আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ডেমরায় স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে শাকিল মিয়া (২৪) নামে মানারত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে মুসলিম নগর শাহিদ মিয়ার বাড়ীর নিচতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।

নিহত শাকিল মিয়া ওই বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও রংপুরের পীরগঞ্জ থানার রোজবাহাপুর গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে।

জানা যায়, দুপুরে বাড়ীওয়ালার মাধ্যমে খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওড়না পেচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। ওই দিন বিকেলেই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এদিকে মৃতের ডায়েরীতে লেখা পাওয়া যায় গত ২৬ মার্চ তারিখে- আমি গরিব মানুষ বলে কিছুই করতে পারলাম না। আমার টাকা পয়সা নাই বলে তুমি হয়তো অন্যের হাত ধরে চলে যাবে

আরো জানা যায়, শাকিল তার স্ত্রী লিপি দেওয়ান ওরফে কালাদিকে (চাকমা) নিয়ে গত ৩ মাস ধরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। দারিদ্রতার কারণে গত ১ সপ্তাহ আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে কালাদি রাঙামাটি তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। গত ২৭ মার্চ রাতেও মোবাইল ফোনে বাকবিতন্ডা হয় তাদের মধ্যে।

এ ঘটনায় কালাদি ডেমরায় তার প্রতিবেশী বান্ধবি রাহেলাকে মোবাইল ফোনে জানায় শাকিল বাসায় একা রয়েছেন, ওর দিকে একটু খেয়াল রাখতে। এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাহেলা শাকিলের বাসায় এসে দেখেন সে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুর রহমান (পিপিএম) বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: আত্মহত্যা

আরও খবর
ঈদের পরে নতুন সময়ে চলবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




সোনিয়া গান্ধীর রেকর্ড ভেঙে ৪ লাখ ভোটে জিতলেন রাহুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভোটগণনার সাত ঘণ্টা যেতে না যেতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে, উত্তর প্রদেশের রায় বরেলি আসনে জয়ী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেটিও রেকর্ডগড়া ব্যবধানে। ওই আসনে নিকটতম প্রার্থীর চেয়ে চার লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন এ কংগ্রেস নেতা।

রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী রায় বরেলি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এবার সেই আসনে নির্বাচন করেন তার পুত্র রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীকে যে ব্যবধানে হারিয়েছিলেন সোনিয়া, এবার সেই ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করেছেন রাহুল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, রায় বরেলি আসনে রাহুল ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দিনেশ প্রতাপ সিংয়ের চেয়ে তিনি প্রায় চার লোখ ভোট বেশি পেয়েছেন।

কংগ্রেসের দুর্গ বলে পরিচিত রায় বরেলি আসনে ২০১৯ সালের নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর কাছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোটে হেরেছিলেন দিনেশ।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর কাছে হার স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির এ নেতা।

সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে তিনি জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও সিদ্ধান্তটি তাদের হাতে ছিল না।

নিউজ ট্যাগ: রাহুল গান্ধী

আরও খবর



সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি: জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বরাদ্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আছে অনেক পরিবার। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমেছে। শুক্রবার জেলায় বন্যা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ আর শনিবার সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৩৩ জনে। আর এ বন্যা আক্রান্তদের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ শ টন চাল ও নগদ সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়াতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার সার্বিক পরিস্থিতির দিকে সর্তক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। সরকারি- বেসরকারিভাবে শুকনো, রান্না করা খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আগের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হওয়াতে বন্যা পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্ট ছাড়া জেলার অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে।

তিনি জানান, সুরমা নদী সিলেট শহর পয়েন্টে বিদৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তবে জকিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা তাসলিম।

তিনি বলেন, উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, আগের মতই আছে। ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩০ থেকে ১৫০ পরিবার রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষজনকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের প্রশাসনের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট সিটি করপোরেশনের নয়টি ওয়ার্ড, সিলেট সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন, জৈন্তাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন, গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, কানাইঘাট উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন, জকিগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, বিয়ানীবাজার উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের নয়টি ওয়ার্ডসহ জেলার বন্যা কবলিত আটটি উপজেলার মোট ৬৮টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের ৭৮১টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বন্যা আক্রান্ত জনসংখ্যা ৬ লাখ ৯ হাজার ৩৩ জন।

বন্যা দুর্গতদের জন্য পুরো জেলায় ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩৪২ জন মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট মহানগর, সদর, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের বার্তায় বলা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ১৩ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য নগদ ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সাধারণের জন্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৯ লাখ টাকাএবং গো-খাদ্য বাবদ ৯ লাখ টাকা, ৪ শ মেট্রিক টন চাল এবং ১ হাজার ২৫০ বস্তা শুকনো খাবার রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা,শুকনো খাবার ২শ বস্তা,শিশু খাবার বাবদ ৫৫ হাজার টাকা এবং গোখাদ্য বাবদ ৫৫ হাজার টাকা।

গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা। জৈন্তাপুর উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬০ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬০ হাজার টাকা।

কানাইঘাট উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ৭৫ হাজার টাকা। জকিগঞ্জ উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৭৫ হাজার টাকা। বিয়ানীবাজার উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৮৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৮৫ হাজার টাকা।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা। সদর উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ  টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা।

বিশ্বনাথ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা। ওসমানীনগর উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৫৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৫৫হাজার টাকা। বালাগঞ্জ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ  টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৫৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৫৫হাজার টাকা।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর
গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




ভারতীয় মশলায় ক্ষতিকর জীবাণু, বিভিন্ন দেশে ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক ভারতীয় অভিনেতা এবং বর্তমানে খাদ্য সংক্রান্ত লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত মাধুর জাফরি তার এক প্রবন্ধে বলেছেন, ভারতীয়দের কাছে মশলা হলো রঙের বাক্সের রঙের মতো। বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে যেমন রঙের ঔজ্জল্য বাড়ানো যায়, ভারতীয়রাও সেভাবে যে কোনো মশলার স্বাদের তারতম্য ঘটানোর কৌশল জানে।’

ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মশলার প্রধান কাজ খাবারের স্বাদ বাড়ানো এবং ভারতীয় ডিশগুলোতে নানাভাবে মশলা ব্যবহার হয়, ফলে স্বাদেরও তারতম্য ঘটে। আপনি যদি একই খাবারের দু’টি ডিশের একটি ভাজা মশলা এবং অপরটি গুঁড়া মশলায় রান্না করেন— সে দু’টির স্বাদ ভিন্ন হবে।’

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রায় সব ডিশে মশলার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং গত বেশ কয়েক বছর ধরে বহির্বিশ্বে তা রপ্তানির কারণে ইতোমধ্যে মশলা উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র’ তকমা পেয়েছে ভারত। বিশ্বজুড়ে মোট উৎপাদিত মশলার ১২ শতাংশের উৎপাদন করে ভারত এবং প্রায় ১৮০টি দেশে রপ্তানি হয় বিভিন্ন ভারতীয় মশলা।

ভারতের অভ্যন্তরীণ মশলার বাজারের আকার ১ হাজার কোটি ডলার। এছাড়া বাইরের বিভিন্ন দেশে মশলা রপ্তানি করে প্রতি বছর ৪০০ কোটি ডলার আয় করে দেশটি। ভারতীয় মশলার সবচেয়ে বড় তিন ক্রেতা চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়েও মশলা রপ্তানি করেন ভারতীয় উদ্যোক্তারা।

বৈশ্বিক বাজারে ভারতীয় যেসব মশলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেগুলো হলো— মরিচ-ধনে-হলুদের গুঁড়া, এলাচ এবং মিক্সড মশলা। এসবের বাইরে  হিং, জাফরান, জায়ফল, মৌরি, লবঙ্গ এবং দারুচিনিরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। আর বিশ্বে ভারতীয় মশলা রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে দেশটির দুই কোম্পানি— এমডিএইচ এবং এভারেস্ট।

তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে এ দু’কোম্পানির পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মশলায় ভেজাল ও ক্ষতিকর উপাদান মেশানোর অভিযোগে অনেক দেশ সরকারিভাবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভারতীয় মশলা ক্রয়-বিক্রিয়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে।

গত মাসে সিঙ্গাপুর এবং হংকয়ের সরকারি প্রশাসন নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের তৈরি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসন বলেছে, এ দুই কোম্পানির পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড’ নামের একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। মানবদেহে দীর্ঘদিন ধরে এই উপাদানটি প্রবেশ করলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি থাকে।

এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুডস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) পরীক্ষাতেও এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্যে এথিলিন অক্সাইডের অতিমাত্রায় উপস্থিতি দেখা গেছে। এফডিএ’র একজন মুখপাত্র এ ইস্যুতে বিবিসিকে বলেন, ভারতীয় মশলায় ভেজালের অভিযোগ নতুন নয়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যত মশলা রপ্তানি করেছিল ভারত, সেসবের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্যাকেটের মশলায় ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছিল। এমডিএইচ এবং এভারেস্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানোও হয়েছিল— কিন্তু তারা অস্বীকার করেছে।

একই অভিযোগ করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউ’র নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচের গুঁড়া এবং গোলমরিচে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ, মালদ্বীপ এবং অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাও আমদানিকৃত ভারতীয় মশলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের মশলার ওপর যে এবারই প্রথম ভেজালের অভিযোগ উঠল— এমন নয়। ২০১৪ সালে কলকাতার জৈবরসায়নবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ইপ্সিতা মজুমদার গবেষণাগারে পরীক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মরিচ, হলুদ, ধনে, গরম মশলার গুঁড়া এবং কারি পাওডারে সীসা শনাক্ত করেছিলেন। পরে তিনি বলেছিলেন, মশলার গুঁড়ার ঔজ্জল্য বাড়াতে যে কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করছে; সেসব রঙই সীসার উৎস।

এমডিএইচ গত ১০৫ বছর ধরে গুঁড়া মশলার ব্যবসা করে আসছে। এই কোম্পানির উৎপাদিত ৬০টি ব্র্যান্ডের গুঁড়া মশলা বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়। অন্যদিকে এই ব্যবসার সঙ্গে এভারেস্ট যুক্ত আছে ৫৭ বছর ধরে। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের মতো সুপারস্টাররা এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদিও বারবার দাবি করে আসছে যে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার পরই মশলার গুঁড়া রপ্তানির ছাড়পত্র দেওয়া হয়, কিন্তু এফডিএ’র অভিযোগ— তারা যেসব নমুনা পরীক্ষা করেছে, সেগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে মান যাচাই পরীক্ষা করেনি ভারতীয় কৃর্তৃপক্ষ।

নয়াদিল্লি-ভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনশিয়েটিভস সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে—চীন, ইইউ যদি মশলার দূষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়— তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চীন এবং ইইউ যদি এ ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং আইনী পথ অবলম্বন করে, তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে যাবে।


আরও খবর



লিটনের ব্যাটে জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামলে বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসিয়েছেন লিটন দাস এবং তাওহীদ হৃদয়। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার পরপর ৩ বলে ৩ ছক্কা মেরে হৃদয় আউট হলেও লিটনের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে আছে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান। জয়ের জন্য ৪৮ বলে টাইগারদের প্রয়োজন ৩৩ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লেগ সাইডে শট খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে নুয়ান থুসারা বোল্ড করেন তানজিম তামিমকে।

৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দেখেশুনে খেলতে শুরু করেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত এবং লিটন দাস। দুজনে মিলে ২২ রানের জুটিও গড়েন। তবে ষষ্ঠ ওভারে থুসারার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ১৩ বলে ৭ রান করে ফেরেন অধিনায়ক।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং রিশাদ হোসেনের জাদুতে লঙ্কানদের অল্প রানেই আটকে দিয়েছে টাইগাররা।

২৮ বলে ৪৭ রান করেছেন নিসাঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট।


আরও খবর



ঢাকাসহ ১৬ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের পর সারাদেশে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করলেও গত কয়েকদিন থেকে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। দেশের ১৬টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। রবিবার (২ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

অন্যদিকে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

পূর্বাভাস বলছে, এবার একটু আগেই মৌসুমি বায়ু সারাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু সারাদেশে বিস্তার হলে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হবে আরও এক সপ্তাহ পর। তখন সারাদেশে বৃষ্টিপাত বাড়বে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও রংপুর বিভাগ ও সিলেট জেলা ছাড়া কোথাও বৃষ্টি হয়নি। এই দুই জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর
সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