আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

ধামরাইয়ে অজ্ঞাত যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ের কাইটামারা খালে খুন হওয়া অজ্ঞাত যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের কালিদাস পট্টি এলাকার কাইটা মারাখালের ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় যুবকের লাশটি করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। মরদেহ দেখতে শত শত নারী পুরুষ ও শিশুরা ভিড় জমায়।

ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবককে অন্য কোথাও নির্মমভাবে হত্যার পর রাতের আঁধারে গাড়িযোগে কাইটা মারা খালের উজানে ফেলে দেয় বেশ কিছুদিন আগে। লাশটি ভাসতে ভাসতে আসার পর এলাকাবাসী দেখতে পান।

বুধবার সকালে পোশাক শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে কাইটা মারা খালের কালিদাস পট্টি এলাকার ব্রিজের নিচে পানিতে ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তারা ধামরাই থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদকে অবহিত করেন।

ধামরাই থানা পুলিশ এ মরদেহটি উদ্ধার করে। সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধামরাই থানার এস আই মোহাম্মদ রাসেল হোসেন ফকির বলেন, পোশাক শ্রমিকরা বুধবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে উক্ত স্থানে খুন হওয়া ওই ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে অবহিত করেন।

এরপর তিনি আমাকে ঘটনাস্থলে পাঠালে আমি সঙ্গীয় ফর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে খুন হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



ভারতীয় মশলায় ক্যানসারের উপাদান, বিক্রি নিষিদ্ধ করল নেপাল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেসের গুঁড়া মশলা আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নেপাল। ভারতীয় এই মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদানের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।

এর আগে ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিয়েছিল হংকং ও সিঙ্গাপুর। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় মশলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য আমদানি, ব্যবহার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। ভারতীয় এই দুই কোম্পানির মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রার স্তরও নেপাল পরীক্ষা করছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন।

মূলত এই দুটি ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড পাওয়ার খবরে নেপাল এটিকে নিষিদ্ধ করে।

নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে জানিয়েছেন, নেপালে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মশলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মশলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল এবং এখন আমরা বাজারে এই মশলার বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মশলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি কতটা তা জানতে পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। হংকং এবং সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যেই এটি নিষিদ্ধ করেছে, তাদের পদক্ষেপের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মাসে তরকারিতে ব্যবহার করা এমডিএইচের তিন ধরনের গুঁড়া মশলা ও এভারেস্টের গুঁড়া মশলার বিক্রি স্থগিত করে হংকং। সিঙ্গাপুরও তাদের বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মশলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে রান্নার কাজে এসব মশলা ব্যবহার না করার পরামর্শও দেওয়া হয়।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘসময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এরপরই ভারতীয় কোম্পানির মশলা পণ্যে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উপস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এফডিএর ভারতীয় মসলা পণ্যের কথিত দূষণের পর্যালোচনার প্রতিবেদন সর্বপ্রথম প্রকাশ করে রয়টার্স।

ভারতে এই দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রপ্তানি করা হয়। ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস।

দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রপ্তানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।

ভারতীয় মশলার অন্যতম জনপ্রিয় কোম্পানি এভারেস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খান। ১৯৩০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা এমডিএইচ জনপ্রিয়তা পায় তাদের বিজ্ঞাপন ও প্যাকেজিংয়ের কারণে।

প্যাকেটের গায়ে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ধরমপাল গুলাতির মোটা গোঁফ আর মাথায় পাগড়ির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। ভারতে ‌স্পাইস কিং বা মশলা রাজা হিসেবে পরিচিত ধরমপাল গুলাতি ২০২০ সালে মারা যান।

নিউজ ট্যাগ: ভারতীয় মশলা

আরও খবর



হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ১৫৮ রান

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন সর্বোচ্চ ৫৪ রান। সফরকারীদের পক্ষে বেনেট ও মুজরাবানি নেন ২টি করে উইকেট।

