আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার সঙ্গে কয়েক দিন আগেই একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে উত্তর কোরিয়া। এরপরই দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী একটি রণতরি। পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন এই রণতরি ত্রিদেশীয় সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে।

রণতরিটি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর খবর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। তাতে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান নৌঘাঁটিতে পৌঁছেছে মার্কিন নৌবাহিনীর রণতরি থিওডোর রুজভেল্ট।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই রণতরিটির আগমনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া জোটের শক্তিশালী যৌথ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও স্পষ্ট হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির জবাব দিতে দেশ দুটি যে দৃঢ় সংকল্প, তা বুঝিয়ে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই রণতরির চলতি মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে একটি যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত বছরের আগস্টে এক সম্মেলনে এই তিন দেশের নেতারা প্রতিবছর সামরিক প্রশিক্ষণ মহড়া আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন এক সময় মার্কিন রণতরি পৌঁছাল, যার এক দিন আগেই দেশটিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। চলতি সপ্তাহে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদ জানাতে তাকে তলব করা হয়। ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জংউন। পুতিন ২৪ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার উত্তর কোরিয়া সফর করলেন।

ওই চুক্তির পর সিউল বলেছে, বিশ্বে একঘরে হয়ে থাকা দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি। এর জবাব হিসেবে তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া।


আরও খবর



সিনিয়র সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য আজ রোববার (৯ জুন) তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা জেলার ৬০জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, ২০০৯ সনে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার তথ্য প্রাপ্তিকে জনগণের সুযোগ নয় অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। জনগণের প্রত্যাশা পুরণকল্পে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অত্যাবশ্যক। প্রকাশযোগ্য তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত হালনাগাদ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় কোন কর্তৃপক্ষই ভবিষ্যতে ছাড় পাবেন না।

এছাড়া নোটিস বোর্ড, বিল বোর্ড ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ এ উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে তথ্যকে অবারিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। চাইলে তথ্য জনগণ-দিতে বাধ্য প্রশাসন এই মন্ত্রকে ভুলে যাওয়ার অবকাশ নেই।

ডক্টর আবদুল মালেক সংযোজন করেন, সারা দেশে তথ্য অধিকার আইনে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট ২০২৩ পর্যন্ত দাখিলকৃত আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫টি। বিশ্বে ১৪০টি দেশে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। জনগণের তথ্য প্রাপ্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, ওয়েবসাইট হালনাগাদ প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্ব র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশ ২৭তম অবস্থানে।

ডক্টর আবদুল মালেক উল্লেখ করেন, পরিসংখ্যান মতে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত কমিশনে প্রায় ৩০ শতাংশ অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিকগণ। বিশুদ্ধ তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান প্রধান তথ্য কমিশনার।

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক।

তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম তথ্য প্রাপ্তির আপিল ও অভিযোগ দায়ের, তথ্য না দিলে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানসহ, কোন কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে অবহিত করেন।

তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য সংরক্ষণ, নথি বিনষ্টকরণ, তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

ঢাকা জার্নালের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর এতে বিশেষ রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর সচিব জুবাইদা নাসরীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চরফ্যাশন গাছ চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাগানের গাছ কাটতে গিয়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে মোহাম্মদ আলী গাজী (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত মো. মালেক মাঝির ছেলে।

নিহতের স্বজন মোহাম্মদ হোসেন জানান, সকালে তিনি ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ কাটতে নিজ বসত বাড়ির বাগানে যান। ওই সময় কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশনের হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

শশীভূষণ থানার ওসি মু. এনামুল হক জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় চার সবজিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী ঔষধি গুণের উদ্ভাবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শাক হিসেবে পালংপাতা বেশ জনপ্রিয়। এর সাথে যখন টমেটো, ধনিয়া পাতা মিশিয়ে সবজি তৈরি করা হয় তখন এটির স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি পুষ্টিউপাদান হাজারগুণে বেড়ে যাবে। পাশাপাশি খাবার তালিকায় লেবু থাকলে এতে যোগ করে ভিন্নমাত্রা। এমনি চার ঔষধি গুণসম্পন্ন ভোজ্য খাবার, যা ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয়। রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, কিডনি রোগ প্রতিরোধকসহ বিভিন্ন রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে।

একদল গবেষককে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধী ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করে আসছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম। তাঁর গবেষক দল ড. মো. গোলাম সাদিক, ড. মামুনুর রশীদ, ড. আজিজ আব্দুর রহমান এবং বেশ কিছু ছাত্র মিলে বাংলাদেশের মার্কেটে পাওয়া যায় এমন ভোজ্য খাবারের (Edible Foods) প্রায় ৬৮টি প্রকরণ সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ৩১টি শাকসবজি, ১৭টি ফলমূল এবং ২০টি মসলা ছিল যা নিয়ে গবেষণা করে যাচাই করার চেষ্টা করেন এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা পালন করে কিনা।

