আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার হলে কী করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শুধু রাসেলস ভাইপার নয়, যে কোনো সাপের কামড়ের শিকার হলেই ওঝার কাছে যাওয়া যাবে না বলে জোর পরামর্শ দেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফা-তু-জো খালেক মিলা (জোহরা মিলা)।

তিনি বলেন, ওঝার কাছে না গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করতে হবে।

এক্ষেত্রে সম্ভব হলে যে সাপ দংশন করেছে, তা চিহ্নিত করার জন্য সেই সাপের ছবি তুলে স্থানীয় বন কর্মকর্তা ও চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শও দেন জোহরা মিলা।

এদিকে চিকিৎকদের মতে, রাসেলস ভাইপারের কামড়ালে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা অস্বাভাবিক ফুলে ওঠে। তাছাড়া রাসেলস ভাইপারের দংশনের পর চিকিৎসা নিতে দেরী হলে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শক, পেশী প্যারালাইসিস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তক্ষরণ এবং কিডনি অথবা রেনাল ফেইলিয়র।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান তারিক বলেন, রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার ব্যক্তির কিডনি দ্রুত অকেজো হতে শুরু করে। শরীর জ্বালাপোড়া করার পাশাপাশি দংশনের স্থানে পচন ধরে।

একইসঙ্গে দংশনের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা দেওয় না হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

সাপটির দংশনের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে চিকিৎসক আরও বলেন, রাসেলস ভাইপারের এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা কাজ করে না।

২০১৫ সালের দিকে আমরা প্রথম রাসেলস ভাইপারে কামড়ানো রোগী পেয়েছিলাম। সে সময় আক্রান্ত হাত-পা কেটে ফেলেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ।


আরও খবর



নোয়াখালীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বিএনপি নেতা নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালী শহরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মো. আজাদ (৫০) নামের বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মাইজদী-সোনাপুর মহাসড়কের নোয়া কনভেনশন সেন্টার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আজাদ নোয়াখালী শহরের গোপাই এলাকার বাসিন্দা ও পৌর বিএনপির ছয় নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় মানুষ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে আজাদ ওই এলাকায় মাইজদী-সোনাপুর মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে দুর্ঘটনার স্থান থেকে একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মুছা বলেন, ঘটনার পরপরই মোটরসাইকেল ফেলে চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় এসবির ইকুইপমেন্ট দ্বারা সুইপিং করা হবে। ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।

তিনি বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ, ড্রোন পেট্টোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশ ছাড়াও ডিবি, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কোনো দাহ্যবস্তু নিয়ে ঈদের জামাতে আসা যাবে না।

জঙ্গি তৎপরতার আগাম খবর নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও ডিএমপি পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

এ ছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া যেন কোনোভাবে পাচার না হয় সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট থাকবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদী। পাউবোর তথ্য মতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছাতক পৌরশহরের বাগবাড়ী, মন্ডলীভোগ, হাসপাতাল রোড, তাঁতিকোন, বৌলা, চরেরবন্দ, মোগলপাড়া, ঢাকাইয়া বাড়ি, লেবারপাড়া, পাটনীড়া, কুমনা, শ্যামপাড়াসহ আবাসিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বসবাসরত মানুষজন। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রাথমিক সব ব্যবস্থা রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

ছাতকসহ পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই ছাতকের বহু গ্রামীণ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

ছাতক পৌর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ আমান বলেন, ২২ এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। আমার ২ মেয়ের কেউ সাঁতার জানে না। কী হবে এখনো জানি না।

বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামি আহমেদ বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদেই আছি। কিন্তু আমাদের গবাদি পশু নিয়ে পড়েছি বিপাকে। আমাদের মতো তারাও না খেয়ে আছে।

ছাতক উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিসহ অবস্থায় দিন পার করছে। উপজেলার ইছামতি-ছনবাড়ীবাজার, শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-সুনামগঞ্জ, ছাতক-দোয়ারাবাজার  সড়কের বিভিন্ন নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ছাতক পৌরসভারসহ নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, জাউয়া, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, দক্ষিণ খুরমা, ভাতগাঁও, দোলারবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় সকলকে মানবীয় কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



সিভাসুর গবেষকরা তৈরি করলো প্রোটিনসমৃদ্ধ কাঁঠালের চিপস

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাজারের হরেক রকম মুখরোচক চিপসের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে মানুষ যখন দুশ্চিন্তায়, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা জাতীয় ফল কাঁঠাল থেকে তৈরি করলেন প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস।

