আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মিলনমেলা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে উপাচার্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন করলে হবে না, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন করতে হবে। ইউরোপের রোমান, গ্রীক সাম্রাজ্য, রোম এরা আমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ ছিলো, তবুও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে পিছনে ফেলে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সিভাসুর সহযোগিতা ও "এডুকেশন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশে (ইআরডিএফবি) এর আয়োজনে "অপরাজনীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্তও শিক্ষা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক" আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। আছে ওয়ারী বটেশ্বর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমারা যতই বলুন কোন ভাবেই তারা আমাদের চেয়ে উন্নত নয়।বাংলাদেশ বারবার পশ্চিমাদের অপরাজনীতির স্বীকার হয়, পূর্বেও হয়েছে। যার জন্য জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাইনা। শেখ হাসিনা এক বিরল নেতৃত্ব। নতুন নতুন উদ্বাভনী প্রযুক্তি আমাদের উৎপাদন বাড়াবে, গবেষণা বাড়াবে। কেস লেস, পেপার লেস সোসাইটি পারবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সকল অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুদরাত-ই -খুদা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র সহ সৃষ্টি করেছিলেন আরও অনেক গবেষণার স্বর্ণদার। তারই হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা।তিনি প্রতিটি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। 

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফল আহসান বক্তব্য কালে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে প্রতিটি নাগরিককে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট হতে হবে। জনগণ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যুগোপযোগী তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।অপরাজনীতি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রচুর ভূমিকা রয়েছে।

চবি পালি বিভাগের প্রফেসর ড. জীবনবোধী ভিক্ষু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির বটবৃক্ষ। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের সংশোধন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে একীভূত হতে হবে। যেভাবে আমরা মুক্তিযদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীন আখতার বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আয়না।দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি চমৎকার আয়োজন। আমরা দেখেছি একটি জনপদ কিভাবে সম্মানের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, জাতিকে সাহস যুগিয়েছিলেন।যার বিনিময়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আজও শেখ হাসিনা নানান দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাচ্ছেন।সব বাঁধা পেরিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও আমাদের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন,এখনো করছেন, এসব অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।

প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক বলেন, মূলত আমরা যাই করি তার পিছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি বড় ভূমিকা পালন করে।তাই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. সেলিনা আখতার বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পাই।বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন।জাতি আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পা রেখেছেন।এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভূমিকাও অনেক।

ডা. ইসমাইল খান বলেন, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন কেউ কেউ আসে ইতিহাস হয়ে।বঙ্গবন্ধুও এসেছিলেন,ভালো স্বাস্থ্য না থাকলে ভালো শিক্ষা অর্জন করা যায় না।তবে অভাব ও দূর করা সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অভিন্ন শব্দ। এদের ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জয়যুক্ত করি এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

প্রফেসর ড. মো: রফিকুল আলম বলেন, পরাশক্তিরা যতই চোখ রাঙিয়ে যাক,আমাদের মাথা নোয়ালে চলবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর আকিবা রুবি, মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ড. রাকিব, ড.সুমন গাঙ্গুলি, চবি বাংলা বিভাগের, ড.আনোয়ার সাইদ, মেরিন সাইন্সের ড. ওয়াহিদ, মেরিন সাইন্সের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ড. মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিউটের সাবেক সভাপতি মো: শহীদ, ড. নূর হোসেন, প্রফেসর ড. সজীব কুমার, প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.ইসমাইল খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, চট্টগ্রাম ভেটিরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক,ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেক  নোলজি চিটাগাং এর উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহেদ হোসেন শরীফ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলো প্রেস এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



সাবেক এমপি’র বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রতিরোধ করার হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজ্জাফ্ফর হোসেনের বিরুদ্ধে বিজন বাবুর (মোটরসাইকেল প্রতীক) বাইরে ভোট দিলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিহত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্র সমাবেশের তাঁর দেওয়া বক্তব্যের এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ভোটাদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ছাত্রলীগ আয়োজিত বাবু বিজন কুমার চন্দের (মোটরসাইকেল প্রতীক) নির্বাচনী ছাত্র সমাবেশে সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া কাচারি মাঠে তিনি এ বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন সদর (জামালপুর-৫) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজন কুমার চন্দ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ছাত্র সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম জাফর ইকবাল জাফু, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেনকে ভিডিও ক্লিপটিতে বলতে শোনা যায়- আমি বলতে চাই, বিজন বাবুকে ছাড়া তোমরা যদি আর কাউকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করো, তাহলে আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সর্বস্তরের জনগণ প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ। তাই বলতে চাই আর দেরি নাই, আর মাত্র দুটো দিন আছে, এখনো সময় আছে আসো। আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের পিছে আসো। বিজন বাবুর মোটসাইকেল মার্কা ভোট দাও, তা না হলে মানুষ ক্ষমা করবে না। আবার চেয়ারম্যানগিরী করতে চাও, করতে পারবা যদি বিজন বাবু উপজেলার চেয়ারম্যান হয় তাহলেই পারবা। না হলে পারবা না।'

ওই বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন প্রথমেই সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করলেও পরে তাঁকে ভিডিও রয়েছে বললে তিনি তাঁর কোন স্বদ্যোত্তর দিতে পারেননি।

এসব বিষয়ে জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের  বলেন-'এই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগও দিয়েছে কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন। বক্তব্য দেয়া ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কেনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মোজাফফর হোসেনকে।

মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার আরো বলেন- এই ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দের প্রার্থীতা বাতিল করতে কেনো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পত্র প্রেরন করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাবু বিজন কুমার চন্দকে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৮ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



