আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার জুড়ি নেই: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার জুড়ি নাই। ভালো কাজের সঙ্গে শেখ হাসিনা আছেন। তিনি অসহায় দুস্থ মহিলাদের কষ্ট বোঝেন। এ জন্য তিনি নামকাওয়াস্তে কাজ, রাস্তায় ছোট ছোট ভাঙন, অন্যান্য কাজ করার বিনিময় আপনাদের টাকা দিচ্ছেন। এক দিকে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, অন্য দিকে আপনারা কাজের বিনিময় টাকা পাচ্ছেন, ভিক্ষা করতে হলোনা। কাজের বিনিময়ে টাকা নিলে গর্ব থাকে। এ পলিসিটা শেখ হাসিনা করেছেন, যাতে আপনার সম্মান থাকে।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে, সড়ক রক্ষনাবেক্ষনে নিয়োজিত মহিলা শ্রমিকদের চুক্তির মেয়াদ শেষে তাদের সঞ্চয়ী আমানতের টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গরীব অসহায় মহিলারা কখনো কল্পনা করেননি, তারা জনপ্রতি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে পাবেন। আপনাদের এই সঞ্চয়ের টাকা খেয়ে ফেলবেন না, নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য যে কোন ভালো কাজে ব্যবহার করবেন। সব সময় মাথায় রাখবেন শেখ হাসিনা আপনাকে ভালোবাসে, আপনারও দায়িত্ব তাকে ভালোবাসা।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী ও সুলতান মাহমুদ খান প্রমুখ।

এ সময় সড়ক রক্ষনাবেক্ষণ কাজের ৪ বছর শেষ হওয়ায় তাদের পারিশ্রমিক থেকে সঞ্চয় টাকার মোট ৯৫ জন নারীকে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার চেক ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কের পার্শ্ব রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিপাটি রাখা এবং সড়কের গাছের পরিচর্যার বিনিময়ে দৈনিক ২৫০ টাকা ও মাসিক ৫ হাজার ২৭০ টাকা প্রাপ্ত হন।

এর আগে শ ম রেজাউল করিম নাজিরপুর আরএইচডি রোড থেকে উপজেলা বাইপাস সড়ক কার্পেটিং কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।


আরও খবর



রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় চার সবজিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী ঔষধি গুণের উদ্ভাবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শাক হিসেবে পালংপাতা বেশ জনপ্রিয়। এর সাথে যখন টমেটো, ধনিয়া পাতা মিশিয়ে সবজি তৈরি করা হয় তখন এটির স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি পুষ্টিউপাদান হাজারগুণে বেড়ে যাবে। পাশাপাশি খাবার তালিকায় লেবু থাকলে এতে যোগ করে ভিন্নমাত্রা। এমনি চার ঔষধি গুণসম্পন্ন ভোজ্য খাবার, যা ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয়। রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, কিডনি রোগ প্রতিরোধকসহ বিভিন্ন রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে।

একদল গবেষককে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধী ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করে আসছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম। তাঁর গবেষক দল ড. মো. গোলাম সাদিক, ড. মামুনুর রশীদ, ড. আজিজ আব্দুর রহমান এবং বেশ কিছু ছাত্র মিলে বাংলাদেশের মার্কেটে পাওয়া যায় এমন ভোজ্য খাবারের (Edible Foods) প্রায় ৬৮টি প্রকরণ সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ৩১টি শাকসবজি, ১৭টি ফলমূল এবং ২০টি মসলা ছিল যা নিয়ে গবেষণা করে যাচাই করার চেষ্টা করেন এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা পালন করে কিনা।

এই গবেষণার বিশেষত্ব হলো আলাদা আলাদা কয়েক ধরনের ক্যান্সার কোষ ব্যবহার করা যেমন ফুসফুস, সার্ভিকাল, কিডনি, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন প্রায় সকল ভোজ্য খাবার গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা। আশ্চর্যজনকভাবে ৪টি ভোজ্য খাবারে কার্যকর ভূমিকা পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গবেষণায় তাঁরা প্রমাণ করেন টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধী।

