আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘চিড়িয়াখানায় কোন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না’

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান চিড়িয়াখানায় কোন রকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় আকস্মিক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী একথা জানান।

আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড় এগারোটা পর্যন্ত মন্ত্রী চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রাণির খাঁচা, প্রাণি চিকিৎসা কেন্দ্র, ঔষধ সংরক্ষণ স্থান পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন প্রাণিদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের খাবার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অবহিত হন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, "বাংলাদেশের মানুষের বিনোদনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানার আধুনিকায়ন করে সিঙ্গাপুর, দুবাই এর মানে উন্নীত করার জন্য আমরা মাস্টারপ্ল্যান করছি। ইতোমধ্যে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের প্ল্যান আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। এ প্ল্যানের মাধ্যমে অত্যাধুনিক চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হবে"।

তিনি আরো বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ে অবন্তিকা ও দুর্জয় নামে দুটি বাঘ শাবক, জেব্রা, জিরাফ শাবক, আফ্রিকান সিংহ, ইম্পালা,ওয়াইল্ড বিস্ট জাতীয় চিড়িয়াখানায় এবং রংপুর চিড়িয়াখানায় আরো একটি প্রাণি মারা গেছে। এসব প্রাণি কারো কর্তব্যে অবহেলা নাকি রোগ সংক্রমণে মারা গেছে, এ বিষয়গুলো দেখা ও বোঝার জন্য ইতোমধ্যে তাদের পোস্ট মর্টেম ও ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, দুই দফা তদন্ত করা হয়েছে। আরো কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তদন্তের জন্য পুনরায় আদেশ দেওয়া হয়েছে। চিড়খানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত অথবা যারা খাবার সরবরাহ করে বা এর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের দায়িত্বে গাফিলতি, অসহযোগিতা, অযোগ্যতা আছে কিনা, পশু চিকিৎসায় ভেটেরিনারি ডাক্তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে কিনা, অসুস্থ প্রাণির চিকিৎসা যথাসময়ে হয়েছে কিনা, অসুস্থতার ক্ষেত্রে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন ঘাটতি আছে কিনা এসব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য আমরা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেছি"।

চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি জন্ম নেয়া নতুন দুটি বাঘ শাবকের নিরাপত্তা ও জীবাণু থেকে সুরক্ষায় মাছি বা অন্য কোন প্রাণি যাতে বাঘের খাঁচায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়ার হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, "চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহিত না করে বাস্তবে কি অবস্থা আছে, স্বাভাবিকভাবে প্রাণিরা কি অবস্থায় থাকে সেটা দেখার জন্য আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছি। খাবার সরবরাহকারী যথাসময়ে খাবার সরবরাহ করছে কিনা, সরবরাহকৃত খাবার সঠিক পরিমাণে দেয়া হচ্ছে কিনা, খাবারের মান কেমন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে যথাসময়ে প্রবেশ করছে কিনা, বিভিন্ন খাঁচায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী, ডাক্তার ও সুপারভাইজার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার পর কারো গাফিলতি, দায়িত্বহীনতা বা অযোগ্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে"।

চিড়িয়াখানার সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সময় মন্ত্রী বলেন, "পূর্বের চেয়ে চিড়িয়াখানায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন আরও দরকার। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা আরো দরকার। যেহেতু বিষয়গুলো তদন্তাধীন এজন্য এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত ব্যক্ত করা সঠিক হবে না"

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, "চিড়িয়াখানার সব বিষয় আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছি। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সেগুলো উঠে আসবে। প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত না হয়ে থাকলে কেন এটা হয়নি তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের বহন করতে হবে। যে সকল প্রাণীর খাঁচার পরিবেশ আরো উন্নয়ন করা প্রয়োজন সেগুলো কেন করা হয়নি সে বিষয়গুলোও আমরা দেখছি। এখানে একটি প্রাণী তাৎক্ষণিকভাবে মারা গেছে। তারপরও তার পোস্টমর্টেম ও ভিসেরা রিপোর্ট দেশের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা এনেছি। রিপোর্টে সংক্রমণের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তৃতীয় রিপোর্ট আনা হবে এবং তাতেও আমরা সন্তুষ্ট না হলে প্রয়োজনে দেশের বাইরে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, চিড়িয়াখানার মতো প্রতিষ্ঠান আধুনিকীকরণ ও টেকসই করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে দেশের বাইরে পাঠিয়ে রিপোর্ট আনতে হবে। বাস্তবে খাবারের কোন ত্রুটি বা অব্যবস্থাপনা অথবা এমন কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়েছে যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, এ সামগ্রিক বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসার পর আমরা বিবেচনা করবো"।

"এক প্রাণি থেকে অন্য প্রাণিতে রোগ সংক্রমণ যাতে না হয় সে জন্য অভ্যন্তরীণভাবে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। রোগ সংক্রমণের বিষয়ে আমরা বাড়তি নিরাপত্তা ও বাড়তি চেকআপের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রাণিদের খাবার দেবার ব্যাপারেও আমরা অতীতের চেয়ে সতর্ক। পুষ্টিসম্মত ও জীবাণুমুক্ত খাবার দেয়ার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া যাতে চিড়িয়াখানায় আর কোনো খাবার না ঢুকে সে ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি।"-যোগ করেন মন্ত্রী।

জনবল সংকট নিরসনে শিগগিরই অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের বিষয়েও জানান মন্ত্রী।

চিড়িয়াখানার যেকোন বিষয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আনার জন্য এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।


আরও খবর



চাকরির বয়স ৩৫ নিয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ জানিয়ে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠান।

রোববার (৫ মে) এর জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী তার পাঠানো চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর



ভাঙ্গুড়ায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খোলায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানের সঙ্গে লুঙ্গি পেঁচিয়ে আহত জহির সরদার (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার তাকে উন্নত চিকিৎসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত জহির সরদারের ছোট ভাই আ: মজিদ সরদার।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে জনৈক মহসিন হাজীর বাড়ীর সামনে ধানের খোলায়। নিহত জহির ওই গ্রামের মো: আবু বক্কার সরদারের ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক ও তিন সন্তানের জনক।

জানা গেছে, এ বছর জহির তার নিজের কৃষি জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। বুধবার ধান কেটে তা মাড়াই করেন। এরপর বিকালে সেই ধান ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে জনৈক ব্যক্তির ধানের খোলায় ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলারের সাথে স্টিলের বড় (খাঁচা ছাড়া) ফ্যান লাগিয়ে বাতাস দিয়ে পরিস্কার করছিলেন। এ সময় অসাবধানতায় তার পরনের লুঙ্গি ফ্যানের সাথে পেঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জহিরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ, খোলা থাকবে হল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন থেকে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এর পর আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