আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও অন্যান্য মেগা প্রজেক্টের সঙ্গে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগ আলী এলাকায় বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তির কারণ ড্রেনেজ সিস্টেম খারাপ। তবে, এই প্রকল্পের কাজে এর মধ্যেই ৬৩ দশমিক ২৭ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। ভোগান্তি এই বর্ষাকালেই হবে, আর হবে না।

এ সময় নির্মাণ কাজের সাময়িক যন্ত্রণাকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিআরটি প্রকল্প চালু হলে দুই পাশে প্রতি ঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করা যাবে। গাজীপুর থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।

এই প্রকল্প ত্রুটিপূর্ণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এডিবি বারবার এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছে। ডিজাইনের কোনো ত্রুটি থাকলে এডিবি অর্থায়ন করত না। কাজটা শেষ হয়ে গেলে সব প্রশ্নের অবসান হবে।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব আবুবকর সিদ্দিকসহ সড়ক পরিবহণ ও সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরই মধ্যে দেশের সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বরসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

অপরদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রবিবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পরের দিন সোমবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




পাকিস্তানে বাস উল্টে নিহত ২০, আহত ২১

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নারীসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১ জন। শুক্রবার (৩ মে) ভোরে দেশটির গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি কারাকোরাম হাইওয়েতে বাক নেওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়।

ভয়াবহ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের সম্ভাব্য সকল চিকিৎসা’ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



পেরুতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পেরুতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

কাজামারকা অঞ্চলের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর ওলগা বোবাডিলা স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে জানিয়েছেন, রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাসটি সেলেনডিন থেকে সোরোচুকো শহরের দিকে যাচ্ছিল। অসমতল রাস্তার কারণে হঠাত বাসটি উল্টে নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় সরকার এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।

পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

গত বছর, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০০ জনেরও বেশি প্রাণহানির তথ্য নিবন্ধিত করা হয়েছে।


আরও খবর



রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে জিতলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। মান বাঁচালেন বোলাররা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৫ রানে জিতলো বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে ৪-০ ব্যবধান করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলে দুদল। বাংলাদেশ সময় ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা উড়ন্ত সূচনা পেলেও নাটকীয় ব্যাটিং ধসে দলীয় ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। এদিন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতে ১১.২ ওভারে ১০১ রানে তোলে বাংলাদেশ। তবে এরপর দলীয় ৪২ রানের মধ্যেই ১০ উইকেট খোয়ায় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন এসেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান।

১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম ওভারেই আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। ব্রায়ান বেনেটকে তিনি শূন্য রানে ফেরান। এরপর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে (১৭) বোল্ড করেন এই পেসার। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে এলবি করে ১৪ রানে ফেরান সাকিব আল হাসান।

এরপর ভালো খেলতে থাকা জোনাথন ক্যাম্পবেলকে অধিনায়ক শান্তর ক্যাচে ফেরান সাকিব। ২৭ বলে ৩১ রান করেন ক্যাম্পবেল। রিশাদ হোসেন মাঝে ক্লাইভ মাদান্ডেকে এলবি করে আউট করে। পরে দলীয় ১৫তম ওভারে আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজুর রহমান রায়ান বার্ল (১৯) ও লুক জঙ্গুয়েকে আউট করলে খেলা জমে ওঠে।

যদিও ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটিং বাংলাদেশকে চোখ রাঙ্গাচ্ছিল। ১০ বলে ১১ করা ফারাজ মোস্তাফিজের তৃতীয় শিকার হন। আর শেষের দুই ব্যাটার ব্লেসিং মুজারবানি ও রিচার্ড এনগারাভাকে আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন সাকিব। তবে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী ও তানজিদ তামিমরা ক্যাচ না ছাড়লে সহজ জয়ই পেতে পারতো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সাকিব সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান। এছাড়া মোস্তাফিজ ৩টি উইকেট দখল করেন।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার ধীরে খেললেও তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। চার-ছক্কায় জিম্বাবুয়ে বোলারদের দিশেহারা করেন। এরপর হাত খোলেন সৌম্য। তাদের জুটি ১০১ রানে। তারা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দলীয় বড় স্কোরের।

কিন্তু দুজনেই ৭ রানের ব্যবধানে লুক জঙ্গুয়ের বলে আউট হন। তানজিদ ৩৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। এই সিরিজেই অভিষেক হওয়ার পর এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এলবি হওয়া সৌম্য ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ করেন।

এরপরই শুরু হয় সেই নাটকীয় ব্যাটিং ধস। যেখানে তাওহিদ হৃদয় ১২ রান করলেও দলের আর কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর ফেরা সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ১ রানে ব্রায়ান বেনেটের বলে বোল্ড হন। অধিনায়ক শান্তও একই বোলারের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।

জঙ্গুয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা ও বেনেট।

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সম্ভাবনাও জাগাল।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর