আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দোহারে সাংবাদিকদেরকে নিজের লেখা বই উপহার দিলেন ওসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিজের লেখা কবিতার বই উপহার দিলেন দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার সকালে দোহার থানায় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় শেষে নিজর লেখা প্রথম কবিতার বই তোমায় দেব শিশির বিন্দুর নাকফুল উপস্থিত সাংবাদিকদের উপহার হিসেবে তুলে দেন তিনি।

ওসি মোস্তফা কামাল ১৯৭২ সালে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবু জাফর মিয়া ও মাতার নাম নুরুন্নাহার বেগম। তার পিতা পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। মোস্তফা কামাল তার বাবার আদর্শে নিজেকে তৈরি করেছেন পরোপকারী একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে।

তোমায় দেব শিশির বিন্দুর নাকফুল দেশের বহুল পরিচিত প্রকাশনী অন্যপ্রকাশ হতে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বই মেলা-২০২৩ এর প্যাভিলিয়ন-৩১ এ বইটি পাওয়া যাচ্ছে। শুধু দেশ নয় দেশের বাইরেও ভারতের কলকাতায় ৪৬তম আন্তর্জাতিক বই মেলায় অন্যপ্রকাশ স্টলে বইটি চলছে।

ওসি মোস্তফা কামালের বইটির একটি বিশেষত্ব রয়েছে। বইয়ে ৩৫ টি কবিতা রয়েছে, প্রতিটি কবিতাই আবার ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করা রয়েছে। আর এই বিশেষত্বই বইটিকে অন্য সব কবিতার বই থেকে আলাদা করে রেখেছে। এতে করে অন্য ভাষার লোকজনের কাছে বইটি সহজলভ্য হয়েছে।

ওসি মোস্তফা কামাল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে দোহার থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। এখন পর্যন্ত সফলতার সাথে তার দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলা নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞানের ছাত্র থাকার সময় থেকেই কবিতার সাথে তার সখ্যতা শুরু হয়। সেই থেকেই আস্তেআস্তে শুরু হয় কবিতার প্রেমে পড়া। জীবনের নানা প্রতিক লতায় অপ্রকাশিত থেকে যায় মনের কথা। সেই কথাই আজ কবিতা হয়ে বইয়ের পাতায় চোখ বুলাচ্ছে এবং বইটি তিনি তার প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানী, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান টিপু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী জোবায়ের আহমেদ, সাংবাদিক আনোয়ার পারভেজ, সাইফুল ইসলাম, আবুল হাশেম ফকির, সুজন হোসেন, মো. জোবায়ের আহমেদ, নাজনীন শিকদার, শাহাদাত হোসেন, মহিউল ইসলাম পলাশ, আল-আমীন হোসেন, দুলাল হোসেনসহ আরো অনেকে।


আরও খবর



নাফ নদীতে বিজিপির গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক। এর মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দুপুর ১টার দিকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফের সাবারাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্র জানান, আহতদের মধ্যে ফারুকের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বিজিপি নাফ নদী

আরও খবর



‘শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে ইরানে ২৬০ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানে শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে ২৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৩টি গাড়িও জব্দ করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে তিনজন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে  ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মদ ও নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরান পুলিশ।

এরপর ২০০৯ সালের জুলাই মাসে পুলিশ ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আর্দেবিল থেকে একই অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শিরাজ থেকে শয়তান-উপাসক’ হিসেবে ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয় জানবেন, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বলল আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? নিউজে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করুন, কী কারণে এইটা এই পর্যায়ে এল তাও জিজ্ঞেস করুন? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার... এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে দেয় না, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয় জানবেন, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

রিজার্ভ কমে ১৩ বিলিয়নে নেমে আসায় অর্থনীতিবিদরা অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি? ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের জন্য? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে, এই মুহূর্তের যে প্রবণতা... এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে এক পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খুশাবের কাছে ট্রাক খাদে পড়ে নয় শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) মর্মান্তিক এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ট্রাকে যারা ছিলেন তারা সবাই মূলত শ্রমিক। কাজের উদ্দেশে তারা খুশাবে যাচ্ছিলেন।

২৩ জন যাত্রী নিয়ে ট্রাকটি খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। আর খুশাবের দিকে যাচ্ছিল। খুশাব শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সুন ভ্যালির শহরতলী দরবার পাঞ্জ পীর মানাওয়ান সড়কের কাছে এসে ট্রাকটি উল্টে যায়।

ডিসট্রিক্ট রেসকিউ অফিসার হাফিজ আব্দুল রাশেদ ধারণা করছেন, ব্রেক ফেইল হয়ে যাওয়ায় ট্রাকটি চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রাশেদ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুশাবের রেসকিউ কন্ট্রোল রুম একটি জরুরি ফোন পায়। তারপর উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।

একই পরিবারের ১৪ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আহতদের খুশাবের নওশেহরা তেহসিলের টিএইচকিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর সাতজনকে ডিএইচকিউ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ এ দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বেলুচিস্তানের হাব জেলায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।


আরও খবর