আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

দিল্লির বায়ু দূষণ ফের ‘গুরুতর’ পর্যায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত বেশ কয়েক বছর ধরেই শীতকালে ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাস ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়। শীত কালের শুষ্ক আবহাওয়া, পার্শ্ববর্তী দুই রাজ্য হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে বিপুল পরিমাণ খড়-বিচালি পোড়ানো এবং মোটরযান থেকে নিঃসৃত ধোঁয়া মূলত এই দূষণের জন্য দায়ী। কিন্তু চলতি বছর শীত জেঁকে বসার আগেই বায়ুদূষণ শুরু হয়েছে। বাতাসের গুণাগুণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সূচক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে শনিবার দিল্লির বাতাস গুরুতর দূষিত অবস্থায় রয়েছে।

জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচআই) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই সূচক অনুযায়ী, কোনো শহরের বাতাসের গুণাগুণ যদি ০ থেকে ৫০ পয়েন্টের মধ্যে থাকে তাহলে তা ভালো, ৫১ থেকে ১০০র মধ্যে থাকলে সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে সহনীয়, ২০১ থেকে ৩০০র মধ্যে থাকলে খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০র মধ্যে থাকলে খুব খারাপ এবং ৪০১ থেকে ৫০০র মধ্যে থাকলে গুরুতর

একিউআই সূচকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ১ টার দিকে রাজধানী নয়াদিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাতাসের গুণাগুণ ছিল ৪০০ থেকে ৪০১ পয়েন্ট। এছাড়া দিল্লির অন্তর্ভূক্ত বা সংলগ্ন বিভিন্ন জেলা শহরের বাতাসের গুণাগুণও প্রায় একই রকম। সূচকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুরে বাতাসের গুণাগুণের বিচারে দিল্লির সংলগ্ন ফরিদাবাদের পয়েন্ট ছিল ৩৯৬, বৃহত্তর নয়ডার ৩৯৫, নয়ডার ৩৯০ এবং গাজিয়াবাদের পয়েন্ট ছিল ৩৮০। দিল্লিতে বায়ু দূষণ শুরু হয় অক্টোবরের শেষ দিক থেকে, দীপাবলী উৎসবের পর। ওই উৎসবে রাজধানীজুড়ে অজস্র বাজি ও পটকা ফোটানোর ফলে বাতাসে বিপুল পরিমাণ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ভেসে বেড়াতে থাকে।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, জোর বাতাস থাকলে এসব উপকরণ এমনভাবে ভেসে বেড়াতে পারত না। কিন্তু অক্টোবরের শেষ থেকে দিল্লির বাতাস ভারী ও কুয়াশাচ্ছন্ন হতে থাকে। সেই সঙ্গে দিল্লির সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে শীতকালে বিপুল পরিমাণ খড়-বিচুলি পোড়ানো হয়; সেখান থেকেও অতিক্ষুদ্র বিভিন্ন বস্তুকণা ভেসে আসে দিল্লির বাতাসে। চলতি বছর অবশ্য দীপাবলী উৎসবের সময় দিল্লির বাতাস বিস্ময়করভাবে দূষণমুক্ত ছিল। ঘূর্ণিঝড় ‍সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোর হাওয়া ও বৃষ্টিই ছিল এর কারণ। তবে তার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের গুরুতর দূষণের মুখে পড়ল ভারতের রাজধানীর বাতাস।

নিউজ ট্যাগ: বায়ু দূষণ

আরও খবর



বাকৃবিতে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী-শিক্ষক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন তারা। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি।

এরপর বাকৃবির প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীর সঙ্গে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি।

ড. আফরিনা মুস্তারি জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিল, আমি তাকে হলগেটে পৌঁছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রকৃতির। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে আসতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের (৫২ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-২০২৪ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় শুভেচ্ছা জানান।

এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আজ দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়ে -এ দর্শন, ইতিহাস, ভগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে বের হওয়ার জন্য বলেন, যাতে সবাই তাকে খুঁজে নেয়। তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবার জন্য হবে গৌরবের। সবার চিন্তা-মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোসহ পিতা-মাতার অবদান মনে রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সাইদুর রহমান (৪৫)। তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষার ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাটদহচর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং পারাপারের সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার তাকে ও মোটরসাইকেলটি টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



মরুভূমিতে উত্তাপ ছড়ালেন অধরা, ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অধরা খান। ঈদের পরপরই অবকাশ যাপনে উড়াল দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অধরা। সেখানে গিয়ে শখের বসে কিছু ছবি তুলেন। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আবেদনময়ী কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ভ্রমণপ্রিয় এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।

ছবিতে এলিগ্যান্ট লুজ কটন লিনেন লং ডিপ নেক ল্যান্টার্ন ফুল স্লিভ ড্রেসে দেখা গেছে অধরাকে। ম্যাট গোল্ডেন কালারের এই ড্রেসটা তিনি আমেরিকার লাসভেগাস থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত খোলা এই ড্রেসের সঙ্গে অধরা পরেছেন স্পোর্টস কেডস। একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলে গেছেন মরুর বুকেই।

জানা গেছে, বর্তমানে মা এবং বড় বোনসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন এই নায়িকা। সেখানকার ডেজার্ট সাফারি করতে গিয়ে অধরা অপ্সরা রূপে ধরা দিয়েছেন।

দুবাই থেকে অধরা খান জানান, মাকে নিয়ে দুবাই গেছেন মূলত ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল উমরাহ পালনের জন্যে; কিন্তু সৌদি সরকার উমরাহ ভিসানীতি পরিবর্তনের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। এরপর দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন; কিন্তু দুবাইয়ে অতিবৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। তবে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ৩০ এপ্রিল মাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন।

দুবাই সফর নিয়ে অধরা খান বলেন, পারিবারিক ব্যবসায়ের কারণে বছরে কয়েকবার আমাকে দুবাই যেতে হয়; কিন্তু এবারের সফরটা ছিল আম্মু, আমি এবং প্রবাসী বড় বোন অহনাকে নিয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো। বলতে পারেন, সময়টায় আসলে চেষ্টা করেছি একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশন করার।’

ছবিগুলো প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ছবিগুলো গেল ২২ এপ্রিল তোলা। সেখানে যারা ডেজার্ট সাফারি ট্যুরে আমাদের গাইড করেছেন, ছবিগুলো তারাই তুলে দিয়েছেন। ভাবতে পারিনি মোবাইলে ক্যাপচার করা ছবিগুলো এত সুন্দর এবং ভাইরাল হবে।’


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিলে ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিল মাসে দুই হাজার ১১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। রবিবার (১২ মে) সংগঠনটি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৭২টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭৯ জন আর আহত হয়েছেন ৯৩৪ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৯৩ জন এবং শিশু ১০৮।

সংগঠনটি বলেছে, বিদায়ী মাসটিতে ৩১৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হন, যা মোট প্রাণহানির ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট প্রাণহানির ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৬ জন, যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন (একটি লঞ্চে আগুন ধরলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৬০ জন আহত হয়েছেন)। ৩৮টি রেল দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৫৯ জন (৩৮.১৪ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩৪ জন (৫ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-ডাম্প ট্রাক আরোহী ৬৫ জন (৯.৫৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ৪৫ জন (৬.৬২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৩১ জন (১৯.২৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ২২ জন (৩.২৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (১.৪৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৫টি (৩৪.৯৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৬টি (৩৯.৫৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৮৭টি (১২.৯৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৭৯টি (১১.৭৫ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৫টি (০.৭৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ১৭৪টি (২৫.৮৯ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৬২টি (৩৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২০টি (১৭.৮৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৭টি (১৪.৪৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (২.৮২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।


আরও খবর