সিভাসুর ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপস ১০০ গ্রামের প্যাকে পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে স্থাপিত সিভাসু ফুড আউটলেট

সিভাসুর এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ও কাঁঠালের চিপসের প্রধান প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুল হক জুয়েল বলেন, 'আমাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। কিন্তু বাজারে প্রচলিত যেসব চিপস পাওয়া যায় তা মূলত কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ। কাঁঠাল যেহেতু প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল, তাই চিপসের মাধ্যমে মানুষের প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করার প্রয়াসে আমাদের এ উদ্যোগ।

তিনি আরও বলেন, কাঁঠাল একটি দ্রুত পচনশীল মৌসুমি ফল। কিন্তু এই চিপস তৈরির ফলে কাঁঠালের অপচয় যেমন রোধ হবে, তেমনি সারাবছরব্যাপী কাঁঠালের পুষ্টিও পাওয়া যাবে। এছাড়াও অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ চিপসে যেখানে অ্যাক্রিলামাইড (কারসেনোজেনিক পদার্থ-যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়) থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, সেখানে এই কাঁঠালের চিপসে অ্যাক্রিলামাইড থাকার চান্স একেবারেই নগন্য।

চিপসটি সম্পর্কে সিভাসুর কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল বলেন, কাঁঠাল একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মাঝে কাঁঠাল খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা যাচ্ছে। আশাকরি, কাঁঠালের চিপসের মতো এমন আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে এই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফলটি মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতার বলেন, 'খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা চেষ্টা করে আসছি। আর কাঁঠাল থেকে প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস তৈরি আমাদের সেই প্রচেষ্টারই অংশ। আশাকরি, ভবিষ্যতেও আমরা উদ্ভাবনী ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখতে পারবো।

সম্প্রতি সিভাসু ফুড আউটলেট-এ প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপসের যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল। ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটি অ্যান্ড নিউট্রিশন) প্রফেসর ড. শিরীন আক্তার, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস এবং পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম।


আরও খবর



ঈদে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কোরবানির ঈদ মানেই গরু, খাসির মাংসের নানা পদ খাওয়া। অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়ার কারণে অনেকেই উৎসবের এ দিনগুলিতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ সময় সুস্থ থাকতে খাদ্য গ্রহণে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চলা জরুরি।

ভেবেচিন্তে খাদ্যতালিকা তৈরি করুন :দিনের খাদ্যতালিকতায় প্রোটিন, শাকসবজি এবং গোটা শস্য যাতে থাকে তা নিশ্চিত করুন। শুধুমাত্র মাংস না খেয়ে শরীর যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় সেজন্য বাড়তি কিছু খাবার রাখুন।

চর্বিহীন মাংস বেছে নিন: গরু- খাসির মাংস খান তবে চর্বিছাড়া। মাংসে লেগে থাকা অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলুন। অস্বাস্থ্যকর চর্বি কমাতে ভাজার পরিবর্তে গ্রিলিং, বেকিং বা স্টিমিং করে মাংস খেতে পারেন। চর্বিহীন মাংস কেবল প্রয়োজনীয় প্রোটিনই সরবরাহ করে না বরং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

শাকসবজি যুক্ত করুন: শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। উৎসবের দিনগুলোতে মাংসের নানা পদের পাশাপাশি সবজির পদ, সালাদ রাখুন। এতে খাবারে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

ছোট প্লেটে খান: বেশি খাওয়ার লোভ এড়াতে খাওয়ার জন্য ছোট প্লেট ব্যবহার করুন।

পানি ও পানীয় : সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। হাইড্রেটেড থাকা হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। পানি, ভেষজ চা, ফলের রস রাখুন খাদ্যতালিকায়।

চিনিযুক্ত খাবার এবং ডেজার্ট সীমিত করুন: মিষ্টান্ন ঈদ উদযাপনের একটি প্রধান উপাদান। তবে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। খেজুর বা মধুর মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি দিয়ে তৈরি ডেজার্ট খেতে পারেন। শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে দই রাখতে পারেন।

মনোযোগ দিয়ে খাওয়া: ধীরে ধীরে ও মনোযোগ সহকারে খাওয়া অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করে। সুস্থ থাকতে ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শারীরিক কার্যক্রম বজায় রাখুন : ঈদ উৎসবের মধ্যে শরীরচর্চা করতে ভুলে যাবেন না। খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করুন। অন্য কাজকর্মে সক্রিয় থাকুন। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে ভূমিকা রাখে।


আরও খবর