গবেষণাটি ২০২৪ সালে পহেলা জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত 'ক্যান্সার রিসার্চ' (Cancer Research) জার্নালে প্রকাশিত হয়। অপর একটি পর্যালোচনা নিবন্ধে ১১টি ভোজ্য খাবারের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী (boost up) করায় আমেরিকা থেকে প্রকাশিত 'হেলিয়ন' (Heliyon) জার্নালে ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

ড. খুরশীদ আলম বলেন, ভোজ্য খাবারের এই উপাদানগুলো শরীরে ২টি মাত্রায় বাড়তি সুরক্ষা দেয় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। এদের পুষ্টি উপাদানগুলো একদিকে দেহের ইমিওনিটি বুস্ট আপ করে আবার সুস্থ কোষকেও ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। সুস্থ কোষগুলো আশেপাশের ক্যান্সার কোষকে নিধন করতেও সক্ষম হয়। এই খাবারগুলো সহজলভ্য এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সত্যি বলতে এগুলো আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। অবচেতনভাবে আমরা এগুলো গ্রহণ করে থাকি। আমরা যদি জানতে পারি, কোনগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক, তাহলে সেই অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরি করতে পারলে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার গোটা বিশ্বে অন্যতম মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে এর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্য খাদ্যসামগ্রী, যেগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে সেগুলোর সনাক্তকরণ ও সঠিক ব্যবহার আক্রান্তের হারকে অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারে।

ফার্মেসির অধ্যাপক ড. খুরশীদ আলম উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বায়োমার্কার অথবা ক্যান্সার ইনিশিয়েটিং সেল (সিআইসি) নির্ণয় করার মতো কোনো যন্ত্র এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বলে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ২০ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ রোগী নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে প্রায় এক লাখ মারা যায়। এছাড়াও ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ মিলিয়ন যা প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন ক্যান্সারে মারা গেছে।

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের (এনসিআই) দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার এবং ২০৪০ সালের মধ্যে যা ১ম স্থান দখল করবে বলে গবেষকদের ধারণা। বাংলাদেশেও মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার। অতএব কীভাবে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটাই এখন সকলের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় এখনি সরকারকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে এটিকে কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি গবেষকদেরও ক্যান্সার চিকিৎসায় বিকল্প পদ্ধতি বের করার প্রতি জোর দিতে হবে। এই সব চিন্তা মাথায় রেখেই ড. খুরশীদ আলম ও তাঁর গবেষক দল প্রমাণ করলেন সবজির মধ্যেই রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ।

এর আগে, ড. খুরশীদ তুঁত ফল, বাকল ও মূল নিয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ আবিষ্কার করেন। গবেষণাপত্রটি ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োমেড সেন্ট্রাল রিসার্চ নোট। পরে আরেকটি গবেষণা নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী পোলস ওয়ান-এ গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সালে ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন স্বর্ণপদক পান। এছাড়াও তাঁর ৯৪টি গবেষণাপত্র দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: রাজশাহী

আরও খবর



বিশ্ব শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্ব শান্তি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। শান্তি সূচকের এ তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম।

মঙ্গলবার (১২ জুন) প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৪-এর প্রতিবেদন। এই তালিকা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস’ নামের একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সামরিকীকরণ এবং চলমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেশগুলোকে মুল্যায়ন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (জিপিআই) ২০২৪-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২ দশমিক ১২৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৯৩তম স্থানে একটি মাঝারি মানের শান্তির দেশ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সূচকে যে দেশের স্কোর পয়েন্ট যত কম সেই দেশ তত বেশি শান্তিপূর্ণ। তারা বিশ্ব শান্তি সূচক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ উৎস থেকে ২৩টি গুণগত এবং পরিমাণগত সূচক ব্যবহার করেছে। সেইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার মাত্রা, চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিধি এবং সামরিকীকরণের মাত্রা এই তিনটি ক্ষেত্রে শান্তি পরিস্থিতি পরিমাপ করেছে।

চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৫১৫, সামাজিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩২২ এবং সামরিকীকরণ ক্ষেত্রে ১ দশমিক ৫০৬ স্কোর পেয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভুটান। বিশ্ব শান্তি সূচকে ২০১১ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছে ভুটান। বিশ্বে সব থেকে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ২১তম স্থানে আছে এই দেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পরেই আছে নেপাল। বিশ্ব সূচকে নেপাল ৮১তম আর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ এবং বিশ্বে ১১০তম স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ভারত। বিশ্বে ভারতের অবস্থান ১১৬তম। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় পাকিস্তান ১৪০তম এবং আফগানিস্তান ১৬০তম স্থানে আছে।


আরও খবর



বলিভিয়ায় অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ, সেনাপ্রধান গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বলিভিয়ায় সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল হুয়ান হোসে জুনিগাকে।

এর আগেই জেনারেল জুয়ানকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে বরখাস্ত করেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি। আটকের পর সদ্য সাবেক সেনাপ্রধানকে কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

বলিভিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিতে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

রাজধানী লাপাজের ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল প্লাজা মুরিলো চত্বরে গতকাল জড়ো হতে থাকেন সেনাসদস্যরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ট্যাংকসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যানও ছিল। এই চত্বরে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কংগ্রেস ভবন রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানান, অভিযানের একপর্যায়ে একটি ট্যাংক প্রেসিডেন্টের বাসভবনের ধাতব ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালায়।

সেনারা যখন প্লাজা মুরিলো চত্বরে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে জড়ো হন, তখন নিজের বাসভবনেই ছিলেন প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে তিনি এক বার্তায় বলেন, দেশ আজ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছে। আবারও বলিভিয়ার গণতন্ত্রকে কাটছাঁট করার স্বার্থের মুখে পড়েছে আমাদের দেশ।

এ সময় জনগণের সহায়তা চান প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি। তিনি বলেন, আমি বলিভিয়ার জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আজ সংঘটিত হওয়া এবং গণতন্ত্রের পক্ষে থেকে অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।

এর কয়েক ঘণ্টা পর প্লাজা মুরিলো চত্বর থেকে সেনাসদস্য ও ট্যাংকগুলোকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। আলজাজিরার প্রতিবেদনের তথ্য, অভিযানের সময় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে অবস্থান করছিলেন জেনারেল হুয়ান। তাঁকে ঘিরে ছিল সেনাসদস্যসহ আটটি ট্যাংক। এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি।

সেনাবাহিনীর এই অভিযানের পরপরই জেনারেল হুয়ানকে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি। নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হোসে উইলসন সানচেজকে। তিনি সেনাসদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ আহ্বান জানান প্রেসিডেন্টও। এর কিছুক্ষণ পরই সেনাসদস্য ও ট্যাংকগুলোকে প্লাজা মুরিলো চত্বর থেকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।


আরও খবর



বিচ্ছেদ নিয়ে শাকিরার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। কণ্ঠ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। তবে ব্যক্তিজীবন নিয়ে বরাবরই ছিলেন আলোচনায়। সবশেষ স্প্যানিশ ফুটবল তারকা জেরার্ড পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেই বিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী রোলিং স্টোনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন সে সময় তার মানসিক অবস্থা কতটা ভয়ংকর ছিল।

