আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

দেশজুড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব, বিভিন্ন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দমকা হাওয়াসহ ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে দেশের উপকূল অঞ্চলে। এর প্রভাবে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রামে সাত জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুর্যোগের পূর্বেই সঠিক পূর্বাভাস এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রতিফলনস্বরুপ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়েও তেমন কোন প্রভাব পড়েনি।

তবে অনেক জেলায় দুর্বল বাঁধের কারণে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে উপকূলে। পটুয়াখালীতে উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে একজন এবং সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একজনের প্রাণ গেছে। মোংলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে শিশুসহ দুইজন। এছাড়াও বরিশাল, ভোলা ও চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে খুলনার কয়রা অতিক্রম করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিতে পারে।

এরইমধ্যে রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে কয়রা, খুলনার কাছে অবস্থান করছে। এরপর ধীরে ধীরে সমুদ্র এবং উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ শান্ত হয়ে উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত বাড়বে ঢাকাসহ এর আশপাশের এলাকায়। সকাল থেকে ঢাকায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চীদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বারে এনপিও উদ্যোগে “উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল” বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) সহযোগিতায় এবং ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার সকালে চিটাগাং চেম্বারের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বক্তব্য রাখেন।

এনপিও উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ ফাতেমা বেগম কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মাহবুবুল হক মিয়া, এনপিও এর গবেষণা কর্মকর্তা ফারজানা হকসহ এনপিওএর কর্মকর্তা, বিকেএমইএ, বিএসআরএম, কেডিএসর কেওয়াইসিআর, সাইফ পাওয়ারটেক, রিয়ালেন্স শিপিং লিঃ, বনফুল, রাবার ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, আমাদের প্রতিযোগী দেশের চেয়ে উৎপাদনশীলতা এর ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে। আবার উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহারেও আমরা পিছিয়ে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। দেশের অর্থনীতিতে প্রাইভেট সেক্টর ভূমিকা রাখলেও গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কিভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে গবেষণা করা এই সেক্টরের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই উৎপাদনশীল শিল্পের চাহিদানুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনপিওকে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে গবেষণা করার দরকার।

জানা যায়, দেশের শিল্প কারখানার শ্রমিক এবং কর্মকর্তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আবেদনের ভিত্তিতে ফাইভএস টেকনিক, কাইজেন প্র্যাক্টিস, টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট, টোটাল প্রোডাকটিভ মেইন্টেন্যান্সসহ ২৮ ধরণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিনামূল্যে এইসব প্রশিক্ষণ নিতে পারে যেকোন শিল্প প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এনপিও।


আরও খবর



ভোটে এগিয়ে কঙ্গনা, জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গণনা পুরোদমে চলছে। এই বছর নির্বাচনে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডকে যেমন মাতিয়েছেন, তেমনই কি রাজনীতিতেও নেত্রী হিসেবেও পাকাপাকি জায়গা তৈরি করতে পারবেন কঙ্গনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। প্রথম ৩০ মিনিট পোস্টাল ব্যালট গণনা থেকেই হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে এগিয়ে ছিল কঙ্গনা।

জানা যায়, এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন এ অভিনেত্রী। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।

বিজেপির টিকিটে প্রথমবার ভোটে লড়ে সংসদ হওয়ার পথে তিনি। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গণনা অনুসারে, মান্ডি থেকে কঙ্গনা ৩০২৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনে জিতলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেবেন। সমস্ত সময়টাই রাজনীতির জন্য ব্যয় করবেন। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলেরই মেয়ে কঙ্গনা রানাউত।

নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় কারার জন্য বার বার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাকে। প্রচারে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে কঙ্গনাকে এখনও রাজনীতিতে নবিশ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

গত ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মান্ডিতে পদ্ম ছাপ ফেলেছিল। বিজেপির রাম স্বরূপ শর্মা দু বছরই মান্ডি আসন থেকে নির্বাচনে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর ২০২১ সালে উপ-নির্বাচন হলে ক্ষমতাচ্যুত হয় গেরুয়া শিবির। বিক্রমাদিত্য-র মা প্রতিভা সিং উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন।

২০০৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে কঙ্গনা ডেবিউ করেন বলিউডে। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।


আরও খবর



অভিনেত্রী সীমানা মারা গেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনেত্রী ও মডেল রিশতা লাবণী সীমানা মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে অনন্তের পথে পাড়ি জমালেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৬টায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সীমানা। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

অভিনেত্রী সীমানার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেদিন রাতে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জানা যায়, তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমানাকে ধানমন্ডির আরেকটি হাসপাতালে স্থানান্তর হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিগত কয়েক দিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৫ মে এ হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। গত বুধবার বিকেল থেকে সীমানার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমইউ) চিকিৎসা চলছিল।

অভিনেত্রী সীমানা ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে আসেন। তিনি দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন। সিনেমায় সাফল্যের পর নাটকে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন সীমানা। ২০১৬ সাল থেকে অভিনয় থেকে দূর ছিলেন। গত বছর আবারও নাটকে অভিনয় শুরু করেছিলেন এ অভিনেত্রী।


আরও খবর



বিক্ষোভে উত্তাল আর্জেন্টিনা, ব্যাপক সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) এ সংঘর্ষ হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি বাড়ার সঙ্গে উত্তেজনাও বাড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত বিলের ওপর কংগ্রেসে আলোচনা চলছিল। বাইরে হাজারো বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। প্রথমত তারা রাস্তার বারবিকিউ, পিকেটিং এবং প্রতিবাদী গান দিয়ে দিনটি শুরু করেন। কিন্তু বিকেলে কংগ্রেস ভবনের অভ্যন্তরে সিনেটরদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হলে বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা হেলমেট, লাঠিসোঁটা, ঢাল, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জনতার দিকে তেড়ে আসে। এতে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে আক্রমণ করে। তারা অন্তত দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও রাস্তার বেরিকেড ভেঙে ফেলে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে পিপার স্প্রে করারও অভিযোগ উঠেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিপার স্প্রের কারণে সাতজন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিকে ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। তারা অন্তত ১৮ জনকে আটক করেছে। আর্জেন্টিনার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের নামে একটি বিল পাস করাতে চাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেইর। তার সেই বিলের প্রস্তাবে রয়েছে, এক বছরের জন্য দেশটিতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি, রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাসহ কয়েক ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট মিলেইকে ক্ষমতা দেওয়াসহ আরও কিছু বিষয়।

নিউজ ট্যাগ: বুয়েনস এইরেস

আরও খবর



বাজেট: দাম বাড়ছে কোক, স্প্রাইট ও পেপসির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর কর আরোপ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে করে কোক, স্প্রাইট ও পেপসিসহ কোমল পানীয়র দাম বাড়বে। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে বাজেট প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়, পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এটি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসানের প্রথম ও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। নানা সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। এজন্য এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মিষ্টি পানীয় উৎপাদন থেকে আয়ের ওপর বিদ্যমান হার ০.৬ শতাংশের পরিবর্তে কার্বোনেটেড বেভারেজের অনুরূপ ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর আরোপের প্রস্তাব করছি। একইসাথে, যেকোনো ট্রাস্ট হতে টার্নওভার কর সংগ্রহ করার প্রস্তাব করছি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে। যদিও গত ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।


আরও খবর