আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন ৩০ জুলাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

আগামী ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০-তম কমিশন বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় হচ্ছে ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই, আফিস নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ জুলাই।

তিনি আরও বলেন, সব কেন্দ্রে ইভিএমে ব্যবহার হবে। থাকবে সিসি ক্যামেরা।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট

আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) আসনটি গত রোববার (৪ জুন) শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়।

সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে. এম. আব্দুস সালামের সই করা গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ-সদস্য মো. আফছারুল আমীন ০২ জুন ২০২৩ তারিখে মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৮৭ চট্টগ্রাম-১০ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে।

আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে তার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হয়। অর্থাৎ গত ০২ জুন থেকে পরবর্তী নব্বই দিন হচ্ছে চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচনের সময়।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আফছারুল আমীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে তিনবারের এ সংসদ সদস্য সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। ২০২০ সাল থেকে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।


আরও খবর



দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সেতুমন্ত্রীর ভাই-ভাগনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের (এমপি) স্বজনদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও ভাগনে।

উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই, ভাগনেসহ ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শারমিন আরা ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভাগনে মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অপর প্রার্থীরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম ও রেহানা আক্তার। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নেই।

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।

তবে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী থাকলে তা আইনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যেই হোক না কেন, অবৈধ প্রেসার দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয়, মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। 


আরও খবর



এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত তার জামিন মঞ্জুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।


আরও খবর



পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে এক পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খুশাবের কাছে ট্রাক খাদে পড়ে নয় শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) মর্মান্তিক এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ট্রাকে যারা ছিলেন তারা সবাই মূলত শ্রমিক। কাজের উদ্দেশে তারা খুশাবে যাচ্ছিলেন।

২৩ জন যাত্রী নিয়ে ট্রাকটি খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। আর খুশাবের দিকে যাচ্ছিল। খুশাব শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সুন ভ্যালির শহরতলী দরবার পাঞ্জ পীর মানাওয়ান সড়কের কাছে এসে ট্রাকটি উল্টে যায়।

ডিসট্রিক্ট রেসকিউ অফিসার হাফিজ আব্দুল রাশেদ ধারণা করছেন, ব্রেক ফেইল হয়ে যাওয়ায় ট্রাকটি চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রাশেদ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুশাবের রেসকিউ কন্ট্রোল রুম একটি জরুরি ফোন পায়। তারপর উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।

একই পরিবারের ১৪ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আহতদের খুশাবের নওশেহরা তেহসিলের টিএইচকিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর সাতজনকে ডিএইচকিউ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ এ দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বেলুচিস্তানের হাব জেলায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।


আরও খবর



জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।


আরও খবর



পাইলট আসিম জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে এই বীর সৈনিককে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সেওতা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, সকালে জন্মভিটা মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের নিষ্প্রাণ দেহ ফিরে। বাবা-মার একমাত্র সন্তান এই বৈমানিকের মরদেহ পৌঁছানোর খবরে এক নজর দেখার জন্য পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ছাত্রজীবনের তুখোড় মেধাবী এ বীর সৈনিকের মরদেহ দেখে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয়রা জানান, আসিম জাওয়াদ তাদের গর্ব, তাদের অহংকার। তিনি ছাত্রজীবনে নানান স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। কর্মজীবনেও ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। তার এ চলে যাওয়া আমাদের জন্য, দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

এর আগে সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে আসিম জাওয়াদের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা ও ফিউনারেল প্যারেডের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বীর সৈনিক স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে গুরুতর আহত হন উইং কমান্ডার সোহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসিম। পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ।

আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে।

তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১০ সালের  ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাস করেন আসিম।

চাকরিকালে আসিম বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পেশাদারী দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মফিজ ট্রফি’, বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমান বাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীর কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ Chief of Air Staffs Trophy for Best in Flying (Indian Air Force)  অর্জন করেন।


আরও খবর