আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

চট্টগ্রামে নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা, ১৬টি আসনে লড়বেন ১২০ প্রার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৬ জন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক, ৪ জন কেটলি প্রতীক, ৩ জন ট্রাক প্রতীক, ২ জন ফুলকপি এবং এক জন করে পেয়েছেন তরমুজ ও বেঞ্চ প্রতীক। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রামে বিভাগীয় কমিশন ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ভোটের মাঠে লড়ছেন ১২০ জন প্রার্থী। ১২৯ জনের মধ্যে গতকাল শেষদিনে ৯ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে ১৬টি আসনে লড়বেন ১২০ জন।

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন তরমুজ প্রতীক এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আবু তৈয়বের।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। এ আসনে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজফুজুর রহমানের সঙ্গে জামাল উদ্দিনের।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় দলীয় প্রতীকই প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। হাটহাজারীর এ আসনটিতে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামকে। শেষ মুহুর্তে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হওয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হয় তাকে। এ আসনে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিপরীতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে আভাস মিলছে।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে ৫ জন প্রার্থী হলেও পর পর তিন বার নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিপরীতে শক্ত প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে নেই কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে আছেন বিভিন্ন দলের মোট ৬ জন প্রার্থী। এ আসনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। বিভিন্ন দলের ১০ জন প্রার্থী রয়েছে আসনটিতে। জাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠের সমর্থনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে  জাতীয় পার্টির প্রার্থীর।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্বিতা করেছেন। কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ না থাকায় অনেকটা খালি মাঠেই গোল দিতে পারেন বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। এছাড়া এ আসনে সাবেক মেয়র মনজুর আলম পেয়েছেন ফুলকপি প্রতীক। আসনটিতে ৯ জন প্রার্থী থাকলেও সাবেক মেয়র মনজুর আলমের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) এ আসনের সাত জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। আসনটিতে আওয়ামী প্রার্থী রয়েছে এম এ লতিফ। অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হুইপের দায়িত্বে থাকার পরও দলীয় মনোনয়ন পাননি শামসুল হক চৌধুরী। এ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নৌকার মনোনয়ন পান। এ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে ৭ প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নির্বাচন করছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও আবদুল জব্বারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এলডিপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত আসনটিতে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। সাতকানিয়া এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। এ আসনে নদভীর মূল প্রতিপক্ষ মোতালেব। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু আগেই দুই পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুজিবুল হক সিআইপি। এ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হওয়ায় অনেকটাই কোণঠাসা। নির্বাচনের মাঠে মুজিব-মোস্তাফিজের ভোটের লড়াই দেখার অপেক্ষায় বাঁশখালীর ভোটারা। এছাড়া এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুল হক ঈগল, আব্দুল্লাহ কবির ট্রাক, খালেকুজ্জামান বেঞ্চ প্রতীক পেয়েছেন।


আরও খবর



ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে এক ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার।

বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী সঙ্গে সঙ্গে সেই পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করেন।

প্রত্যাহার হওয়া পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম নান্দিনা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভোটারদের অভিযোগ, যে প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা সে প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন নি তারা। পরবর্তীতে পোলিং অফিসার নিজে গোপন কক্ষে বুথের দুইটি বাটন চাপতে বলেন। সেই বাটন চাপলে ভোট অন্য জায়গায় পড়ার অভিযোগ তুলেন তারা।

এসময় প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন ভোটাররা। শেখ ফকরুল হুদা নামের এক ভোটার প্রশ্ন করেন, আমার ভোটের কি হবে। এই উত্তর দিতে পারেনি প্রিজাইডিং অফিসার।

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।


আরও খবর



ওয়াদুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা, সালথা উপজেলা নির্বাচনে বাধা নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ২১ জুন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার (১৯ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম, নুরুল ইসলাম সুজন ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গত ১৪ মে ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন চেম্বার আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ওয়াদুদ মাতুব্বর বর্তমানে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। নিজ স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করলে সেখানেও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট রিট খারিজ করে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।

পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ওয়াদুদ মাতুব্বর।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থীর মধ্যে ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়াদুদ মাতুব্বর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় আগামী ২১ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য’ গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১ দশমিক ৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন। অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করেপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।


আরও খবর



বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিবসহ কয়েকজন।

সূত্র বলছে, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে যান সংবাদকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও বক্তব্যের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার নক দেবার পর মাসুদ রানা দরজা খুললে ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোশাররফ সহ কয়েকজনকে দেখতে পান সংবাদকর্মীরা।

এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখা যায় এবং এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক সেখানে হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সাথে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে সন্দেজনক মনে করে পুলিশকে জানালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় দুদকও তদন্ত শুরু করেছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুনামগঞ্জের হাওড়ে বাধ নির্মাণকাজে দুর্নীতির দায়ে বার বার প্রত্যাহার হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা ও এসডি মোশাররফের সহযোগিতায় ডিপিএম ও আরএফকিউ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাত করা হয়েছে। রাফি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার এবং ঠিকাদার কনকের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এসব তদন্তে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, দুই কর্মকর্তাকে আটক করাসহ টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত টাকা দুদকের কর্মকর্তারা গণনা করছেন। টাকার উৎস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



চাকরি হারাচ্ছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, বেতন ফেরত দিতে হবে সুদসহ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে তারা যে বেতন তুলেছেন তা ১২ শতাংশ সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য এই আদেশ বড় এক ধাক্কাই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি দেবাংশু বাসাক ও মো. শাব্বার রশিদির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানান, স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তারা খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষক হয়েছেন।

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও আদেশ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ছাটাইকৃত শিক্ষকদের বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বেতন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের। ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া শুধুমাত্র একজন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। সোমা দাস নামে ওই শিক্ষিকার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বেঞ্চটি সিবিআইকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।


আরও খবর