ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন। এ ঘটনায় একজন নারীও ছিলেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী নারীসহ এরইমধ্যে ভারত ত্যাগ করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন। তারা আনারকে হত্যা করে কেটে টুকরো টুকরো করে চারটি ট্রলি ব্যাগে করে লাশ বের করেন। এখন পর্যন্ত লাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। লাশের সন্ধানে মাঠে নেমেছে ভারতীয় পুলিশ।
এদিকে আজ সকালে নিজ বাসভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এমপি আনার খুনের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু বলা যাবে না। তবে এটা বলছি যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে জানতে পেরেছি ভারতের কেউ জড়িত নন, আমাদের বাংলাদেশের মানুষ জড়িত।’
এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডে তার এলাকার জনগণ স্তম্ভিত, শোকে মুহ্যমান। এটা একটা নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কাজটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই করছি। কারণ তিনি একজন জনপ্রিয় পার্লামেন্ট মেম্বার। তিনবারের এমপি। এলাকার মানুষ ও জনগণ উনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আসলে এ রকম একটি ঘটনায় আমরাও শোকে মুহ্যমান।’
ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এছাড়া ভারতের পুলিশও আমাদের সাথে কাজ করছে। আমাদের কাছে কয়েকজন আছে তাদের সাথে কথা বলছি এবং তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য আমরা এখন কাউকে বলবো না।
চিকিৎসা ও বন্ধুর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে গত ১২ মে ভারত যান আনার। কলকাতার ব্যারাকপুর সংলগ্ন মণ্ডলপাড়ায় পূর্বপরিচিত স্বর্ণ কারবারি গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফের সঙ্গে তার কথা হয়। ১৬ মে সকাল ৭টা ৪৬ মিনিটে সংসদ-সদস্য আনারের ফোন থেকে পিএসের নম্বরে সর্বশেষ কল আসে। কলটি ধরতে পারেননি পিএস। এক মিনিট পর পিএস তাকে কল করলে ওপাশ থেকে রিসিভ হয়নি। এরপর থেকে সংসদ-সদস্যের সঙ্গে আর যোগাযগাযোগ নেই।