা ইত্যাদি মসলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার মৌসুমী স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে কাজ করতে পারে। তাই এ ধরনের মসলা হাতের নাগালেই রাখুন।

সিঙ্ক পাইপ পরিষ্কার করুন: আপনার রান্নাঘরের লুকানো জায়গাগুলোতে, বিশেষ করে সিঙ্কের পাইপ এবং ড্রেনে যেন কোনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ এসব স্থান থেকে মশা এবং মাছি এসে রান্নাঘর এবং সেখানে থাকা খাবারকে দূষিত করে। সুতরাং, বর্ষাকাল পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।

পর্যাপ্ত মৌসুমি ফল ও সবজি সংরক্ষণ করুন: মৌসুমি খাবারের গুরুত্ব আমাদের অজানা নয়। মৌসুমি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত বর্ষাকালীন ফল এবং শাক-সবজি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, আপনার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করুন এবং সেই অনুযায়ী খাবার কিনুন।

নিউজ ট্যাগ: রান্নাঘর

আরও খবর



যশোরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শা উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে প্রান্তি খাতুন নামে (৬) বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার বেলা ১২ টার সময় খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। প্রান্তি নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের প্রাবাসী সোহাগ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় এসএম গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরে খাটের কাছে বসা ছিল প্রান্তি। এ সময় তার হাতে বিষধর একটি সাপ কামড় দিয়ে চলে যায়। প্রান্তি চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। তার হাতের ক্ষতস্থানের ওপরে বেঁধে তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে প্রথমে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান্তির মৃত্যু হয়।

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, ছোট মেয়েটি সাপের কামড়ে মারা গেল। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের পাশাপাশি সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি।


আরও খবর



দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি এখন এলে কোথায় থেকে?

বুধবার (২৬ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে। রোকসানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। অপরদিকে ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনের মধ্যে একজন নারীর লাশ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতে এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একই রকম কিনা জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান।

পরে এবায়দুল হকসহ আত্মীয়-স্বজন ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসের সঙ্গে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান। উপস্থিত পারস্পরিক আলোচনায় উপপরিদর্শক প্রতুল দাসকে তারা রোকসানার লাশ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের লাশ হস্তান্তর করে। ওইদিন বাদ আসর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণ পাড়ে তার লাশ দাফন করা হয়।

লাশ দাফনের ৯ দিন পর গত ২৬ জুন বুধবার বিকেলে ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ দাফন করা রোকসানা সশরীরে বাড়িতে হাজির হলে আৎকে উঠেন সবাই। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ির উঠানে আশেপাশের উৎসুক মানুষ তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় নারী-পুরুষ তাকে একবাক্যে জিজ্ঞেস করে, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথায় থেকে আসলে? তখন সে বলতে থাকে, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উল্টো এখন রোকসানাই ভাই এবায়দুল হক ও সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছে, আমাকে ভেবে তোমরা কোন নারীকে দাফন করেছ, কি তার পরিচয়?

ফিরে আসা রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রামে ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। ২৬ জুন বুধবার বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমিতো জীবিত ফিরে আসলাম।

ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, উদ্ধার করা লাশটি বিকৃত ছিল। এবায়দুল হক ও তার স্বজনরা উদ্ধারকৃত লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু তাদের বোন সশরীরে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করব।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, তরুণী নিখোঁজ, উদ্ধার, দাফন ও আবার ফিরে আসার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। খবর নিয়ে দেখব-আসলে কি ঘটেছে।


আরও খবর



নরসিংদীতে পিকাপ ও কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার মাহমুদাবাদ নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী কাভার্ডভ্যান-পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন চালক নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পিকাপের চালকের সহকারী। ঘটনার পর থেকে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার জোরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ৩ টায় যান চলাচল শুরু করে।

শুক্রবার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদের নামাপাড়া ঢাকা সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো বাচ্চু মিয়া (আনুমানিক ৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত ফয়সাল (২৩) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার মুদ্রম এলাকার করিম মিয়ার ছেলে। তারা পিকাপের চালক ও চালকের সহকারী ছিলেন। গুরুতর আহত এক পিকাপের চালকের সহকারীকে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে চেড়ে আসা মাল বুজাই কুরিয়ার সার্ভিসেস একটি কাবার্ডভ্যান মহাসড়কের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিখ (ভৈরব) থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটি গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই পিকাপের চালাক ভেতরে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় পিছনে থাকা যাত্রীবাহী লেগুনা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে লেগুনার সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর থেকে কাবার্ডভ্যান ও লেগুনার চালক পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত পিকাপের চালকের সহকারীকে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও ভৈরব ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা সকালে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রাকের ভেতর চাপা পরে আটকা পড়া নিহত চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ভৈরব হাইওয়ে থানার নিয়ে আসা হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রাক দুটো উদ্ধার করে ভৈরব হাইওয়ে থানার জব্দকরে নিয়ে আসে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে সিএনজিসহ নিষিদ্ধ যানবাহন পুলিশের সামনেই সময় অসময়ে চলাচল করে। সিএনজির কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে। কিছুদিন পর পর ছোট বড় দুর্ঘটনায় মানুষ মারাও যায়। এ যেন দেখেও দেকার কেউ নেই। এই রখম দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি চাই।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো রাশেদ বলেন, বেলা ১টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ দেড় ঘন্টার চেষ্টায় চাপাপড়া নিহত চালকের মরদেহ উদ্ধার করি। লাশ ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভৈরব হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাকের আহমেদ বলেন, বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘদিন দেড় ঘন্টার চেষ্টায় পিকাপে চাপা পড়া চিহ্ন বিচিহৃ চালকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। তিনটি গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি। এ সংক্রান্ত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত ছয় মাসে ওই এলাকায় একই স্থানে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত হন। এর আগেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় পাঁচজন সবজির ক্রেতা-বিক্রেতাসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর