আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

চলতি বিপিএলে সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের অষ্টম আসরের ২৬টি ম্যাচে ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেটের সব খেলা। গ্রুপ পর্বের আর বাকি মাত্র ৪টি ম্যাচ।

সিলেট পর্ব শেষে ইতিমধ্যে দল গুলো ঢাকা পর্বের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। এবারের বিপিএলে ব্যাট বলে বেশ ভালো প্রধান্য দেখাচ্ছে দেশী ক্রিকেটাররা।

চলুন দেখে নেয়া যাক বিপিএলে এখন পর্যন্ত সেরা ৫ রান সংগ্রাহকের তালিকা:

১। তামিম ইকবাল:

বিপিএলে এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত ব্যাটিং করছে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে তিনটি ফিফটি, সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১১১ রান। ৮ ইনিংসে তামিমের সংগ্রহ ৩৪১ রান। স্ট্রাইক রেট ১৩২.৬৮, এভারেজ ৫৬.৮৩। বর্তমানে রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনি। তামিম হয়তো মুখে না বলে ব্যাট দিয়ে সব কিছু বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

২। কলিন ইনগ্রাম:

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া সিলেট সানরাইজার্সের ব্যাটার কলিন ইনগ্রাম। ৮ ম্যাচে তিনি ফিফটিতে ৩০৯ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৯০ রান, স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৫৬, এভারেজ ৪৪.১৪।

৩। উইল জ্যাকস:

তৃতীয় স্থানে আছেন চট্রগ্রামের উইল জ্যাকস। দারুন ছন্দে আছেন এই ব্যাটার। ৯ ম্যাচে তিন ফিফটিতে ৩০৬ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৬৯ রান, স্ট্রাইক রেট ১৫২.২৩, এভারেজ ৩৪.০০।

৪। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ:

সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন আরো এক বাংলাদেশী ক্রিকেটার। মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক রিয়াদ দলকে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ৮ ম্যাচে ১ ফিফটিতে ২৫২ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৭০ রান। স্ট্রাইক রেট ১২৩.৫২, এভারেজ ৪২.০০।

৫। এনামুল হক বিজয়:

৫ম স্থানে আছেন বাংলাদেশের আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ৮ ম্যাচে ১ ফিফটিতে ২৪৮ রান। সর্বোচ্চ ৭৮ রান, স্ট্রাইক রেট ১২১.৫৬, এভারেজ ৩১.০০।

নিউজ ট্যাগ: বিপিএল-২০২২

আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হবে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর তিনটি এবং শেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টার প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। এরপর সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো.জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন মিরপুরের মহতামিম জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন। বেলা পৌনে ১১টার সর্বশেষ জামাতের ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো, আক্তার মিয়া।

পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম। আগামী সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।


আরও খবর



দিল্লিতে গরমে মৃত্যু বেড়ে ২০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ১২ জনের বেশি মানুষ লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোকে।

বুধবার (১৯ জুন) হাসপাতালগুলোর জন্য জারি হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। সদ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়া মন্ত্রী জেপি নাড্ডা দিল্লির সব সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। হিটস্ট্রোকের চিকিৎসা করতে হাসপাতালগুলো আদৌ প্রস্তুত কিনা সে বিষয়েও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন দ্রুত হিটওয়েভ ইউনিট চালু করা হয়, যেখানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

এছাড়া তিনি কর্মকর্তাদের হিটস্ট্রোক-সম্পর্কিত হতাহতের রেকর্ড রাখতে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, ওআরএস প্যাক, আইভি ফ্লুইড এবং আইস প্যাকগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ সংগ্রহ করতে বলেছেন।

প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই দিল্লির হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন লোকজন। যে ২০ জন মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুও হয়েছে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

এদিকে গরমকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট। দুই কোটি মানুষ অধ্যুষিত দিল্লির রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে, গরমের কারণে রাজধানী ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ-পানির চাহিদা বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে এবং জনগণের এই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দিল্লির রাজ্য সরকার।

শুধু দিনের বেলা নয়, রাতেও দিল্লির তাপমাত্রা থাকছে অনেক বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ভেঙেছে গত ১২ বছরের রেকর্ড। ২০১২ সালের জুনে গড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই ছিল এযাবৎকালের রেকর্ড। সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। বুধবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