এই গবেষণার বিশেষত্ব হলো আলাদা আলাদা কয়েক ধরনের ক্যান্সার কোষ ব্যবহার করা যেমন ফুসফুস, সার্ভিকাল, কিডনি, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন প্রায় সকল ভোজ্য খাবার গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা। আশ্চর্যজনকভাবে ৪টি ভোজ্য খাবারে কার্যকর ভূমিকা পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গবেষণায় তাঁরা প্রমাণ করেন টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধী।

গবেষণাটি ২০২৪ সালে পহেলা জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত 'ক্যান্সার রিসার্চ' (Cancer Research) জার্নালে প্রকাশিত হয়। অপর একটি পর্যালোচনা নিবন্ধে ১১টি ভোজ্য খাবারের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী (boost up) করায় আমেরিকা থেকে প্রকাশিত 'হেলিয়ন' (Heliyon) জার্নালে ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

ড. খুরশীদ আলম বলেন, ভোজ্য খাবারের এই উপাদানগুলো শরীরে ২টি মাত্রায় বাড়তি সুরক্ষা দেয় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। এদের পুষ্টি উপাদানগুলো একদিকে দেহের ইমিওনিটি বুস্ট আপ করে আবার সুস্থ কোষকেও ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। সুস্থ কোষগুলো আশেপাশের ক্যান্সার কোষকে নিধন করতেও সক্ষম হয়। এই খাবারগুলো সহজলভ্য এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সত্যি বলতে এগুলো আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। অবচেতনভাবে আমরা এগুলো গ্রহণ করে থাকি। আমরা যদি জানতে পারি, কোনগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক, তাহলে সেই অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরি করতে পারলে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার গোটা বিশ্বে অন্যতম মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে এর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্য খাদ্যসামগ্রী, যেগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে সেগুলোর সনাক্তকরণ ও সঠিক ব্যবহার আক্রান্তের হারকে অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারে।

ফার্মেসির অধ্যাপক ড. খুরশীদ আলম উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বায়োমার্কার অথবা ক্যান্সার ইনিশিয়েটিং সেল (সিআইসি) নির্ণয় করার মতো কোনো যন্ত্র এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বলে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ২০ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ রোগী নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে প্রায় এক লাখ মারা যায়। এছাড়াও ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ মিলিয়ন যা প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন ক্যান্সারে মারা গেছে।

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের (এনসিআই) দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার এবং ২০৪০ সালের মধ্যে যা ১ম স্থান দখল করবে বলে গবেষকদের ধারণা। বাংলাদেশেও মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার। অতএব কীভাবে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটাই এখন সকলের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় এখনি সরকারকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে এটিকে কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি গবেষকদেরও ক্যান্সার চিকিৎসায় বিকল্প পদ্ধতি বের করার প্রতি জোর দিতে হবে। এই সব চিন্তা মাথায় রেখেই ড. খুরশীদ আলম ও তাঁর গবেষক দল প্রমাণ করলেন সবজির মধ্যেই রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ।

এর আগে, ড. খুরশীদ তুঁত ফল, বাকল ও মূল নিয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ আবিষ্কার করেন। গবেষণাপত্রটি ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োমেড সেন্ট্রাল রিসার্চ নোট। পরে আরেকটি গবেষণা নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী পোলস ওয়ান-এ গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সালে ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন স্বর্ণপদক পান। এছাড়াও তাঁর ৯৪টি গবেষণাপত্র দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: রাজশাহী

আরও খবর



সেনাপ্রধানের সঙ্গে সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিটার কেকৌ লেভাউন।

বুধবার (৫ জুন) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সেনা সদরে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃ বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সেনাবাহিনী প্রধান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফকে ধন্যবাদ জানান।

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

আইএসপিআর জানায়, সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ আগামীকাল (৬ জুন) বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য ৮৬তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ দেখার জন্য সরকারি সফরে বাংলাদেশে আগমন করেন। তার এই সফর বাংলাদেশ ও সিয়েরা লিওনের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।


আরও খবর



দেশে ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে আবারও ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন তিনি।

নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আবারও ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি আবারও সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে আপনাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের প্রশ্নে বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই প্রথম মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার পদত্যাগ সেটাই প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতায় থাকাকালে নয়, বিরোধী দলে থাকাকালেও আন্দোলনের নামে গাছ কেটেছে। আওয়ামী লীগই দেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তিন ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্পায়ন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়ে সবাইকে বৃক্ষরোপণ অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।


আরও খবর