আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই: টিআইবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’—শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির দাবি, বাসকর্মী-শ্রমিকেরা মনে করেন১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স-টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।

যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। মূলত বাসের যাত্রী, মালিক, বাসকর্মী ও শ্রমিকদের ওপর চালানো এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য উপস্থাপন করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকদের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭,৯০২ জন।


আরও খবর



ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠন। হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান সমর্থিত এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে গত শনিবার (২২ জুন) জামা ইসলামিয়া গ্রুপ তাদের কমান্ডার আয়মান গোতমেহের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে। লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা এলাকার খিয়ারায় অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

পরে ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে যে তারা সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে, ফজর ফোর্স, জামা ইসলামিয়া সশস্ত্র শাখা এবং হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী ছিলেন আয়মান গোতমেহের।

এদিকে রোববার হিজবুল্লাহ জানিয়েছে যে, তার যোদ্ধারা খিয়ারা শহরে ইসরায়েলি শত্রুদের হাতে তাদের কমান্ডার হত্যার জবাবে বেইত হিলেল ব্যারাকে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে যে, লেবানন থেকে একটি ড্রোন বেইত হিলেল এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এই ঘটনায় কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননে হামলা চালানো হলে তার পরিণত কতটা ভয়াবহ হতে পারে সে বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ইরান।

শুক্রবার (২১ জুন) ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে ও লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। ইসরায়েল যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে তা হবে দেশটির চূড়ান্ত পরাজয়।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তার পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী এলাকা সিকিম। সেখানে গত বছরের ভারী বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। সিকিমের সেই ভয়াবহ বৃষ্টির জন্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় বর্ষার পানিতে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল।

পুরোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে ফের সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানির স্তর বাড়লো। ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে আতঙ্কে তিস্তা নদীর পারে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বর্ষা মৌসুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

নদীর পানি বইছে প্রবল বেগে। ভাঙছে পাড়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টির জন্য বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি উত্তরবঙ্গের জেলাজুড়েই। আর গোটা দক্ষিণবঙ্গ অর্থাৎ কলকাতাসহ নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, জেলাগুলো ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে এই সব জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

চরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার দাপট চলবে হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমানসহ বেশ কিছু জেলায়।

তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ জুন) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ও রোববার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস থাকবে।


আরও খবর



হাসিনা-মোদি বৈঠকে ১০ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত হয়েছে ১০টি সমঝোতা স্মারক। যার মধ্যে ৩টি সমঝোতা নবায়ন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার পর ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সই হলো যেসব সমঝোতা স্মারক:

১. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ।

২. ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গ্রিন পার্টনারশিপ।

৩. সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি।

৪. স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো সমঝোতা নবায়ন।

৫. ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা।

৬. দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত সমঝোতা।

৭. সমুদ্র বিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের সমঝোতা।

৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন।

৯. মৎস্যম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন।

১০. কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এর আগে দিল্লির স্থানীয় সময় ৯টার দিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

সকাল ১০টার দিকে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে থাকা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লির তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের শিল্পপতিদের আহ্বান জানান।

সন্ধ্যায় একই হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রাসহ দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সৌজন্য বৈঠক।

এই বৈঠকের পর তাজ প্যালেসেই সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বিশেষ আগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটেও।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদী। পাউবোর তথ্য মতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছাতক পৌরশহরের বাগবাড়ী, মন্ডলীভোগ, হাসপাতাল রোড, তাঁতিকোন, বৌলা, চরেরবন্দ, মোগলপাড়া, ঢাকাইয়া বাড়ি, লেবারপাড়া, পাটনীড়া, কুমনা, শ্যামপাড়াসহ আবাসিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বসবাসরত মানুষজন। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রাথমিক সব ব্যবস্থা রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

ছাতকসহ পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই ছাতকের বহু গ্রামীণ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

ছাতক পৌর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ আমান বলেন, ২২ এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। আমার ২ মেয়ের কেউ সাঁতার জানে না। কী হবে এখনো জানি না।

বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামি আহমেদ বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদেই আছি। কিন্তু আমাদের গবাদি পশু নিয়ে পড়েছি বিপাকে। আমাদের মতো তারাও না খেয়ে আছে।

ছাতক উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিসহ অবস্থায় দিন পার করছে। উপজেলার ইছামতি-ছনবাড়ীবাজার, শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-সুনামগঞ্জ, ছাতক-দোয়ারাবাজার  সড়কের বিভিন্ন নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ছাতক পৌরসভারসহ নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, জাউয়া, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, দক্ষিণ খুরমা, ভাতগাঁও, দোলারবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় সকলকে মানবীয় কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



বাজেট: দাম বাড়ছে এসি-ফ্রিজের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এত দিন রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারত। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে সেই রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্রিজে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পণ্য দুটির দাম বাড়তে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারে। এয়ারকন্ডিশনার স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করে না বিধায় এর আমদানি শুল্কে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এছাড়া বর্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসর উৎপাদন হয় বিধায় এ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন হতে কম্প্রেসর প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি জুন, ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখার লক্ষ্যে এর কার্যকারিতার মেয়াদ উল্লেখ করার সুপারিশ করছি। এছাড়া দেশীয় কম্প্রেসর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য ধার্য করার প্রস্তাব করছি।

দেশের বাজারে যত ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বিক্রি হয়, তার ৯০ শতাংশই দেশে উৎপাদিত। দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো যেমন দেশে ফ্রিজ উৎপাদন করছে, তেমনি বিদেশি ব্র্যান্ডের কারখানাও হয়েছে। দেশি তৈরি ফ্রিজে ভ্যাট আড়াই শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। 


আরও খবর