সাক্ষাৎকারে শাকিরা বলেন, বিচ্ছেদ সবসময়ই কষ্টের। এর মধ্যে কোনও আনন্দ নেই। তবে অনেকেই বিষয়টি সাধারণ ভাবেই মোকাবিলা করতে পারে। কিন্তু আমি সেটি পারিনি। সে সময়টিতে আমাকে ভয়ংকর যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। মনে হচ্ছিল কেউ আমার হৃদয় টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে। হৃদয়ের যন্ত্রণা এতটাই ছিল, যে মনে হচ্ছিল আমার শরীরের কেউ সজোরে আঘাত করছে। এই হৃদয় ভাঙার বর্ণনা শুনতে সহজ হলেও, যে অনুভব করছে শুধু সেই বুঝতে পেড়েছে।

২০২২-এর জুন মাসে বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শাকিরা ও পিকে। তাদের ১১ বছরের জীবনে মিলান ও সাশাক নামে দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের কারণেই পিকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ নিয়েছেন বলেও জানায় এই শিল্পী।


আরও খবর



সাপের শরীরে কীভাবে প্রাণঘাতী বিষ তৈরি হয়, কী বলছে বিজ্ঞান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি দেশের অন্তত ২৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বিশেষ করে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহীসহ পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রবের কারণে জনমনে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে দেশবাসীর মধ্যেও।

পদ্মার তীরবর্তী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর চরেই জেঁকে বসেছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। গত তিন মাসে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরেছেন অন্তত ৩৫ থেকে ৪০টি সাপ।

ওই চরে ভুক্তভোগীর এক স্বজন জানান, তার বোনজামাই ভুট্টা আনতে গেলে সাপ ছোবল মারে। সেই সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। পরে তার বোনজামাইকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়েছিল। সেখানে অ্যান্টিভেনম দিলেও বিষক্রিয়া থামানো যায়নি। পরে রাজধানী ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মনে জেগে উঠতে পারে প্রাসঙ্গিক একটি প্রশ্ন। রাসেলস ভাইপারের মতো বিষধর সাপগুলো কীভাবে নিজের শরীরে এমন প্রাণঘাতী বিষ তৈরি করে?

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাপের বিষ হলো একটি অত্যন্ত বিষাক্ত লালা। সাপ তার মাথার পিছনের দিকে চোখের নিচে থাকা অতিক্ষুদ্র গ্রন্থিগুলোতে তৈরি করে এই বিশেষ লালা। এই গ্রন্থিগুলো সাধারণত পেশীবহুল আবরণে আবদ্ধ থাকে।

উৎপন্ন এই বিষ অ্যালভিওলি নামক অপেক্ষাকৃত বড় একটি গ্রন্থিতে জমা হয়। ছোবল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রন্থি থেকে অতিসরু নালী দিয়ে সাপ এর ফাঁপা বিষদাঁত (ফ্যাং) দিয়ে শিকারের রক্তনালীতে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। নির্গত এই বিষে ২০ টিরও বেশি বিভিন্ন যৌগ রয়েছে, যা বেশিরভাগই প্রোটিন এবং পলিপেপটাইড। এই বিষ শিকারের স্নায়ুতন্ত্রসহ পেশিকে অকেজো করে দেয়।

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ যাকে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় আবারও দেখা মিলছে এই সাপের। গবেষকরা বলছে, প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে স্বভাব পরিবর্তন করছে রাসেলস ভাইপার।

সাপ ও সরীসৃপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রমন বলেন, সঠিক সার্ভে না করেই বাংলাদেশ থেকে রাসেলস ভাইপার বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপটি টিকে ছিল। পরবর্তীতে গঙ্গা হয়ে পদ্মা দিয়ে ২০০৯-১০ সালে ভেসে এসে পদ্মার চরাঞ্চলে অবস্থান নেয়। পরে তারা বংশ বিস্তার করে এবং বন্যায় এগুলো বিভিন্ন জেলায় ভেসে যায়।

চন্দ্রবোড়া সাপের দেখা মিলছে যেসব এলাকায়, সেখানকার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানালেন, সংকট আছে অ্যান্টি ভেনমের। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অ্যান্টি ভেনেমের কোনো সংকট নেই।


আরও খবর