নিজের গোপন কীর্তি ফাঁস করলেন অভিনেত্রী কাজল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত বছর দুর্গাপূজায় মহাসপ্তমীর দিন সকালেই সেজেগুজে মুখার্জি বাড়ির পুজোতে ছেলে যুগকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। আনন্দও করছিলেন বেশ। কিন্তু মণ্ডপ থেকে নামার সময় ঘটে বিপত্তি। হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান নায়িকা। মুম্বাইয়ের এক শপিংমলে প্রোমোশন্যাল ইভেন্টে দ্রুত হাঁটতে গিয়ে পড়ে যান অভিনেত্রী। দিলওয়ালে সিনেমার প্রচারের সময়ও মঞ্চে কথা বলতে বলতেই পড়ে যাচ্ছিলেন কাজল, সে সময় পাশে থাকা বরুণ ধাওয়ান নাটকীয় কায়দায় সামলে নেন তাকে।

১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া কুছ কুছ হোতা হ্যায় সিনেমার ইয়ে লড়কি হ্যায় দিওয়ানি গানের শুটিং চলছে। সবাই সাইকেল চালাচ্ছেন, সামনে রয়েছেন শাহরুখ খান ও কাজল অর্থাৎ রাহুল ও অঞ্জলি। হঠাৎ করে ব্যালেন্স হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেন মাটিতে। সম্প্রতি একটি কোলাজ ভিডিওতে কাজলের এমন সব দৃশ্য দেখা গেছে। আর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।

নিজের লুকানো কীর্তি ফাঁস করলেন নিজেই। এমনিতেই হাঁটতে-চলতে দুমদাম পড়ে যান কাজল। উৎসবের মেজাজ, ফিল্মের ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্ট কিংবা শুটিং সেট, তার পড়ে যাওয়ার ইতিহাস সব জায়গায়ই বিদ্যমান। এভাবে পড়ে গিয়ে কুছ কুছ হোতা হ্যায় সিনেমার সেটে হারিয়েছেন স্মৃতিও! এভাবে বহুবার ক্যামেরার সামনে পড়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।

গত রবিবার ওয়ার্ল্ড লাফটার ডে উপলক্ষ্যে সেসব ভাইরাল ভিডিয়োর কোলাজ ইনস্টাগ্রামে নিজের আইডিতে শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, আমার ছবি ফিরে দেখে নিশ্চিত যে, আমি স্থিরচিত্রেই সভ্য আচরণ করি! তাই শান্ত হয়ে বসুন আর ফিরে দেখুন কিছু ভিডিও যেখানে আমি অন্যদের হাসিয়েছি

নিউজ ট্যাগ: কাজল

আরও খবর



গরমে বারবার গোসল করা ভালো না ক্ষতিকর?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। একইসঙ্গে পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাবও বিরাজমান থাকবে।

হাঁসফাঁস করা এ গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই একাধিকবার গোসল করছেন। তাতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু একাধিকবার গোসল করা কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না ক্ষতিকর এমন প্রশ্নও অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দিনে একাধিকবার গোসল করা মোটেই ক্ষতিকর নয় গরমে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে একাধিকবার গোসল করলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং স্বস্তি পাওয়া যায়। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা কমে। তাই গরমকালে সময় পেলে গোসল করতেই পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করা যেতে পারে। যারা গরমে বাইরে কজ করছেন, তারা সময় পেলেই গোসল করতে পারেন। তবে শর্ত একটাই ঘর্মাক্ত অবস্থায় কখনই গোসল করবেন না। তাতে ঠান্ডা গেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গায়ের ঘাম শুকিয়ে তবেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। এতে তাপজনিত সমস্যা দূর হবে।

অনেকেই আবার গরমে বরফ দেওয়া পানিতে গোসল করেন। এটি ঠিক নয় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। এতে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। যাদের বাত, অ্যাজমা রয়েছে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায় বরফ দেওয়া পানিতে গোসল করলে। তাই সাধারণ তাপমাত্রার পানিতেই গোসলের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



এসএসসির ফল রোববার, জানা যাবে যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে রোববার (১২ মে)। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

ফল জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নার-এ ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ভারতের যেখানেই যাই অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই: কঙ্গনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে নির্বাচন করছেন কঙ্গনা রানাউত। প্রচার অনুষ্ঠানে তার একেকটা বিতর্কিত মন্তব্য যেন টক অব দ্য টাউন।

সম্প্রতি এক প্রচার অনুষ্ঠানে ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে করেছেন নিজেকে তুলনা। আর সেখানেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী।

অমিতাভের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য, ভারতের যে প্রান্তে যাই, অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই। আমি ছাড়া তার পর ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ এতটা সম্মান পাননি।

ভোট প্রচারের অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেন, গোটা দেশ হয়রান, কঙ্গনা রাজস্থান যাক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি যাক বা মণিপুর এত সম্মান পাই মানুষের কাছ থেকে যে নিঃসন্দেহে বাজি ধরে বলতে পারি, অমিতাভ বচ্চনের পর ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ এত সম্মান পাননি।

বিজেপির তারকা প্রার্থীর এমন মন্তব্যে বিনোদন দুনিয়া তো বটেই, এমনকি বিরোধী শিবিরগুলোর মধ্যেও শোরগোল পড়ে গেছে। গেরুয়া শিবির সমর্থকেরা যদিও অভিনেত্রীর বুকের পাটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তাই বলে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের পরই নিজেকে দেখছেন! দিনদুপুরে স্বপ্ন দেখছেন নাকি কঙ্গনা? উঠেছে প্রশ্ন।

ক্যারিয়ারের ভাটার মাঝেই রাজনীতির ময়দানে নেমে প্রথম থেকেই লাইমলাইটে কঙ্গনা রানাউত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর