আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

দেশে ফিরেছেন এক লাখ ৬ হাজার হাজি, মৃত্যু ১১৮

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজ শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন এক লাখ ৬ হাজার ৫৪২ জন হাজি। এবার হজ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ১১৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, শনিবার রাত পর্যন্ত হজের মোট ফিরতি ফ্লাইট সংখ্যা ছিল ২৮৮টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৪১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১০৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ৪১টি ফ্লাইট রয়েছে। হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২ আগস্ট।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

এদিকে, এ বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৯২ এবং মহিলা ২৬ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৯৫, মদিনায় নয়জন, জেদ্দায় দুইজন, মিনায় নয়জন, আরাফায় দুইজন, মুজদালিফায় একজন মারা গেছেন।

আরও পড়ুন: আজ রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ পালনে সৌদি আরব যান। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইনসে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করে।


আরও খবর



বাজেট পাস হয়নি, অনেক কিছু পুনর্বিবেচনা করা সম্ভব : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জাতীয় সংসদের বাজেট পেশ করার পর নানা মহল থেকে নানা প্রতিক্রিয়া আসছে। আমরা সব প্রতিক্রিয়া আমলে নিচ্ছি। যেগুলো বাস্তবসম্মত এবং বাজেটে বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করা হবে। কারণ এখনো বাজেট পাস হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট পেশ করার পর নানা মহল নানা বক্তব্য দিচ্ছে। আবার অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাদের উদ্দেশে বলব আমাদের অর্থনীতি নিয়ে, বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক কি বলছে সেদিকেও নজর দিয়েন। বাজেট নিয়ে আরও বক্তব্য আছে, বিশ্বব্যাংক বলেছে ভালো হয়েছে। আমার টাকা লাগবে, বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে। না হলে আপনারা (সমালোচকরা) টাকা দেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব সরকার। অনেকেই বলে, সরকার শিগগিরই পড়ে যাবে, কই সরকার তো পড়ে না। সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে, দেউলিয়া মানে কি? দেউলিয়া তো হলো না। বিশ্বব্যাংক কিছু বোঝে না, আপনি সব কিছু বোঝেন? বাজেট দিলাম, এটা দেখেন ও বোঝার চেষ্টা করেন। এই বাজেট জনবান্ধব বাজেট। কোনো কিছুতে সমস্যা থাকলে পুনর্বিবেচনা করার সম্ভাবনা আছে।

সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্ব সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ।


আরও খবর



এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা সব শুক্রাণুর নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় প্রজননের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরেই পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) কমেছে। ৪০ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক দূষণ এটির কারণ হতে পারে বলে অনেক গবেষণায় ইংগিত দেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীনের জিনানে ৪০ জন সুস্থ পুরুষের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতালিতে আরেক গবেষণায় ১০ জন পুরুষের থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চীনের অপর এক গবেষণায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে।

সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ইঁদুরের স্পার্ম কাউন্ট কমে গিয়েছে। এছাড়া এটির কারণে অস্বাভাবিক আচরণ ও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এতে সবত্রই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রমাণ মিলছে। গত মে মাসে চালানো এক পরীক্ষায় ২৩টি পুরুষ অন্ডকোষের নমুনায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। এতে সবকটিতেই এ ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এর আগে মানুষের রক্ত, প্লাসেন্টা ও বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এ সব গবেষণার ফলাফলে মানবদেহে সর্বত্র ক্ষতিকর এ কণার উপস্থিতির ইংগিত মিলে। তবে স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব এখন জানা যায়নি। গবেষণাগারে দেখা গেছে, মানবদেহের কোষের ক্ষতি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

প্রতিবছর লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার একটি অংশ সৃষ্টিজগতের খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে গিয়ে মিশছে। এভারেস্ট পর্বতের চূড়া থেকে সমুদ্রের তলদেশেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষিত কণা পৌঁছে গেছে।

চীনের কিংদাও ইউনিভার্সিটির গবেষক নিং লি ও তার সহকর্মীরা জানান, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে বলে গবেষণা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে প্রজননের ওপর এটির সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তারা।


আরও খবর



কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, কল ড্রপ এখন একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে অসন্তোষের শেষ নেই। আমরা আগামী জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই অ্যাকশনে যাব। কল ড্রপের বিষয়ে কোনো মোবাইল অপারেটর ছাড় পাবে না।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।

পলক বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে কল ড্রপের হার কমিয়ে আনার জন্যই আজকে আমরা বৈঠকে বসেছি। সরকার মোবাইল অপারেটরদের যেসব সুবিধা দিয়েছে তার বিপরীতে গ্রাহকরা প্রতিশ্রুত সেবা পাচ্ছেন কি না সেটিই বড় বিষয়। সম্প্রতি বিটিআরসি কল ড্রপ নিয়ে যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব সন্তোষজনক নয়। মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের (মোবাইল অপারেটরদের) পরিষ্কার বার্তাটি দেওয়ার জন্য আজ আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা একটি স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই। কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে যে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পলক আরও বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কলড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টির ওপর জোর দেব। ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্র্যাজুয়ালি রোল আউট করা। আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমার বিশ্বাস এখানেও মনোযোগ দেবে।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৪২ মামলায় রাবির সাবেক শিবির নেতা ইমনের আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

২০১৩ সালে রাজশাহীতে আলোচিত পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলার এক আসামি আশরাফুল ইসলাম ইমন আত্মসমর্পণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আশরাফুল ইসলাম ইমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি। পরে, তিনি রাজশাহী মহানগর শিবিরেরও সভাপতি ছিলেন। এ‌ মামলাটি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেন, ইমন পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যার বিস্ফোরক মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত উনাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমনের বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হত্যা, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা, ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের ওপর নৃশংস হামলার পর পায়ের রগ কেটে দেওয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাকিমের রগ কেটে দেওয়া এবং আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মোট ৪২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে একাধিক মামলা এখনো চলমান আছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার রাজাহাতা লোকনাথ স্কুল মোড়ে তৎকালীন ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে পুলিশের চলন্ত ট্রাকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় পুলিশের বেশ কিছু সদস্য আহত হন। এর মধ্যে আহত কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারের অবস্থার গুরুতর হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ মারা যান। এছাড়া এ ঘটনায় আরও আহত হন ৮ পুলিশ সদস্য।

ওই রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপি সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপি সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও মহানগর জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ দলের সাড়ে ৩শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটে বৃষ্টিপাত ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজানের ঢলে আবারও বাড়তে শুরু করছে নদ-নদীর পানি। শনিবার (১৫ জুন) সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সিলেটের সকল নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি আবারো বিপদসীমার উপরে চলে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শনিবার সকাল ৯টায় তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। তাছাড়া লোভা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার, ডাউকি নদীর পানি ১০ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি ৯ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার এবং আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। আমরা সবাইকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়নের দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম সমন্বয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তাগণ, ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী দল অগ্রিম লোকজনকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছেন। কুইক রেসপন্স ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম ৪৭টি নৌকা প্রস্তুত রেখেছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে। আমাদের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বৃষ্টির কিছু পূর্বাভাস রয়েছে, তাছাড়া ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলারগুলোর ইউএনওদের সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে আমরা পত্র দিয়েছি, ঈদের সময় যদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে তারা যেন প্রস্তুত থাকেন। তাছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ আছে, এরকম পরিস্থিতি হলে আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে পারব। পাশাপাশি জেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে।


আরও খবর