শুরুতে ধস। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। পুল করতে গিয়ে আউট হন তানজিদ। তানজিদের পর সৌম্য, ৩ ওভার শেষ না হতেই দুই ওপেনার হারায় টাইগাররা। ব্রায়ান বেনেটের শর্ট লেংথের বল কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন সৌম্য সরকার। তানজিদ, সৌম্যর পর হৃদয়ও কাট করতে গিয়ে হয়েছেন কট বিহাইন্ড।

এরপর মাহমুদউল্লাহর পাল্টা আক্রমণ। নাজমুল ও সাকিবের সঙ্গে জুটি। শেষে জাকের আলীর ঝড়। শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গতিপথটা এমন।

১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নাজমুলকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৬৯ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটির পরপরই থামেন। তার আগে সাকিবকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৯ রান।

সাকিবের পর মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ফেরায় শেষ দিকেও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে অবশ্য ১৫০ পেরিয়ে ভালো একটা সংগ্রহই পেয়েছে স্বাগতিকেরা।


আরও খবর



আজ দেশের আকাশে দেখা যাবে সূর্যের খুব কাছে আসা বিরল ধুমকেতু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রায় ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে ধূমকেতু ১২পি/পনসব্রুকস। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে এটি দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।

এ উপলক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর পদ্মা নদীর ধার টি বাঁধ এলাকায় ডেভিল ধূমকেতু এবং বৃহস্পতিগ্রহ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন যৌথভাবে এর আয়োজক।

আয়োজকরা জানান, বিগত ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) ডেভিল ধূমকেতুটি সূর্যের সবচাইতে কাছে অবস্থান করবে। রোববার সূর্যস্তের সময় থেকে ঘণ্টাখানেক ধূমকেতুটি আকাশে অবস্থান করবে। দিগন্তের খুব কাছে থাকাতে নানা কারণে ধূমকেতুটি দেখাবার সম্ভাবনা খুব কম। তারপরও আয়োজকরা প্রস্তুত থাকবে ধূমকেতুটি দেখবার জন্য। মেঘমুক্ত আকাশ হলে এটি দেখতে পাবার সম্ভাবনা প্রবল হতে পারে। এছাড়াও আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ একই সঙ্গে দৃশ্যমান থাকবে। ধূমকেতুটি যতক্ষণ সম্ভব দেখার চেষ্টা করার পর আয়োজকরা টেলিস্কোপে বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ দেখবে।

আয়োজনকরা আরও জানান, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর টি বাঁধ পদ্মার পাড়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহী সবার জন্য ডেভিল ধূমকেতু-বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি উন্মুক্ত থাকবে।

আয়োজক কমিটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব চলচ্চিত্রকার আহসান কবির লিটন জানান, রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে ক্যাম্পটি পরিচালনার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যে কেউ এখানে এসে এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবেন। তবে আকাশে মেঘ থাকলে দৃষ্টি সীমা বাধাগ্রস্থ হবে। তখন ধূমকেতু সহ গ্রহ উপগ্রহগুলো না ও দেখা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, সূর্যের কাছাকাছি ধূমকেতুটি দেখতে কিছুটা শিংয়ের মতো হয়। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ডেভিল কমেট বা শিংওয়ালা ধূমকেতু


আরও খবর



দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর



সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এর আগে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদকালসহ অন্যান্য কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। চলতি অধিবেশন ৯ মে পর্যন্ত চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন। এবারের অধিবেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন আওয়ামী লীগের এমএ মান্নান, আসাদুজ্জামান নূর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন নেসা। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অগ্রবর্তিতার ভিত্তিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সংসদ পরিচালনা করবেন। পরে স্পিকার সংসদে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ডেপুটি স্পীকার মো. শামসুল হক টুকু, ডা. দীপু মনি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, চলতি অধিবেশন শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতি দিন বিকাল ৫টায় বসবে। ৯ মে দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যেকোনও পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে প্রদান করা হয়।

এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৩৮টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ৯০২টি প্রশ্নসহ মোট ৯৪০টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৫৬টি এবং প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এ নোটিশ পাওয়া যায়নি। এছাড়া বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। ৪টি সরকারি বিলের কমিটিতে পরীক্ষাধীন ১টি ও সংসদে উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে ৩টি।


আরও খবর