বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি কেন্দ্রের (ময়মনসিংহ) উদ্যোগে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৩-২৪) ও গবেষণা পরিকল্পনা (২০২৪-২৫) প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) সকালে বিএফআরআই অডিটরিয়ামে আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আলী রেজা ফারুক, মৎস্য অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম। এছাড়াও কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) ড. অনুরাধা ভদ্র।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। নদীমাতৃক ছোট আমাদের এই দেশ মাছ উৎপাদনে চীনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে সেকেন্ড পজিশনে চলে এসেছে। দেশের মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। মাছ উৎপাদন, আহরণ, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিসহ মৎস্য খাতে এ মানুষরা কাজ করেন। এক সময় মাছ চাষে অনেকের অনাগ্রহ ছিল। এখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মাছ চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে সম্পৃক্ত হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ২০৩০ সালে আমাদের মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।