আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ঢাকায় ফিরলেন পিটার হাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকায় ফিরেছেন। সোমবার সকালে তিনি ঢাকায় ফেরেন। শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন পিটার হাস।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মার্কিন তাগিদ ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১৬ নভেম্বর ঢাকা ছাড়েন পিটার হাস।

মার্কিন দূতের ঢাকা ছাড়া নিয়ে নানামুখী কথা শুরু হয়। তিনি কোথায় গেছেন কেন গেছেন এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য ঢাকায় দেশটির এক কূটনীতিকের দাবি, রাষ্ট্রদূত ছুটি কাটাতে গেছেন।

পিটার হাস যখন ঢাকায় নেই, সেই একই সময়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও ছুটিতে কর্মস্থলের বাইরে আছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে আছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান, মোহাম্মদ ইমরান সরকারের যথাযথ অনুমোদন নিয়েই পারিবারিক ছুটিতে আছেন। সহসাই তিনি ওয়াশিংটনে ফিরবেন।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলেছিল, কূটনৈতিক প্রটোকল অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রদূত বাইরে গেলে স্বাগতিক দেশকে জানিয়ে যান। পিটার হাস বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে গেছেন।

তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছিলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্যটা পাবলিকলি জানাবে না। একজন রাষ্ট্রদূত কোথায় গেছেন কতদিনের জন্য যাচ্ছেন, এটা কিন্তু অফিশিয়ালি জানাতে হয়। এটা পাবলিকলি জানানোর কথা নয়।

বিদেশি দূতদের অবস্থান বিষয়ে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সেহেলী সাবরীন বলেন, বাংলাদেশে যারা বিদেশি মিশন প্রধান বা রাষ্ট্রদূত আছেন, তারা যখন স্টেশন লিভ করেন তারা আমাদের প্রটোকলকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে যান। একইভাবে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা যখন লিভ করেন হেডকোয়ার্টারকে জানাতে হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এবং ওখানকার সরকারকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে আসতে হয়। এছাড়া তার অবর্তমানে যাকে দায়িত্বে দেওয়া হয় তার নামটা প্রকাশ করতে হয়। এটা একটা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া।

পিটার হাসকে মারধর ও হত্যার হুমকি এসেছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় তার দেশ ত্যাগ রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: পিটার হাস

আরও খবর



স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিশাল পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাপ্ত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ধ্বংস করছে পুরো গাজাকে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইসরাইল যে গণহত্যা চাচিয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তাদের শাস্তি জানাই।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর



পেরুতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পেরুতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

কাজামারকা অঞ্চলের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর ওলগা বোবাডিলা স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে জানিয়েছেন, রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাসটি সেলেনডিন থেকে সোরোচুকো শহরের দিকে যাচ্ছিল। অসমতল রাস্তার কারণে হঠাত বাসটি উল্টে নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় সরকার এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।

পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

গত বছর, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০০ জনেরও বেশি প্রাণহানির তথ্য নিবন্ধিত করা হয়েছে।


আরও খবর



দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



আবার আটকে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদারি কোম্পানি ইতাল-থাইয়ের শেয়ার চীনের সাইনোহাইড্রো করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরে দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আবার আটকে যাওয়ায় সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পে নির্মাণকাজে ফের বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা তৈরি হলো।

গত সোমবার সাইনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন হাইকোর্ট। কিন্তু বাদী পক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের ওই আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ দিন আদালতে ইতালিয়ান-থাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। আর সাইনোহাইড্রোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

ইতাল-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তাদের শেয়ার সাইনোহাইড্রোর কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এতে হঠাৎ করেই নির্মাণ কাজ থেমে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মগবাজার অংশে। চলতি বছরেই অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

তিন কোম্পানির এ দ্বন্দ্ব অবশ্য শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগে। ২০১১ সালে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পায় থাইল্যান্ডের কোম্পানি ইতাল-থাই। তবে অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় আট বছরেও কাজ শুরু করতে পারেনি কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে চীনের দুই কোম্পানি শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ও সাইনোহাইড্রোকে যুক্ত করে শুরু হয় কাজ। এ কাজে তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের শেয়ার দাবি করে সাইনোহাইড্রো। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শুরু হয় আরবিট্রেশন। এদিকে বিষয়টি হাইকোর্টে নিয়ে যায় ইতাল-থাই। এরই মধ্যে প্রকল্পে ঋণ সহায়তা স্থগিত করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক। তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলা দ্বন্দ্বে থমকে যায় রাজধানীর যানজট নিরসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ। শঙ্কায় এখন পুরো প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা নিয়েও।

বিওওটি ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে নির্মাণ চুক্তি হয়। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।

আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অংশ উদ্বোধন করা হয়। পরদিন এই অংশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেট-সংলগ্ন র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।


আরও খবর



হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিনদিনের (১২-১৪ মে) বিশেষ সেবা কার্যক্রম উপলক্ষে শনিবার (১১ মে) এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সিএজি কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। এরই মধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজির সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষতা নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরাতন পদ্ধতি বদলে দিয়ে এরই মধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয়, প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহণকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রয়েছে।

সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন কোনো পেনশন পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা আমরা চালু করেছি। রোববার (১২ মে) থেকে আমরা ৩ দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৩) মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে গত ৫ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। এসময়ে অডিটের সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদপ্তর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ মে পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৯১টি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৫০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়ে ৯ হাজার ১২৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭১৫ জন। অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯৯৬টি। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ২৮ হাজার ৭১২ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৩ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৯ হাজার ৮৯০টি।

এ হিসাবে শেষ চার অর্থবছরে সিএজির ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৭ লাখ ১৬ হাজার ১১৩ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৫১ লাখ ৮৬ হাজার ২৮০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪০ হাজার ১০২টি।


আরও খবর