আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হয়ে আসতে হবে : পরিকল্পনা সচিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে আমাদের বের হয়ে শুদ্ধাচারী মনোভব পোষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। তিনি বলেন, গণমাধ্যম এখন সৎ মানুষ সেজে থাকা দুর্নীতিবাজদের বের করে আনছে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সর্বগ্রাসী মনোভব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্মানের থেকে কেন আমরা বিচ্যুত হচ্ছি। শুধু নিজে সৎ থাকলে হবে না। আশপাশের সবাইকে সৎ রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২৫ স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য রেহানা

সত্যজিত কর্মকার বলেন, আমরা সর্বগ্রাসী হয়ে গেছি। আমাদের চাই চাই আরও লাগবে কেন? সরকার আমাদের কি দেয়নি, আমরা কেন নীতিবহির্ভূত কাজ করছি। এই দেশ তো আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা এমন পর্যায়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী আমাদের শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে নিবৃত করছে। আমাদের সবাইকে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হতে হবে।

তিনি বলেন, এখানে আজ অনেকেই অনুপস্থিত, যা খুবই দুঃখজনক এটা শুদ্ধাচারের পরিপন্থি। এটা সরকারের অন্যতম কর্মসূচি অথচ অনেকে নেই। আমার মনে হয় আয়োজকদের কারণে আজ অনেক চেয়ার ফাঁকা। আমাদের সময়ের প্রতি, দায়িত্বের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া দরকার।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, অনাচার দিয়ে কোনো সমাজ চলতে পারে না। শুদ্ধাচার এর বিপরীত শব্দ কি অনাচার। সামাজিক অনাচার দূর করে মানবসভ্যতা রচনা করাই কাজ। মানুষের কাজই হচ্ছে অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিলবোর্ডে জাতির পিতার কথা বলা আছে সেই অনুসারে আমাদের চলতে হবে। মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপ শুদ্ধাচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শুদ্ধাচার অর্জন করবার জন্য জাতির পিতাকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ৬৫ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জন্য ৬৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে)।

আজ শনিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানায়। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এই অর্থ অনুমোদন করে।

সংস্থাটি জানায়, চট্টগ্রামের বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য ৬৫ কোটি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এটি বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করবে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি-রফতানি ব্যয় কমিয়ে আনবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। নতুন এই আধুনিক বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই টার্মিনালে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোর জন্য সুযোগ বাড়াবে এবং জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ এবং এর ৯৮ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। তবে এই বন্দর দিয়ে ছোট ফিডার জাহাজগুলো প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোর উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সাথে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং সামগ্রিক বে টার্মিনাল উন্নয়নের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের দলনেতা হুয়া টান বলেছেন, বে টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে। বে টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে আনন্দনগর/সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবস্থিত এবং ঢাকার সাথে বিদ্যমান সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাছাকাছি, বাংলাদেশের কন্টেইনারের পরিমাণের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ টেকসই পরিবহন পরিষেবাগুলোতে উন্নত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পসহ বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানানো হয় এক বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর



আজ ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কদিন আগেই ভারত সফর করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি। ১১ দিনের মাথায় আজ শুক্রবার ফের ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। দুদিনের এই রাষ্ট্রীয় সফর পূর্বনির্ধারিত। আনুষ্ঠানিক এই সফর ঘিরে তাই চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাবে বাংলাদেশ ও ভারত। নিকটতম প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক চলমান থাকায় এবারের সফর থেকে ইতিবাচক প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।

নির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন।

দুই সপ্তাহের কম ব্যবধানে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর এটি। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এই মেয়াদে সরকার গঠনের পর কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক সফর। এ সময় উভয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেইসঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূচি অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামীকাল শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা একই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখার ও সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ করে দেশে ফিরবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গত তিন মেয়াদে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। দুদেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে নিবিড় ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক।


আরও খবর



বরগুনায় পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনায় পরোকীয়া প্রেমে জড়িতোর কারণে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা বামনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুন) রাত সোয়াদশটার দিকে বামনা উপজেলার সোনাখালী বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যাক্তি বামনা উপজেলার তালেশ্বর গ্রামের আঃ হানিফ চৌকিদারের ছেলে অটোচালক মোঃ ফোরকান (২৮)।

জানা যায়, পরোকীয়া প্রেমে জড়িত সন্দেহে ওই নারী বেশ কিছুদিন যাবত স্বামী ফোরকানের সাথে ঝগড়াঝাটি করে। রবিবার দিবাগত রাত সোয়া দশটার দিকে ওই ভাড়া বাসার নিজ কক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রী তার পরিধয় লুঙ্গি উঠিয়ে ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। এ সময় গুরুতর জখম হলে চিৎকার করলে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত বামনা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফোরকানকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ কিশোর কুমার মন্ডল বলেন, বামনায় স্ত্রী স্বামীর পুরুষ লিঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ফোরকান এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে কেউ এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



চারঘাটে নির্মিত হচ্ছে মুজিব কিল্লা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পদ্মা-বড়াল বিধৌত রাজশাহীর চারঘাটে নির্মিত হচ্ছে মুজিব কিল্লা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলার চারঘাট ইউনিয়নের রাওথা কলেজ প্রাঙ্গনে নির্মিত হচ্ছে তিন তলা বিশিষ্ট মুল ভবন ও একতলা বিশিষ্ট একটি ক্যাটেল শেড। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন বা দুর্যোগ পরবর্তী অস্থায়ী সেবা কেন্দ্র হিসেবে সেবা নিতে পারবে উপজেলা প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ও গৃহপালিত পশু।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুজিব কিল্লার প্রায় ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭হাজার ৬শত স্কয়ারফুট একটি ক্যাটলশেড ও ১৩ হাজার স্কয়ারফুট তিন তলা বিশিষ্ট একটি মুল ভবন নির্মান কাজ চলমান রয়েছে, যার নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। নির্মান কাজ পরিচালনা করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার মেসার্স রুমানা এন্টারপ্রাইজ। নদী তীরবর্তী এলাকাবসীরা জানান, বন্যা অথবা নদী ভাঙ্গন হলে অন্ততপক্ষে এই মুজিব কিল্লায় আশ্রয় নিতে পারবো।

উপজেলার পদ্মা বিধৌত নদী তীরবর্তী এলাকার বন্যা কবলিত এলাকা পিরোজপুর, চন্দনশহর, গোপালপুর, রাওথা, বাখরাবাদ, মোক্তারপুর, শ্যামপুর, ইউসুফপুর, টাঙ্গন এর বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন, গবাদিপশু পাখি সহ নির্মানাধীন মুজিব কিল্লা শতভাগ ব্যবহার করবে। এছাড়াও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জনগণের সমন্বয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ এস এম শামীম আহম্মেদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, চলমান মুজিব কিল্লার কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উপজেলাবাসীদের দুর্যোগ থেকে জীবন বাঁচাতে ও গৃহপালিত পশু-পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবে ভরসা পাবে নির্মানাধীন এই মুজিব কিল্লা।

উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হাসান (মামুন) বলেন, পদ্মা ও বড়াল পাড়ের বন্যাকবলিত মানুষদের কথা বিবেচনা করে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি শাহারিয়ার আলম এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উপজেলায় মুজিব কিল্লা নির্মানে বরাদ্দ দিয়েছেন। মুজিব কিল্লার নির্মান কাজ শেষ হলে বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর পাশাপাশি অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।


আরও খবর



মাদককে না বলতে পারাটাই স্মার্টনেস: মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যে তরুণরা মাদককে না বলতে পারে তারাই প্রকৃত স্মার্ট, তারাই মর্ডান। কারণ তারা জানে মাদক একটি নীরব ঘাতকের নাম, সব শেষ করে দেয়। তাই মাদক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে এবং খেলাধুলায় নিজেকে বেশি বেশি ব্যস্ত রাখতে হবে।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর পার্কে ঢাকা নর্থ মেয়র বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, একটি শিশুর সুষ্ঠু মেধা বিকাশ ঘটে খেলাধুলার মাধ্যমে। অভিভাবকদের এ বিষয়ে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। দামি মোবাইল ফোন না কিনে দিয়ে খেলার সামগ্রী কিনে দেন। তারা ঠিকই মাঠে নেমে আসবে।

তিনি বলেন, বাচ্চাদের হাতে হাতে ফোন। দিনরাত তারা সেটা নিয়ে পড়ে থাকছে। তাদের এ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এসব বিষয়ে বাচ্চাদের সহযোগিতা করতে হবে। সিটি করপোরেশন তরুণ প্রজন্মকে স্বাগতম জানাতে রেডি। আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

উদ্বোধন শেষে টুর্নামেন্টের টফি উন্মোচন করা হয়। টুর্নামেন্টে ৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন একাডেমির টিম অংশ নেবে।


আরও খবর