শেয়ারবাজারে দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে নতুন বাজেট। ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফার ওপর কর বসাতে যাচ্ছে সরকার এতদিন এ খবর ছিল গুঞ্জন আকারে। এবার তা সত্যি হয়ে আসছে। শেয়ার কেনাবেচায় নির্দিষ্ট অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি যত টাকা মুনাফা হবে, তার ওপর সরকারকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন, তাতে এমন প্রস্তাব থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত থাকলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানো হচ্ছে। এতে করহার ব্যবধান বর্তমানের সাড়ে ৭ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশে নামবে।

টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, দলে দলে সব শেয়ার বেচে বাজার ছাড়ছেন তারা, তখন নীতি-সহায়তার পরিবর্তে করের চাপ বাড়ালে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুধু এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের দরপতনে ৯৪ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। ফলে বাজারের জন্য এখন দরকার সরকারের নীতি-সহায়তা। অথচ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান কমিয়ে তালিকাভুক্ত হতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আইপিও প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির বর্তমান করপোরেট করহার ২০ শতাংশ। এর কম শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হলে, তাদের করহার সাড়ে ২২ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে এ করহার আড়াই শতাংশ হারে বাড়িয়ে যথাক্রমে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে উভয় ধরনের কোম্পানির করপোরেট করহার থেকে আড়াই শতাংশ করে ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তটি হলো ৫ লাখ টাকার বেশি একক যে কোনো লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে এবং বার্ষিক ব্যয়ে নগদ লেনদেন কোনোভাবেই ৩৬ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। অবশ্য এ শর্ত নতুন নয়। চলতি অর্থবছরেও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্থক্য হলো এখনকার নির্ধারিত করহার কম। তবে শর্ত না মানলে তা আড়াই শতাংশ বেশি দিতে হচ্ছে। নতুন কর প্রস্তাবে আগেই করহার বাড়ানো হচ্ছে। শর্ত মানলে করছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে।

এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার না কমালেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন না করলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়েছে। এবার এ শর্ত পূরণ করতে না পারলে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারে নতুন করে কোম্পানি আসা যখন প্রায় বন্ধের পথে, তখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত করহার ব্যবধান কমানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও এ ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। পরে তা সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এখন তা ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে নতুন করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আরও নিরুৎসাহিত হবে। সরকারের এ নীতির ফলে শেয়ারবাজার সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আরও পিছিয়ে পড়বে ও সংকুচিত হবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের প্রতি বিমাতাসুলভমড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারকে স্বাভাবিক করতে তারা সরকারের কাছে নীতি-সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

মূলধনি মুনাফায় করারোপ এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান কমানোর খবরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন খোদ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার ব্যবধান বাড়ানো উচিত। মূলধনি মুনাফায় কর আরোপের খবরেও তিনি একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই কর প্রস্তাব যাতে সরকার প্রত্যাহার করে নেয়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন করে চেম্বার আদালতে আজই এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ৫ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে বলে রায় দেন। সেদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করা হবে বলেও সেদিন জানিয়েছিলেন তিনি।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করা হলো।

পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।


আরও খবর



কাল থেকে রাজধানীতে বসবে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী দুটিসহ ২২টি পশুরহাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হবে।

দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।

উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান জানিয়েছেন, রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে স্থায়ী ১টি ও অস্থায়ী ৮টি হাট। এবার ১৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত ৫দিন হাট বসবে। কোরবানির পশু কেনা-বেচা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে করা যায় সে জন্য উত্তরের হাটগুলোতে সকল ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ অর্থ না নিয়ে এসেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে যে কেউ টাকার লেনদেন করতে পারবে। এ জন্য হাট এলাকায় অসংখ্য ব্যাংক বুথ থাকবে। হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের অজু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের শৃংখলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায় তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে।

ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী ৮টি পশুর হাটগুলো হলো- উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।

ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী ১০টি পশুর হাটগুলো হলো- খিলগাঁও রেলগেট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।

এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নিতে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে মঙ্গলবার সভা করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। উত্তর সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।


আরও খবর